ভারত-চীন সম্পর্ক শীতল হলেও দেশের উন্নয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে দুই দেশের সঙ্গেই সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিদায় জানানোর পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। আবার বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক তত মধুর নয়। বিশেষ করে সম্প্রতি পরমাণুপ্রযুক্তি সরবরাহের অভিজাত গোষ্ঠী নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে (এনএসজি) ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চীনের বিরোধিতা এ সম্পর্ককে আরও শীতল করেছে। চীনের কারণেই ভারত বহু বছর ধরে চেষ্টা করেও এনএসজির সদস্য হতে পারছে না বলে মনে করা হয়। ফলে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কারণে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা— জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেমন চীনের সঙ্গে কাজ করছি, আবার ভারতের সঙ্গেও কাজ করছি। সবার সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক রাখতে হবে। একা আমাদের পক্ষে কোনো কিছুই সম্ভব না।’ সৈয়দ আশরাফ বলেন, চীন এখন পরাশক্তি। এটা মেনে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত দেখা গেছে, চীন গঠনমূলক। এখানে চীনকে নিয়ে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। চীনের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে পাঁচ-সাত বছর ধরে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। পশ্চিমা বিশ্ব বলে, কিন্তু বাস্তবায়ন করে খুবই কম। তবে চীন বাস্তবায়নে খুব তত্পর। কোনো সময়ই ফাঁকি দেয় না।’ চীনের প্রেসিডেন্টের দুই দিনের সফরকে সফল উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘কত টাকা দিল, কত চাল দিল, কত ডাল দিল, এটা নিয়ে খোঁচাখুঁচি করতে পারেন। বিষয়টা হলো সংযোগ। চীন আমাদের সঙ্গে আছে। এটাই মূল বিষয়।’ মিয়ানমারের সঙ্গে বিরাজমান সমস্যাগুলো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, মিয়ানামার আর বাংলাদেশ এক নয়। এ ভূখণ্ড মিয়ানমারের চেয়ে অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ভূখণ্ড কেউ অবহেলা করতে পারবে না। প্রয়োজন থেকেই চীন এ ভূখণ্ডকে গুরুত্ব দেয়। এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, চীনের সঙ্গে শুধু বাণিজ্য নয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা, শিল্প-সাহিত্য সবকিছুই জড়িত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এ অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা। বাংলাদেশ এটাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। দীর্ঘদিন পর কমিউনিস্ট চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে— জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা এক সিস্টেমে চলে, আমরা এক সিস্টেমে চলি। আমরাও তাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করি না, তারাও আমাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করে না।’
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে