শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ কাহিনী

লে. কর্নেল জাফর ইমাম (অব.) বীর বিক্রম
প্রিন্ট ভার্সন
ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ কাহিনী

ফেনীর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ ছিল মুক্তিবাহিনী ও পাক হানাদার বাহিনীর জন্য সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয়ের জন্য ছিল একটি মর্যাদার লড়াই। ফেনীর বুক চিরে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ, যা ঢাকা পর্যন্ত প্রসারিত। মার্চ ’৭১-এ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাড়তি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সৈন্য (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রেরিত) ফেনীর ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানিদের। আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল ফেনীর ওপর দিয়ে বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ যেন দেশের অন্য অঞ্চলে যেতে না পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিই।

বৃহত্তর নোয়াখালীর সাব-সেক্টর কমান্ডার ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক হিসেবে আমার ওপর এই দায়িত্ব অর্পিত হয়। আমার সঙ্গে শুরুতে ক্যাপ্টেন ইমাম-উজ জামান (পরে মেজর জেনারেল), ক্যাপ্টেন হেলাল মোর্শেদ (পরে মেজর জেনারেল), ক্যাপ্টেন শহীদ (পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল), ক্যাপ্টেন মজিবর, লে. দিদার, লে. মিজান, ক্যাপ্টেন মজিবুর, ক্যাপ্টেন মোকলেসুর রহমান, জনাব গোলাম মোস্তফা আই.ও.টু অধিনায়ক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (যুদ্ধকালীন) এরা সবাই এ যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ফেনীর ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কোনো বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করে তারা যেন বাংলাদেশে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কৌশল অবলম্বনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলি। ক. ফেনী শহরের চার পাশে প্রতিরোধের পাশাপাশি ফেনী হয়ে নোয়াখালী বেগমগঞ্জের চৌরাস্তায় চতুর্মুখী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় যেন শত্রুপক্ষ বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা হয়ে লাকসাম কুমিল্লার দিকে না যেতে পারে। অথবা ঢাকা-কুমিল্লা থেকে লাকসাম হয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার মোড়  হয়ে শত্রুপক্ষ উল্টো ফেনীতে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য কোনো সহযোগিতা না পেতে পারে। এই লক্ষ্যে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় চতুর্মুখী প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌরাস্তাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। এ চার অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয় যথাক্রমে— ১) সুবেদার লুত্ফর রহমান ও গাজী আমিন উল্লাহ ২) সুবেদার ওয়ালিউল্লাহ ৩) শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন ও ৪) সুবেদার সামছুল হক ও সুবেদার এসহাককে। আমার সঙ্গে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়ে ছিলেন ওই অঞ্চলের তৎকালীন এমএনএ নুরুল হক সাহেব। নোয়াখালী জেলার মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও ওই জেলার মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার ছাত্রনেতা বেলায়েত গংদের ছিল এই যুদ্ধে সহযোগিতা। যেমনি করে আমাদের ফেনী জেলার মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার ছিলেন ভিপি জয়নাল ও সহকারী কমান্ডার ছিলেন আবদুল মোতালেব।

খ. ফেনী জেলার প্রত্যেকটি উপজেলাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা ফেনী শহরের উপকণ্ঠে কালীরবাজার নামক স্থানে পাকবাহিনীর শক্ত ডিফেন্স ঘাঁটি থেকে মাত্র ৮০০-১০০০ গজ দূরে মুন্সিরহাট নামক স্থানে কালির বাজারে। ওই ঘাঁটির মুখোমুখি আমরাও প্রায় তিন মাইলব্যাপী ডিফেন্স স্থাপন করি। কালীরবাজার থেকে মুন্সিরহাটে আমাদের ঘাঁটির মাঝে আমরা প্রায় ৬-৭শ গজ ঘন এন্টিট্যাঙ্ক ও এন্টিপার্সোনাল মাইন ফিল্ড স্থাপন করি। শত্রুপক্ষের কালীরবাজার ঘাঁটির পক্ষে পাক হানাদারদের ছিল ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি, জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টার এবং ফেনীতে ছিল এক রেজিমেন্টের অধিক সৈন্য অনুকূল সমর্থনে। তাদের এই সক্ষমতার বিরুদ্ধে আমাদের তথা মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অসীম মনোবল, শত্রু নিধন করে দেশ মুক্ত করার দৃঢ় সংকল্প ও শপথ। একাত্তরের এপ্রিল, মে, জুনের ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই আড়াই মাসে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ৯টি আক্রমণ পরিচালনা করেছিল। তবে আমাদের সম্মুখে স্থাপিত ঘন মাইন ফিল্ড ও আমাদের ভারতীয় আর্টিলারির সমর্থনে ব্যাপক মর্টার ও ভারী অস্ত্র ফায়ারিংয়ের মুখে তারা আমাদের পাতানো ফাঁদ মাইন ফিল্ড অতিক্রম করতে পারেনি। আমরা প্রত্যেকটি আক্রমণে প্রত্যক্ষ করেছি তারা যখন মাইন ফিল্ড সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করত, তখন মাইনগুলো খৈইয়ের মতো ফুটত আর তারা ওই মাইন ফিল্ডে কাতরাত। আড়াই মাসের এই সম্মুখযুদ্ধে তাদের প্রায় ৩০০ জন হতাহত হয়েছিল। এ. এ. কে জেনারেল নিয়াজী তার বই “THE BETRAYAL OF EAST PAKISTAN (Page 209) এ স্বীকার করেছেন এই বলে যে, A Brigade action which launched at Belonia was repulsed; এটা ছিল প্রথম বিলোনিয়া সম্মুখযুদ্ধে গণযোদ্ধা ও নিউক্লিয়াস অব ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঐতিহাসিক সামরিক অভিযান। পরে অবশ্য রণকৌশলগত কারণে এই ডিফেন্স আমরা মুহুরি নদীর পাড়ে প্রতিষ্ঠা করি এবং দ্বিতীয় বিলোনিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিই। সেদিনের সেই সফল উইথড্রয়াল প্রাণ রক্ষা করেছিল প্রায় ৫০০-এর অধিক। গণযোদ্ধা এবং পুরো একটি ব্যাটালিয়ন-সর্বমোট প্রায় ১ হাজার ৭০০ মুক্তিযোদ্ধার। উইথড্রয়াল একটি সামরিক অভিযান/অপারেশন। এই রণকৌশল ও আমাদের সফল উইথড্রয়ালে সেদিন আমাদের সহযোগী বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রশংসা করেছিল।

গ. এর পাশাপাশি ফেনী শহরের চারপাশে আমাদের গেরিলা তৎপরতা ও রেইড ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে ওতপাতা মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর চলাচলের ওপর নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অ্যাকশনে যেতে বিলম্ব করত না।

বিশেষ করে ফেনী থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সামরিক কায়দায় তাদের চলাচল ও অস্ত্র/সৈন্য ভর্তি সামরিক যানবাহনের ওপর আমরা রেইড ও অ্যাম্বুসের মাধ্যমে তাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হই। একাত্তরের মের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের পিণ্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নেই। সেই মুহূর্তে এক বিদেশি সাংবাদিক ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন এই বলে যে, আমি মাত্র কয়েকদিন আগে ফেনীর বিলোনীয়া মুক্ত অঞ্চল ঘুরে এসেছি। সেখানে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া এই তিনটি উপজেলা সম্পূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে মুক্ত অঞ্চল দেখেছি। পাকিস্তানের কোনো খবরদারি ও আধিপত্য এই অঞ্চলে নেই। সেই  বিদেশি সাংবাদিক আরও বলেন, ‘আমি আরও শুনে এসেছি। এই তিনটি মুক্ত উপজেলা যার তিন দিকে ভারত সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত প্রায় ৮ থেকে ১৩ মাইল চওড়া ও প্রায় ১৯ মাইল দীর্ঘ এই জনপদ যদি এইভাবে মুক্ত অঞ্চল হিসেবে থাকে তাহলে স্বাধীন বাংলা সরকারের অস্থায়ী রাজধানী/হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হবে। আসলে আমার সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ যখনই এই রণাঙ্গন পরিদর্শনে আসতেন তখন আমাকে এই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া খান ওই সাংবাদিক থেকে এই কথাগুলো জানার পর তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার জেনারেল হামিদকে ফেনী যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই যুদ্ধে তাকে সরাসরি তদারকি করার পরামর্শ দেন। পাক জেনারেল হামিদ ফেনী সার্কিট হাউস থেকে এই যুদ্ধ আমাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করেছিল। এই যুদ্ধে ফেনীর প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন পর্যায়ে সম্মুখ ও গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সবার অবদান আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। এই পর্যায়ে আমি ফেনীর তৎকালীন নেতা খাজা আহম্মদকে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকার জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

একাত্তরের ১০ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী চিথলীয়া ও পরশুরাম ২য় বিলোনীয়া যুদ্ধে সম্পূর্ণ পরাজিত ও বিধ্বস্ত হয়। এই সম্মুখযুদ্ধে ১০০ এর উপরে তাদের লোক হতাহত হয়। রণকৌশলে ভরপুর এই যুদ্ধে এই রণাঙ্গনে এই পরাজয়ের পর অবশিষ্ট দুজন অফিসারসহ মোট ৭২ জন সৈনিক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তথা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিরাট গর্ব ও ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১০ নভেম্বর পরশুরামের এই ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত করা পর্যন্ত আমাদের সময় লেগেছিল ২৬ দিন। পরশুরাম চিথলিয়া থেকে ফেনী পর্যন্ত এই সামরিক অভিযানে ফেনীর উপকণ্ঠে পৌঁছবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ফুলগাজী, গাবতলী পশুরহাট, কালীরবাজার, পাঠাননগর পর্যন্ত তাদের এই ঘাঁটিগুলো মুক্ত করতে প্রায় ২৫ দিন ব্যাপক সম্মুখ সমরে লিপ্ত ছিলাম। এই সম্মুখ সমরগুলো ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে অ্যামবুশ রেইড অব্যাহত ছিল। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে আসছিল। ঠিক এই সময়ে আমাদের ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভূইয়া ও ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের স্থানীয় গেরিলা যোদ্ধারা তাদের অভিযান ও গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শত্রুর ওপর চাপ অব্যাহত রাখে। আমরা ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী যখন ফেনী শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে শহরের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করি, তখন পাকহানাদার বাহিনী ৫ তারিখ রাত থেকে ফেনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। কেউ বেগমগঞ্জ ও লাকসাম হয়ে কুমিল্লার দিকে আবার আরেকটি অংশ চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন পালিয়ে যাওয়া এই পাক হানাদারদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়।

৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হওয়ার পর ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি অংশ পাইওনিয়ার প্লাটুন ও গণযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে আমি ও লে. দিদার নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দিই। নোয়াখালী ঢোকার মুখে নোয়াখালী টেকনিক্যাল কলেজে আমাদের সঙ্গে শত্রুপক্ষ ও তাদের দোসরদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে তাদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আমাদের আক্রমণের তীব্রতার মুখে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে আমরা নোয়াখালী সার্কিট হাউসে ওই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হই ও শুভেচ্ছা বিনিময় করি। নোয়াখালী জেলার তৎকালীন ছাত্রনেতা ও জেলা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েত তখন উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আমরা ফেনী ফিরে আসি। ফেনী ও নোয়াখালী মুক্ত হবার পরও আমাদের দায়িত্ব ও করণীয় তখনো শেষ হয়নি। ৯ ডিসেম্বর ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল হীরার সার্বিক নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মুক্ত করার অভিযানে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হই। এখানে উল্লেখ্য, এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিগেড অংশগ্রহণ করে। এই অভিযানে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের মুক্তিবাহিনীর আরেকটি বড় অংশ মিরসরাই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে হাটহাজারী চট্টগ্রাম অভিমুখে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যার অধিনায়ক ছিলেন ক্যাপ্টেন গাফফার বীর উত্তম। তার সহযোগী ছিলেন ক্যাপ্টেন কবির, লে. জামিল (দুজনই পরে মেজর জেনারেল)। গাফফার গংদের সার্বিক নেতৃত্বে ছিলেন কিলো ফোর্স কমান্ডার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনান্দ সরূপ। জেনারেল হীরার নেতৃত্বে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে এবং আনান্দ সরূপের নেতৃত্বে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম এই উভয় গ্রুপ চট্টগ্রাম শহরে ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছার আগে শত্রুপক্ষের সঙ্গে অনেকগুলো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হয়। এই মিত্রবাহিনীর চাপ সইতে না পেরে তারা পিছু হটে চট্টগ্রাম শহরের চট্টগ্রাম সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষগুলোতে উভয় পক্ষের অনেক হতাহত হয়।

আমরা ৬ ডিসেম্বর বীরদর্পে ফেনীতে প্রবেশ করি। তখন ফেনী সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত। এই যুদ্ধে আমাদের প্রায় ১৩৭ জন সম্মুখযুদ্ধে শহীদ ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। ৬ ডিসেম্বর সেদিন ফেনী শহরে সৃষ্টি হয়েছিল এক আনন্দঘন পরিবেশ। জয় বাংলা-জয় বাংলা স্লোগানে স্লোগানে ফেনীর আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছিল। ফেনী শহরে সেদিন নেমেছিল মুক্তিকামী জনতার ঢল। এদের মধ্যে আমরা দেখেছি আনন্দ উল্লাস, তেমনি আবার লক্ষ্য করেছি তাদের মাঝে স্বজন হারানোর বেদনা। আমরা দেখেছি অশ্রুসজল নয়ন আর স্বজন হারানোর বেদনার ছাপ। এর মধ্যেও তারা বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের হাত নেড়ে ফুল দিয়ে বরণ করে। সেই এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি যাকে ভোলা যায় না কিছুতেই। আমরা সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। তাদের আবেগ অনুভূতি আনন্দ উল্লাসের মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছিলাম ফেনীর সেদিনের সেই জনগণ যেন মুক্ত আকাশের নিচে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

অনেক প্রতীক্ষিত মুক্তির পর সেদিন ছিল না কোনো দলীয় সংকীর্ণতা, ছিল না কোনো হানাহানি, ছিল না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ। সবার মধ্যে সেদিন ছিল দুচোখ ভরা স্বপ্ন আর আকাশসম আশা, ছিল দৃঢ় সংকল্প ‘নিজের দেশকে নিজের হাতে গড়ব’। আমাদের মধ্যে থাকবে না কোনো হানাহানি। আমরা সবাই মিলে শহীদদের স্বপ্নসাধ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনব। শহীদদের এই স্বপ্নসাধের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এক ও অভিন্ন। এই অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করা এবং প্রজন্মকে এই ইতিহাস উপহার দিয়ে যাওয়া। কারণ তারাই এই ইতিহাসকে ধারণ ও লালন করবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ও রণাঙ্গনগুলোতে যুদ্ধকালীন সংঘটিত গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা লিপিবদ্ধ করে ইতিহাসকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এই ব্যর্থতার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না।

লেখক : বীর বিক্রম, সাব-সেক্টর কমান্ডার, বৃহত্তর নোয়াখালী এবং অধিনায়ক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল (যুদ্ধকালীন) সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে
এক দিনে মূলধন কমল ৮ হাজার কোটি টাকা
এক দিনে মূলধন কমল ৮ হাজার কোটি টাকা
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
সুন্দর দেশ গড়তে দরকার ভালো সরকার
সুন্দর দেশ গড়তে দরকার ভালো সরকার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্রিটিশ উন্নয়নমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্রিটিশ উন্নয়নমন্ত্রী
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আলী রীয়াজ
গণতান্ত্রিক ধারায়  ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার একমাত্র পথ নির্বাচন
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি
ভোটের পরিবেশ নিয়ে ইসিতে শঙ্কা জানাল দলগুলো
ভোটের পরিবেশ নিয়ে ইসিতে শঙ্কা জানাল দলগুলো
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
সর্বশেষ খবর
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুম নষ্ট হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুম নষ্ট হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের

এই মাত্র | জীবন ধারা

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুষ্টিয়ায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে কুষ্টিয়ায় র‍্যালি ও আলোচনা সভা

৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কমেনি পিঁয়াজের দাম, সরবরাহ বাড়ছে শীতের সবজির
কমেনি পিঁয়াজের দাম, সরবরাহ বাড়ছে শীতের সবজির

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

কেমন থাকবে আগামী ৫ দিন আবহাওয়া
কেমন থাকবে আগামী ৫ দিন আবহাওয়া

১৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সারাদেশের তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা
সারাদেশের তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

২৪ মিনিট আগে | জাতীয়

কিয়েভে রুশ হামলায় হতাহত ১৬
কিয়েভে রুশ হামলায় হতাহত ১৬

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় পেল ইংল্যান্ড-ইতালি
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জয় পেল ইংল্যান্ড-ইতালি

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

কোমর ও গোড়ালির তীব্র যন্ত্রণা? ওষুধ নয়, মুক্তি মিলবে একটি যোগব্যায়ামে
কোমর ও গোড়ালির তীব্র যন্ত্রণা? ওষুধ নয়, মুক্তি মিলবে একটি যোগব্যায়ামে

৩৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল চীন
তাইওয়ান ইস্যুতে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল চীন

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ দলের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট

৪৮ মিনিট আগে | পরবাস

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

৫০ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

যুদ্ধবিরতির পরেও লেবাননে ১১৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
যুদ্ধবিরতির পরেও লেবাননে ১১৪ বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফরের পরিকল্পনা ট্রাম্পের
অর্থনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সফরের পরিকল্পনা ট্রাম্পের

৫৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু
চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে হাজারের বেশি অভিবাসীর মৃত্যু

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত
ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিখোঁজ ২১
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিখোঁজ ২১

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয়ের গোপন কথা ফাঁস করলেন ভিকি
ক্যাটরিনার সঙ্গে পরিচয়ের গোপন কথা ফাঁস করলেন ভিকি

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাম্প্রেসকে সাজঘরে পাঠালেন তাইজুল, জয়ের আরও কাছে টাইগাররা
হাম্প্রেসকে সাজঘরে পাঠালেন তাইজুল, জয়ের আরও কাছে টাইগাররা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রোনালদো
বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রোনালদো

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আবুধাবিতে বসছে আইপিএলের নিলাম
আবুধাবিতে বসছে আইপিএলের নিলাম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন নামে রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু
নতুন নামে রিয়াল মাদ্রিদের হোম ভেন্যু

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে অগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ
মানিকগঞ্জে স্কুলবাসে অগুন, ঘুমন্ত চালক দগ্ধ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিজেদের তৈরি বিদ্যুৎচালিত বিমান উদ্বোধন করল আমিরাত
নিজেদের তৈরি বিদ্যুৎচালিত বিমান উদ্বোধন করল আমিরাত

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

দেশজুড়ে নাশকতা প্রতিরোধে যুব মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল
দেশজুড়ে নাশকতা প্রতিরোধে যুব মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ ঢাকা দ্বিতীয়
বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ ঢাকা দ্বিতীয়

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেঁতুলিয়ায় হিমেল হাওয়ার দাপট, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় হিমেল হাওয়ার দাপট, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ
অগ্নি-ককটেল সন্ত্রাস কারা করে, জানালেন সোহেল তাজ

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন
গণভোটের ব্যালটে থাকছে যে প্রশ্ন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধ : শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণা ১৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি, গেজেট প্রকাশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের
পরিচয় মিলেছে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা
চিলির সুন্দরীকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশের মিথিলা

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি: জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির
প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ বিএনপির

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে জামায়াত

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি
যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো পেনি অধ্যায়, ২৩২ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি
বন্যার ঝুঁকিতে সৌদি আরব, আবহাওয়া সতর্কতা জারি

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নিরস্ত্র পুলিশ মোতায়েন জার্মানির

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার
৮ জেলার ডিসি প্রত্যাহার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাংবাদিক সুভাষ সিংহের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি
সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কানাডায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জের মুখে অভিবাসীরা
কানাডায় ইমিগ্রেশন ব্যবস্থায় পরিবর্তন, চ্যালেঞ্জের মুখে অভিবাসীরা

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ, এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ, এরপরেই প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ
ডরি ফিশের নামে খাওয়ানো হচ্ছে পাঙাশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’
যত পরিবর্তনের ছবি ‘ম্যায় হুঁ না’

শোবিজ

তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন
তারকাদের বাবা-মায়েরা কে কী করতেন

শোবিজ

টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা
টিকিটের কৃত্রিম সংকট করলেই সাজা

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া
হামজার জোড়া গোলেও জয় হাতছাড়া

মাঠে ময়দানে

রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই
রাষ্ট্রপতির আদেশ জারির নৈতিক ভিত্তি নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

সমুদ্রবিলাসে প্রভা
সমুদ্রবিলাসে প্রভা

শোবিজ

জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’
জোভান-আইশার নাটক ‘ইশারা’

শোবিজ

রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ
রাজশাহী অঞ্চলে কমেছে ইলিশ আহরণ

নগর জীবন

চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা
চাপা আতঙ্কে ঢাকা ফাঁকা

প্রথম পৃষ্ঠা

পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান
পার্থক্য বুঝিয়ে দিল পাকিস্তান

মাঠে ময়দানে

ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়
ঐক্যই জয় বিভক্তিতে ক্ষয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি
নেতৃত্বে ফিরেই নাজমুলের সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়
উইন্ডিজদের হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন
ছাত্রীকে যৌন হয়রানি অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর আগুন

দেশগ্রাম

নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি
নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি

নগর জীবন

নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে
নির্বাচনের আগে-পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখতে হবে

নগর জীবন

আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের
আটক ৬১৫ অভিবাসীকে মুক্তির নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পূর্ব-পশ্চিম

একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য
একই দিন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অগ্রহণযোগ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা
ফ্ল্যাটে ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট

প্রথম পৃষ্ঠা

বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ
বাড়ছেই বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ

পেছনের পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী
আইসিসিবিতে জমজমাট আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা মূল দলিল থেকে বহু দূরে সরে গেছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ
হাই কোর্টের সামনে ড্রামে খণ্ডবিখণ্ড লাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু
বিএনপি রেইনবো সরকার গঠন করবে : টুকু

নগর জীবন

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস
বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করল বিশ্ববিখ্যাত আইসক্রিম ব্র্যান্ড বাসকিন-রবিনস

নগর জীবন

ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা
ডিপজলের বিরুদ্ধে এবার হত্যাচেষ্টা মামলা

নগর জীবন