সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমি সামরিক শাসক নই। আমি সামরিক আইন জারি করিনি। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার সামরিক আইন জারি করেছিলেন। আমি সেদিন ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দিয়েছিলাম। তখন কেউ নির্বাচনে আসেনি। তাই ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি গঠন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আর ক্ষমতায় থাকার সময় দেশের আমূল পরিবর্তন আনতে পেরেছিলাম। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। গতকাল জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গুলশানের ইমানুয়েলস সেন্টারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ফয়সল চিশতির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফ সিদ্দিকী, এ কে এম আসরাফুজ্জামান খান, আসমা আশরাফ প্রমুখ। এরশাদ বলেন, যারা আমাকে স্বৈরাচার বলে, আমি দেশের জন্য যে উন্নয়ন ও কাজ করেছি তা তারা করতে পারেনি। আজকে যে রাস্তার ওপর ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে সে রাস্তা আমার নির্মাণ করা। যে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে সে মাওয়া বিশ্বরোডও আমার শাসনামলের। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাভাষা আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বৈরাচারই ১৯৮৬ সালে সংসদে বিল পাস করেছিল, সংসদসহ সব অফিস আদালতে বাংলাভাষার প্রচলন করতে হবে। বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার এবং গাড়ির নম্বরপ্লেট বাংলা বাধ্যতামূলক করেছিলাম। ভঙ্গুর শহীদ মিনার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার আমি স্বৈরাচারই করেছিলাম। স্মৃতিসৌধ সংস্কার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী মাজার আমি করেছিলাম। তিনি বলেন, আমার নামে ৪২টি মামলা হয়েছিল। এখনো অনেক মামলা চলমান। কেন চলছে? এ মামলাগুলো আগের সরকারের দেওয়া। তারপরও এ মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে না। কারণ জাতীয় পার্টিকে সবাই ফ্যাক্টর মনে করে। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, এ দেশে যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছিল তাদের অবস্থা আজ কী? তারা আজ নিঃশেষ হতে চলেছে। সবই আল্লাহর বিচার।

শ্যামপুরে যৌথ সভা : গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি। তিনি বলেন, এমনিতেই প্রায় সব নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাড়িওয়ালারা নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ি ভাড়া বাড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের কোনো ধরনের তদারকি নেই। শ্যামপুর থানা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক যৌথসভায় তিনি এ কথা বলেন। বাবলা বলেন, কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সব পণ্যের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষকে চরম সংকটের মধ্যে পড়তে হবে। সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জাহিদ বিপ্লব, সুজন দে, শেখ মাসুক রহমান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর