ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের চমৎকার বন্ধু। দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একান্ত চেষ্টায়। তিনি গতকাল ঢাকার ধামরাইয়ে ইফাদ অটোস লিমিটেডের গাড়ি সংযোজন কারখানার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ইফাদ অটোসের গাড়ি সংযোজনে কারিগরি সহায়তা দেবে ভারতের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অশোক লেল্যান্ড। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ইফাদের নিজস্ব কারখানা ও উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন অশোক লেল্যান্ডের সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনোদ কে দাসারী। হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, পদ্মা সেতু হবে ভারত-বাংলাদেশের লাইফলাইন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হাত ধরে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল, কাল পরিক্রমায় আজ তা অনেক বেশি শক্তিশালী। সে কারণে বাংলাদেশের অবকাঠামো, রেল, নৌ, আকাশ ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ভারত।
এরপর অতিথিদের পুরো কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম ঘুরে দেখান ইফাদ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ টিপু। এর আগে কারখানা এলাকায় একটি গাছের চারা রোপণ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শ্রিংল?া তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে ধামরাইয়ে কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান ইফতেখার আহমেদ টিপু।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন— ইফাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ, ইফাদ অটোস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিন আহমেদ এবং বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক নেতারা। অনুষ্ঠানে ইফতেখার আহমেদ টিপু বলেন, বর্তমানে বিদেশ থেকে গাড়ি আমদানি করতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হয়। এই কারখানা চালু হওয়ার ফলে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত সময়ে গাড়ি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এখানে বছরে ১০ হাজার গাড়ি সংযোজন সম্ভব বলে জানান তিনি।তাসকিন আহমেদ বলেন, বেসরকারি উদ্যোগে ইতিহাসে নবদিগন্তের সূচনা করেছে ইফাদ অটোস লিমিটেড। এ কোম্পানি গাড়ি সংযোজন কারখানা চালু করায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন। তানভীর আহমেদ বলেন, দেশে বিগত ১০ বছরে ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি আমদানি বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইফাদ অটোস লিমিটেড বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও দেশকে শিল্পবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে এই সংযোজন কারখানা স্থাপন করেছে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই কারখানায় বিভিন্ন মডেলের এসি-নন-এসি, বাস, ট্রাক, কার্ভাড ভ্যান সংযোজন হবে। তাই তার উৎপাদন খরচ আমদানিকৃত তৈরি গাড়ির চেয়ে কম হবে।