শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ কাহিনী

লে. কর্নেল জাফর ইমাম (অব.) বীর বিক্রম
প্রিন্ট ভার্সন
ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ কাহিনী

ফেনীর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ ছিল মুক্তিবাহিনী ও পাক হানাদার বাহিনীর জন্য সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয়ের জন্য ছিল একটি মর্যাদার লড়াই। ফেনীর বুক চিরে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ, যা ঢাকা পর্যন্ত প্রসারিত। মার্চ ’৭১-এ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাড়তি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সৈন্য (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রেরিত) ফেনীর ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানিদের। আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল ফেনীর ওপর দিয়ে বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ যেন দেশের অন্য অঞ্চলে যেতে না পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিই।

বৃহত্তর নোয়াখালীর সাব-সেক্টর কমান্ডার ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক হিসেবে আমার ওপর এই দায়িত্ব অর্পিত হয়। আমার সঙ্গে শুরুতে ক্যাপ্টেন ইমাম-উজ জামান (পরে মেজর জেনারেল), ক্যাপ্টেন হেলাল মোর্শেদ (পরে মেজর জেনারেল), ক্যাপ্টেন শহীদ (পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল), ক্যাপ্টেন মজিবর, লে. দিদার, লে. মিজান, ক্যাপ্টেন মজিবুর, ক্যাপ্টেন মোকলেসুর রহমান, জনাব গোলাম মোস্তফা আই.ও.টু অধিনায়ক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (যুদ্ধকালীন) এরা সবাই এ যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ফেনীর ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কোনো বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করে তারা যেন বাংলাদেশে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কৌশল অবলম্বনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলি। ক. ফেনী শহরের চার পাশে প্রতিরোধের পাশাপাশি ফেনী হয়ে নোয়াখালী বেগমগঞ্জের চৌরাস্তায় চতুর্মুখী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় যেন শত্রুপক্ষ বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা হয়ে লাকসাম কুমিল্লার দিকে না যেতে পারে। অথবা ঢাকা-কুমিল্লা থেকে লাকসাম হয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার মোড়  হয়ে শত্রুপক্ষ উল্টো ফেনীতে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য কোনো সহযোগিতা না পেতে পারে। এই লক্ষ্যে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় চতুর্মুখী প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌরাস্তাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। এ চার অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয় যথাক্রমে— ১) সুবেদার লুত্ফর রহমান ও গাজী আমিন উল্লাহ ২) সুবেদার ওয়ালিউল্লাহ ৩) শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন ও ৪) সুবেদার সামছুল হক ও সুবেদার এসহাককে। আমার সঙ্গে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়ে ছিলেন ওই অঞ্চলের তৎকালীন এমএনএ নুরুল হক সাহেব। নোয়াখালী জেলার মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও ওই জেলার মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার ছাত্রনেতা বেলায়েত গংদের ছিল এই যুদ্ধে সহযোগিতা। যেমনি করে আমাদের ফেনী জেলার মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার ছিলেন ভিপি জয়নাল ও সহকারী কমান্ডার ছিলেন আবদুল মোতালেব।

খ. ফেনী জেলার প্রত্যেকটি উপজেলাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা ফেনী শহরের উপকণ্ঠে কালীরবাজার নামক স্থানে পাকবাহিনীর শক্ত ডিফেন্স ঘাঁটি থেকে মাত্র ৮০০-১০০০ গজ দূরে মুন্সিরহাট নামক স্থানে কালির বাজারে। ওই ঘাঁটির মুখোমুখি আমরাও প্রায় তিন মাইলব্যাপী ডিফেন্স স্থাপন করি। কালীরবাজার থেকে মুন্সিরহাটে আমাদের ঘাঁটির মাঝে আমরা প্রায় ৬-৭শ গজ ঘন এন্টিট্যাঙ্ক ও এন্টিপার্সোনাল মাইন ফিল্ড স্থাপন করি। শত্রুপক্ষের কালীরবাজার ঘাঁটির পক্ষে পাক হানাদারদের ছিল ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি, জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টার এবং ফেনীতে ছিল এক রেজিমেন্টের অধিক সৈন্য অনুকূল সমর্থনে। তাদের এই সক্ষমতার বিরুদ্ধে আমাদের তথা মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অসীম মনোবল, শত্রু নিধন করে দেশ মুক্ত করার দৃঢ় সংকল্প ও শপথ। একাত্তরের এপ্রিল, মে, জুনের ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই আড়াই মাসে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ৯টি আক্রমণ পরিচালনা করেছিল। তবে আমাদের সম্মুখে স্থাপিত ঘন মাইন ফিল্ড ও আমাদের ভারতীয় আর্টিলারির সমর্থনে ব্যাপক মর্টার ও ভারী অস্ত্র ফায়ারিংয়ের মুখে তারা আমাদের পাতানো ফাঁদ মাইন ফিল্ড অতিক্রম করতে পারেনি। আমরা প্রত্যেকটি আক্রমণে প্রত্যক্ষ করেছি তারা যখন মাইন ফিল্ড সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করত, তখন মাইনগুলো খৈইয়ের মতো ফুটত আর তারা ওই মাইন ফিল্ডে কাতরাত। আড়াই মাসের এই সম্মুখযুদ্ধে তাদের প্রায় ৩০০ জন হতাহত হয়েছিল। এ. এ. কে জেনারেল নিয়াজী তার বই “THE BETRAYAL OF EAST PAKISTAN (Page 209) এ স্বীকার করেছেন এই বলে যে, A Brigade action which launched at Belonia was repulsed; এটা ছিল প্রথম বিলোনিয়া সম্মুখযুদ্ধে গণযোদ্ধা ও নিউক্লিয়াস অব ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঐতিহাসিক সামরিক অভিযান। পরে অবশ্য রণকৌশলগত কারণে এই ডিফেন্স আমরা মুহুরি নদীর পাড়ে প্রতিষ্ঠা করি এবং দ্বিতীয় বিলোনিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিই। সেদিনের সেই সফল উইথড্রয়াল প্রাণ রক্ষা করেছিল প্রায় ৫০০-এর অধিক। গণযোদ্ধা এবং পুরো একটি ব্যাটালিয়ন-সর্বমোট প্রায় ১ হাজার ৭০০ মুক্তিযোদ্ধার। উইথড্রয়াল একটি সামরিক অভিযান/অপারেশন। এই রণকৌশল ও আমাদের সফল উইথড্রয়ালে সেদিন আমাদের সহযোগী বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রশংসা করেছিল।

গ. এর পাশাপাশি ফেনী শহরের চারপাশে আমাদের গেরিলা তৎপরতা ও রেইড ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে ওতপাতা মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর চলাচলের ওপর নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অ্যাকশনে যেতে বিলম্ব করত না।

বিশেষ করে ফেনী থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সামরিক কায়দায় তাদের চলাচল ও অস্ত্র/সৈন্য ভর্তি সামরিক যানবাহনের ওপর আমরা রেইড ও অ্যাম্বুসের মাধ্যমে তাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হই। একাত্তরের মের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের পিণ্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নেই। সেই মুহূর্তে এক বিদেশি সাংবাদিক ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন এই বলে যে, আমি মাত্র কয়েকদিন আগে ফেনীর বিলোনীয়া মুক্ত অঞ্চল ঘুরে এসেছি। সেখানে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া এই তিনটি উপজেলা সম্পূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে মুক্ত অঞ্চল দেখেছি। পাকিস্তানের কোনো খবরদারি ও আধিপত্য এই অঞ্চলে নেই। সেই  বিদেশি সাংবাদিক আরও বলেন, ‘আমি আরও শুনে এসেছি। এই তিনটি মুক্ত উপজেলা যার তিন দিকে ভারত সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত প্রায় ৮ থেকে ১৩ মাইল চওড়া ও প্রায় ১৯ মাইল দীর্ঘ এই জনপদ যদি এইভাবে মুক্ত অঞ্চল হিসেবে থাকে তাহলে স্বাধীন বাংলা সরকারের অস্থায়ী রাজধানী/হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হবে। আসলে আমার সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ যখনই এই রণাঙ্গন পরিদর্শনে আসতেন তখন আমাকে এই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া খান ওই সাংবাদিক থেকে এই কথাগুলো জানার পর তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার জেনারেল হামিদকে ফেনী যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই যুদ্ধে তাকে সরাসরি তদারকি করার পরামর্শ দেন। পাক জেনারেল হামিদ ফেনী সার্কিট হাউস থেকে এই যুদ্ধ আমাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করেছিল। এই যুদ্ধে ফেনীর প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন পর্যায়ে সম্মুখ ও গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সবার অবদান আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। এই পর্যায়ে আমি ফেনীর তৎকালীন নেতা খাজা আহম্মদকে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকার জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

একাত্তরের ১০ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী চিথলীয়া ও পরশুরাম ২য় বিলোনীয়া যুদ্ধে সম্পূর্ণ পরাজিত ও বিধ্বস্ত হয়। এই সম্মুখযুদ্ধে ১০০ এর উপরে তাদের লোক হতাহত হয়। রণকৌশলে ভরপুর এই যুদ্ধে এই রণাঙ্গনে এই পরাজয়ের পর অবশিষ্ট দুজন অফিসারসহ মোট ৭২ জন সৈনিক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তথা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিরাট গর্ব ও ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১০ নভেম্বর পরশুরামের এই ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত করা পর্যন্ত আমাদের সময় লেগেছিল ২৬ দিন। পরশুরাম চিথলিয়া থেকে ফেনী পর্যন্ত এই সামরিক অভিযানে ফেনীর উপকণ্ঠে পৌঁছবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ফুলগাজী, গাবতলী পশুরহাট, কালীরবাজার, পাঠাননগর পর্যন্ত তাদের এই ঘাঁটিগুলো মুক্ত করতে প্রায় ২৫ দিন ব্যাপক সম্মুখ সমরে লিপ্ত ছিলাম। এই সম্মুখ সমরগুলো ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে অ্যামবুশ রেইড অব্যাহত ছিল। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে আসছিল। ঠিক এই সময়ে আমাদের ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভূইয়া ও ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের স্থানীয় গেরিলা যোদ্ধারা তাদের অভিযান ও গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শত্রুর ওপর চাপ অব্যাহত রাখে। আমরা ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী যখন ফেনী শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে শহরের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করি, তখন পাকহানাদার বাহিনী ৫ তারিখ রাত থেকে ফেনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। কেউ বেগমগঞ্জ ও লাকসাম হয়ে কুমিল্লার দিকে আবার আরেকটি অংশ চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন পালিয়ে যাওয়া এই পাক হানাদারদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়।

৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হওয়ার পর ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি অংশ পাইওনিয়ার প্লাটুন ও গণযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে আমি ও লে. দিদার নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দিই। নোয়াখালী ঢোকার মুখে নোয়াখালী টেকনিক্যাল কলেজে আমাদের সঙ্গে শত্রুপক্ষ ও তাদের দোসরদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে তাদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আমাদের আক্রমণের তীব্রতার মুখে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে আমরা নোয়াখালী সার্কিট হাউসে ওই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হই ও শুভেচ্ছা বিনিময় করি। নোয়াখালী জেলার তৎকালীন ছাত্রনেতা ও জেলা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েত তখন উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আমরা ফেনী ফিরে আসি। ফেনী ও নোয়াখালী মুক্ত হবার পরও আমাদের দায়িত্ব ও করণীয় তখনো শেষ হয়নি। ৯ ডিসেম্বর ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল হীরার সার্বিক নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মুক্ত করার অভিযানে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হই। এখানে উল্লেখ্য, এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিগেড অংশগ্রহণ করে। এই অভিযানে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের মুক্তিবাহিনীর আরেকটি বড় অংশ মিরসরাই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে হাটহাজারী চট্টগ্রাম অভিমুখে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যার অধিনায়ক ছিলেন ক্যাপ্টেন গাফফার বীর উত্তম। তার সহযোগী ছিলেন ক্যাপ্টেন কবির, লে. জামিল (দুজনই পরে মেজর জেনারেল)। গাফফার গংদের সার্বিক নেতৃত্বে ছিলেন কিলো ফোর্স কমান্ডার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনান্দ সরূপ। জেনারেল হীরার নেতৃত্বে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে এবং আনান্দ সরূপের নেতৃত্বে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম এই উভয় গ্রুপ চট্টগ্রাম শহরে ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছার আগে শত্রুপক্ষের সঙ্গে অনেকগুলো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হয়। এই মিত্রবাহিনীর চাপ সইতে না পেরে তারা পিছু হটে চট্টগ্রাম শহরের চট্টগ্রাম সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষগুলোতে উভয় পক্ষের অনেক হতাহত হয়।

আমরা ৬ ডিসেম্বর বীরদর্পে ফেনীতে প্রবেশ করি। তখন ফেনী সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত। এই যুদ্ধে আমাদের প্রায় ১৩৭ জন সম্মুখযুদ্ধে শহীদ ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। ৬ ডিসেম্বর সেদিন ফেনী শহরে সৃষ্টি হয়েছিল এক আনন্দঘন পরিবেশ। জয় বাংলা-জয় বাংলা স্লোগানে স্লোগানে ফেনীর আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছিল। ফেনী শহরে সেদিন নেমেছিল মুক্তিকামী জনতার ঢল। এদের মধ্যে আমরা দেখেছি আনন্দ উল্লাস, তেমনি আবার লক্ষ্য করেছি তাদের মাঝে স্বজন হারানোর বেদনা। আমরা দেখেছি অশ্রুসজল নয়ন আর স্বজন হারানোর বেদনার ছাপ। এর মধ্যেও তারা বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের হাত নেড়ে ফুল দিয়ে বরণ করে। সেই এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি যাকে ভোলা যায় না কিছুতেই। আমরা সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। তাদের আবেগ অনুভূতি আনন্দ উল্লাসের মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছিলাম ফেনীর সেদিনের সেই জনগণ যেন মুক্ত আকাশের নিচে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

অনেক প্রতীক্ষিত মুক্তির পর সেদিন ছিল না কোনো দলীয় সংকীর্ণতা, ছিল না কোনো হানাহানি, ছিল না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ। সবার মধ্যে সেদিন ছিল দুচোখ ভরা স্বপ্ন আর আকাশসম আশা, ছিল দৃঢ় সংকল্প ‘নিজের দেশকে নিজের হাতে গড়ব’। আমাদের মধ্যে থাকবে না কোনো হানাহানি। আমরা সবাই মিলে শহীদদের স্বপ্নসাধ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনব। শহীদদের এই স্বপ্নসাধের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এক ও অভিন্ন। এই অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করা এবং প্রজন্মকে এই ইতিহাস উপহার দিয়ে যাওয়া। কারণ তারাই এই ইতিহাসকে ধারণ ও লালন করবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ও রণাঙ্গনগুলোতে যুদ্ধকালীন সংঘটিত গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা লিপিবদ্ধ করে ইতিহাসকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এই ব্যর্থতার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না।

লেখক : বীর বিক্রম, সাব-সেক্টর কমান্ডার, বৃহত্তর নোয়াখালী এবং অধিনায়ক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল (যুদ্ধকালীন) সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুললেন নাহিদ
কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজস্ব খাতে
কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে রাজস্ব খাতে
হাসিনার বিচার ঠিক গতিতেই এগোচ্ছে
হাসিনার বিচার ঠিক গতিতেই এগোচ্ছে
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
আগের গভর্নররা এজেন্টের কাজ করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের হুঁশিয়ারি
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোনালাপ
দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীন ইতিবাচক
দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফেরাতে চীন ইতিবাচক
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন
গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে ফেলে পালালেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশনাল ডিরেক্টর জঁ পেসমে
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশনাল ডিরেক্টর জঁ পেসমে

নগর জীবন