বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

আভাস হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্ববাসী এক কঠিন ভোটের লড়াই দেখল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো এ নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে তিক্ততাপূর্ণ নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় সারা দেশে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট বেছে নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ।

সরাসরি আনুষ্ঠানিক ভোট শুরু হয় নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট তিন শহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে। এই ভোটে হিলারির চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বড় রাজ্যগুলোতে ভোট শুরু হওয়ার পর বুথ ফেরত ভোটে হিলারির পাল্লাই ভারী হতে দেখা যায়। এদিকে ভোট শুরু হওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যে ভোট দেন হিলারি ক্লিনটন ও তার স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ভোটের সকালে হিলারি টুইট করেন, ‘বসে থাকবেন না কেউ, ভোট দিতে যান।’ আর ট্রাম্প টুইট করেন, ‘আজ আমরা আবার যুক্তরাষ্ট্রকে শ্রেষ্ঠ আসনে নেব।’ সিএনএন-এর সর্বশেষ ভোট মানচিত্র অনুযায়ী, ইলেক্টোরাল কলেজগুলোর হিসাবে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে শক্ত অবস্থানে আছেন হিলারি ক্লিনটন। এ ছাড়া সামগ্রিক পপুলার ভোটের হিসাবেও তিনি এগিয়ে। সিএনএন-এর গড় জরিপ অনুযায়ী, হিলারি ৪৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আছেন। ট্রাম্পকে সমর্থন ৪২ শতাংশ ভোটারের। এদিকে ভোট শুরুর আগ মুহূর্তের একাধিক জরিপে হিলারি প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পের থেকে গড়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। তবে বিশ্ব গণমাধ্যম জানিয়েছে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। যদিও এবারের ভোটে হিম্পানিকসহ মুসলমান ও শরণার্থীদের আগ্রই অনেক বেশি। কারণ ট্রাম্প ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তিনি যদি নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে ওই সম্প্রদায়গুলোর সমস্যা হবে। কারণ এরা আমেরিকার জন্য সমস্যা। তাই ভোট শুরু হওয়ার পরই হিম্পানিক ভোটাররা বড় সংখ্যায় ভোট দিতে কেন্দ্রে অবস্থান করেন। যে ভোটগুলো হিলারির পক্ষেই যাবে বলে মনে করা হয়।

গতকাল মূল ভোট শুরু হওয়ার আগে সাড়ে ১৪ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ ভোটার ডাকযোগে বা ভোটকেন্দ্রে এসে আগাম ভোট দিয়েছেন। সেসব ভোটের বেশিরভাগ হিলারির পক্ষে গেছে ধারণা করা হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ সময় সকালে পাঠকরা যখন পত্রিকা পাবেন মূলত তখন থেকে পুরো ফলাফল পাওয়া যাবে।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের ভোট ১২টা ১ মিনিটে : নিউ হ্যাম্পশায়ারের ছোট্ট তিন শহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয় ভোট। এই শহর তিনটি হলো ডিক্সভিলি নচ, হার্টস লোকেশন ও মিলসফিল্ড। তিন শহরে মোট ভোটার ১০০ জনের কম। এর মধ্যে ট্রাম্প পান ৩২ আর হিলারি ২৫ ভোট। ডিক্সভিল নচে মোট ভোটার আটজন। সেখানে হিলারি ক্লিনটন ৪-২ ভোটে ট্রাম্পকে হারান। হিলারির এ জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল ডিক্সভিল থেকে সামান্য বড় শহর হার্টস লোকেশনেও। সেখানে হিলারি পান ১৭ ভোট। আর ট্রাম্প ১৪ ভোট। কিন্তু মিলসফিল্ডে ট্রাম্পের কাছে হেরে যান হিলারি। এই শহরে ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ ভোট আর হিলারি ৪। কানাডা সীমান্ত থেকে ১০ মাইল দক্ষিণে ডিক্সভিল নচে ১৯৪৮ সাল থেকে অন্যান্য রাজ্য থেকে আলাদা সময়ে ভোট দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। ১৯৫২ সালে ভোট দেওয়ার সময়টি একবার পরিবর্তন করা হয়। ১৯৬৪ সাল থেকে তারা আবার নির্বাচনের দিন রাত ১২টা ১ মিনিটে ভোট দিয়ে আসছেন। এএফপি, সিএনএন

সর্বশেষ খবর