ভারত ও ভুটানে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ভারতের ট্রানজিট ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য পাঠানো হবে। এ জন্য সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর সম্প্রসারণ ও নতুন অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে এ বন্দরের মাধ্যমে মেঘালয় রাজ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। আর তামাবিল বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন হলে ভারতের মেঘালয়সহ ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, আসাম এবং ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-ব্যণিজ্য সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি কমিটি তামাবিল বন্দরসহ পাঁচটি এবং ভারতের ডাউকীসহ চারটি এলসি স্টেশন সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। কমিটির সুপারিশের আলোকেই তামাবিল স্থলবন্দরের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ভারতের ট্রানজিট ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য পাঠানো হবে। এ জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। আর ভারত-ভুটানে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে তামাবিল স্থলবন্দরের উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানিযোগ্য পণ্যসামগ্রী গুদামজাত সুবিধাসহ হ্যান্ডেলিং সুবিধা উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘তামাবিল স্থলবন্দর উন্নয়ন’ শীর্ষক সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ৬৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে এটি বাস্তবায়ন করবে। সূত্র জানিয়েছে, ১৩৪৯ বর্গ মিটার অফিস নির্মাণ, ডরমিটরি ও ব্যারাক ভবন নির্মাণ, প্রকল্পের অধীনে ১০.২৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০০০ মিটার ড্রেন নির্মাণ, ১০৯৩৩০ ঘন মিটার ভূমি উন্নয়ন, দুটি ওয়েব্রিজ নির্মাণ, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া ৮১৮০ বর্গ মিটার অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ২৭০০ বর্গ মিটার পেন স্টেক ইয়ার্ড নির্মাণ ও ৭৪৪ বর্গ মিটার ওয়্যারহাউস নির্মাণও করা হবে। একই সঙ্গে মনিটরিংয়ের জন্য পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণসহ বন্দরের উন্নয়নে সব ধরনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা কমিশন জানিয়েছে, তামাবিল স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতীয় ল্যান্ড কাস্টম (এলসি) স্টেশনের নাম ডাউকী, যা মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম খাসিয়া জেলায় অবস্থিত। ডাউকী এলসি স্টেশনকে সম্প্রতি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু তামাবিল স্থলবন্দরে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনো স্থাপনা নেই। তবে কাস্টম ও ইমিগ্রেশনের কিছু অফিস রয়েছে। এ ছাড়া তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে প্রধানত কয়লা, চুনাপাথর ও ফল আমদানি করা হয় এবং প্রসাধন সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও ইট রপ্তানি করা হয়। অন্যদিকে বন্দর দিয়ে বছরে ১০ হাজার যাত্রী তামাবিল ডাউকী সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত করে।
শিরোনাম
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
- জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
- বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
- ৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
- অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
- কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
- বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
- জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
- মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
- অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
ভারতের ট্রানজিট ব্যবহার করে ভুটানে পণ্য পাঠাবে বাংলাদেশ
হাতে নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প
গোলাম রাব্বানী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর