মঙ্গলবার, ১৫ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

শেষ দেখবে বিএনপি

মাহমুদ আজহার

রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আজ খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে কয়েকজন নেতা ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রতিকূল পরিবেশেও ভোটের ফলাফল ঘোষণার শেষ পর্যন্ত থাকতে খুলনা বিএনপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে যে কোনো সময় সংবাদ সম্মেলনও ডাকা হবে। আবার কোনো অভিযোগ থাকলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশননেও যাবে। অন্যদিকে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও নির্বাচনের খোঁজখবর রাখছেন। তিনি বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আজকের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানা গেছে। বিএনপির এক সিনিয়র নেতা জানান, ভোটের শেষ পর্যন্ত খুলনায় থাকতে চায় বিএনপি। এরই মধ্যে নেতা-কর্মী ছাড়াও এজেন্টদের ধরপাকড় শুরু হয়েছে। তাতেও নির্বাচন বয়কটের চিন্তাভাবনা নেই দলটির। খুলনার থানা ও ওয়ার্ডভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে কোনো গোলযোগ করে ভোট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হলে তাত্ক্ষণিক রিটার্নিং অফিসারকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। একই অনুলিপি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। তা নিয়ে প্রয়োজনবোধে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যাবে। এ ছাড়া দফায় দফায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সর্বশেষ বিকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘আমরা আগে থেকে যে আশঙ্কা করেছিলাম, তাই সত্য হলো। সরকার ও নির্বাচন কমিশন খুলনায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নীলনকশা তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে বিএনপি নেতা-কর্মীসহ দলের প্রার্থীর এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি হানা দেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটের কোনো সম্ভাবনা নেই। তারপরও আমরা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকব ইনশাআল্লাহ। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘খুলনায় ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনো আলামতই দেখা যাচ্ছে না। সরকার ভোট ডাকাতির সবকিছুই করছে। কিন্তু ভোটাররা যদি কেন্দ্রে যেতে পারেন, তাহলে পরিস্থিতি বিএনপির অনুকূলেই আসবে। বিএনপির প্রার্থী অন্তত ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন।’ রুহুল কবির রিজভী জানান, আমরা খুলনা সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব। কোথাও কোনো গোলযোগ হলে তা তাত্ক্ষণিকভাবে স্থানীয় নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। আমরাও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো তুলে ধরব। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানানো হবে। জানা যায়, খুলনা সিটির বাইরেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি অংশ অবস্থান করছে। তারা সার্বক্ষণিক খুলনা সিটিতে নেতা-কর্মীদের নানা সমস্যাগুলো শুনে সমাধানের চেষ্টা করছে। নিজেরা না পারলে তা কেন্দ্রে জানানো হচ্ছে। কেন্দ্র তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর