গাফফার ভাইয়ের অনেক মত বা কথার সাথে আমার দ্বিমত ছিলো, অনেক কথার সাথে একমত ছিলো। আমার কাজ খুঁজে বের করে দেখে আমাকে ফোন দিয়ে উনি উৎসাহ দিতেন। আমার কাজ সরকারি সেন্সর কলে আটকা পড়লে তিনি এর প্রতিবাদ করতেন। তিশার অভিনয়ের দারুন ভক্ত ছিলেন উনি। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় যতটুকু বুঝেছি সিনেমার ব্যাপারে উনার আগ্রহ ছিলো প্রবল। এবং উনার সিনেমারুচি উনার সময়ের তুলনায় অগ্রসর।
উনাকে আমি অনেকবার একটা কথা বলেছি, “গাফফার ভাই, আপনি যদি আর কিছু নাও লিখতেন, কেবল ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’র জন্যই আপনার স্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে পাকা থাকতো। আপনাকে ভালোবাসুক মন্দবাসুক, প্রতি বছর একবার করে বাংলাভাষী মানুষেরা প্রাণ খুলে গাইবে আপনার লেখা গান। কোনো এক একলা ছাদের নীচে বসে লিখা আপনার শব্দগুলা ডানা মেলবে ওদের কণ্ঠের আবেগে। ভাবা যায় কি এক বিস্ময়কর ঘটনা এই গান?”
বিদায় আবদুল গাফফার চৌধুরী!(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন