মানব পাচারে জড়িতদের অধিকাংশই প্রভাবশালী। যে কারণে পুলিশ তাদের ধরতে পারছে না। মানব পাচার করে প্রভাবশালী এই দুর্বৃত্তরা শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যে কারণে তারা রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থা মানব পাচারে জড়িত ৪৬১ জনের তালিকা তৈরি করে। এদের মধ্যে ৩৫৯ জনই টেকনাফের বাসিন্দা। এর মধ্যে উখিয়া-টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাই মজিবুর রহমান ও ভাগ্নে সাহেদুর রহমান নিপুসহ বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও তাদের স্বজনদের নাম রয়েছে। তালিকায় ৪২ জন মিয়ানমারের এবং পাঁচজন মালয়েশিয়ার নাগরিক। ১০০ জন বিভিন্ন মানব পাচার মামলার আসামি। পাচারকারী তালিকায় রয়েছে ১৪ জন নারীও। সাগরপথে ঝুঁকিপূর্ণ মানব পাচারের প্রধান রুট হচ্ছে কক্সবাজার। এ এলাকা হয়ে পাচার হয়ে যাওয়া অনেক লোক মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের জঙ্গলে অনাহারে মারা গেছেন। অনেককে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা। মাঝ সাগরে অনেককে ট্রলার থেকে ফেলে দিয়ে তাদের সলিল সমাধি ঘটানো হয়েছে। অভিযোগ আছে, এ অবৈধ কর্মকাণ্ড ঘিরে লেনদেন হয় বিপুল অর্থের। তাই চিহ্নিত মানব পাচারকারীদের অর্থ লেনদেনের তথ্য যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট। এ জন্য তারা ৪৬১ সন্দেহভাজনের একটি তালিকা পাঠায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে। তালিকায় ব্যক্তির নামে ব্যাংক হিসাব থাকলে তাতে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রতি বিশেষ নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তালিকাভুক্ত সবার বাড়িই কক্সবাজার অঞ্চলে। কক্সবাজার ও টেকনাফের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে মানব পাচারকারীদের লেনদেনের তথ্য চাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে পাচারের ঘটনা মনিটর করে ‘আরাকান প্রজেক্ট’ নামের একটি সংস্থা। তাদের হিসাবে ২০০৮ সালে ট্রলারযোগে পাচার হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। ২০০৯-২০১০ সালে পাচার হয়েছে এক হাজারেরও কম। এটি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যায় ২০১২ সালে। ওই বছরে বঙ্গোপসাগর দিয়ে পাচার হয় প্রায় ২০ হাজার। ২০১৩ সালে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় পাচার হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। ২০১৫ সালে কিছুটা কমে। ২০১৬ সালের জুন থেকে আবারো পাচারের ঘটনা ঘটে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০৫ সালের দিকে ফয়েজ উল্লাহ মাঝি ও ধলু হোসেনের নেতৃত্বে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ উপকূল থেকে ফিশিং বোটে মালয়েশিয়ায় মানব পাচার শুরু হয়। এরপর রশিদ উল্লাহ মাঝি, পোয়া মাঝি, নবী হোসেন মাঝি, আইয়ুব আলী মাঝি, এজাহার মাঝির নেতৃত্বে ধীরে ধীরে মালয়েশিয়ায় পাচার সম্প্রসারিত হতে থাকে। এরাই মূলত বঙ্গোপসাগরে ৭-৮ দিন ফিশিং ট্রলার চালিয়ে শাহপরীর দ্বীপ উপকূল থেকে থাইল্যান্ড উপকূলে অবৈধ অভিবাসীদের নামিয়ে দিয়ে আসত। সেখান থেকে পাচারকারী সিন্ডিকেটের অন্য দল তাদের গ্রহণ করত। থাইল্যান্ড থেকে প্রথম দিকে মালয়েশিয়া পৌঁছে দিতে জনপ্রতি নগদে ৭০-৮০ হাজার টাকার মতো আদায় করত। একেকটি ট্রলারের আয়তন অনুযায়ী ১০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত যাত্রী এভাবে মালয়েশিয়া পৌঁছে যেত। এখন টেকনাফ ছাড়িয়ে সারা বাংলাদেশে দালালের সংখ্যা কয়েক হাজার।
শিরোনাম
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে ওরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর