শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ আপডেট:

ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ কাহিনী

লে. কর্নেল জাফর ইমাম (অব.) বীর বিক্রম
প্রিন্ট ভার্সন
ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ কাহিনী

ফেনীর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ফেনী-বিলোনীয়া যুদ্ধ ছিল মুক্তিবাহিনী ও পাক হানাদার বাহিনীর জন্য সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উভয়ের জন্য ছিল একটি মর্যাদার লড়াই। ফেনীর বুক চিরে চলে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ, যা ঢাকা পর্যন্ত প্রসারিত। মার্চ ’৭১-এ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বাড়তি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সৈন্য (তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে প্রেরিত) ফেনীর ওপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানিদের। আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল ফেনীর ওপর দিয়ে বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ যেন দেশের অন্য অঞ্চলে যেতে না পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক প্রস্তুতি নিই।

বৃহত্তর নোয়াখালীর সাব-সেক্টর কমান্ডার ও ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা অধিনায়ক হিসেবে আমার ওপর এই দায়িত্ব অর্পিত হয়। আমার সঙ্গে শুরুতে ক্যাপ্টেন ইমাম-উজ জামান (পরে মেজর জেনারেল), ক্যাপ্টেন হেলাল মোর্শেদ (পরে মেজর জেনারেল), ক্যাপ্টেন শহীদ (পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল), ক্যাপ্টেন মজিবর, লে. দিদার, লে. মিজান, ক্যাপ্টেন মজিবুর, ক্যাপ্টেন মোকলেসুর রহমান, জনাব গোলাম মোস্তফা আই.ও.টু অধিনায়ক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট (যুদ্ধকালীন) এরা সবাই এ যুদ্ধে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ফেনীর ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে কোনো বাড়তি সৈন্য ও গোলাবারুদ বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করে তারা যেন বাংলাদেশে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সামরিক কৌশল অবলম্বনে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলি। ক. ফেনী শহরের চার পাশে প্রতিরোধের পাশাপাশি ফেনী হয়ে নোয়াখালী বেগমগঞ্জের চৌরাস্তায় চতুর্মুখী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয় যেন শত্রুপক্ষ বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা হয়ে লাকসাম কুমিল্লার দিকে না যেতে পারে। অথবা ঢাকা-কুমিল্লা থেকে লাকসাম হয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার মোড়  হয়ে শত্রুপক্ষ উল্টো ফেনীতে তাদের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য কোনো সহযোগিতা না পেতে পারে। এই লক্ষ্যে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় চতুর্মুখী প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। নোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌরাস্তাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। এ চার অংশের দায়িত্ব দেওয়া হয় যথাক্রমে— ১) সুবেদার লুত্ফর রহমান ও গাজী আমিন উল্লাহ ২) সুবেদার ওয়ালিউল্লাহ ৩) শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন ও ৪) সুবেদার সামছুল হক ও সুবেদার এসহাককে। আমার সঙ্গে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়ে ছিলেন ওই অঞ্চলের তৎকালীন এমএনএ নুরুল হক সাহেব। নোয়াখালী জেলার মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও ওই জেলার মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার ছাত্রনেতা বেলায়েত গংদের ছিল এই যুদ্ধে সহযোগিতা। যেমনি করে আমাদের ফেনী জেলার মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার ছিলেন ভিপি জয়নাল ও সহকারী কমান্ডার ছিলেন আবদুল মোতালেব।

খ. ফেনী জেলার প্রত্যেকটি উপজেলাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমরা ফেনী শহরের উপকণ্ঠে কালীরবাজার নামক স্থানে পাকবাহিনীর শক্ত ডিফেন্স ঘাঁটি থেকে মাত্র ৮০০-১০০০ গজ দূরে মুন্সিরহাট নামক স্থানে কালির বাজারে। ওই ঘাঁটির মুখোমুখি আমরাও প্রায় তিন মাইলব্যাপী ডিফেন্স স্থাপন করি। কালীরবাজার থেকে মুন্সিরহাটে আমাদের ঘাঁটির মাঝে আমরা প্রায় ৬-৭শ গজ ঘন এন্টিট্যাঙ্ক ও এন্টিপার্সোনাল মাইন ফিল্ড স্থাপন করি। শত্রুপক্ষের কালীরবাজার ঘাঁটির পক্ষে পাক হানাদারদের ছিল ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি, জঙ্গিবিমান ও হেলিকপ্টার এবং ফেনীতে ছিল এক রেজিমেন্টের অধিক সৈন্য অনুকূল সমর্থনে। তাদের এই সক্ষমতার বিরুদ্ধে আমাদের তথা মুক্তিযোদ্ধাদের ছিল অসীম মনোবল, শত্রু নিধন করে দেশ মুক্ত করার দৃঢ় সংকল্প ও শপথ। একাত্তরের এপ্রিল, মে, জুনের ১৭ তারিখ পর্যন্ত এই আড়াই মাসে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ৯টি আক্রমণ পরিচালনা করেছিল। তবে আমাদের সম্মুখে স্থাপিত ঘন মাইন ফিল্ড ও আমাদের ভারতীয় আর্টিলারির সমর্থনে ব্যাপক মর্টার ও ভারী অস্ত্র ফায়ারিংয়ের মুখে তারা আমাদের পাতানো ফাঁদ মাইন ফিল্ড অতিক্রম করতে পারেনি। আমরা প্রত্যেকটি আক্রমণে প্রত্যক্ষ করেছি তারা যখন মাইন ফিল্ড সীমানা অতিক্রমের চেষ্টা করত, তখন মাইনগুলো খৈইয়ের মতো ফুটত আর তারা ওই মাইন ফিল্ডে কাতরাত। আড়াই মাসের এই সম্মুখযুদ্ধে তাদের প্রায় ৩০০ জন হতাহত হয়েছিল। এ. এ. কে জেনারেল নিয়াজী তার বই “THE BETRAYAL OF EAST PAKISTAN (Page 209) এ স্বীকার করেছেন এই বলে যে, A Brigade action which launched at Belonia was repulsed; এটা ছিল প্রথম বিলোনিয়া সম্মুখযুদ্ধে গণযোদ্ধা ও নিউক্লিয়াস অব ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঐতিহাসিক সামরিক অভিযান। পরে অবশ্য রণকৌশলগত কারণে এই ডিফেন্স আমরা মুহুরি নদীর পাড়ে প্রতিষ্ঠা করি এবং দ্বিতীয় বিলোনিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিই। সেদিনের সেই সফল উইথড্রয়াল প্রাণ রক্ষা করেছিল প্রায় ৫০০-এর অধিক। গণযোদ্ধা এবং পুরো একটি ব্যাটালিয়ন-সর্বমোট প্রায় ১ হাজার ৭০০ মুক্তিযোদ্ধার। উইথড্রয়াল একটি সামরিক অভিযান/অপারেশন। এই রণকৌশল ও আমাদের সফল উইথড্রয়ালে সেদিন আমাদের সহযোগী বিএসএফ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীও প্রশংসা করেছিল।

গ. এর পাশাপাশি ফেনী শহরের চারপাশে আমাদের গেরিলা তৎপরতা ও রেইড ছিল নিত্যনৈমিত্তিক। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে বিভিন্ন স্থানে ওতপাতা মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার বাহিনীর চলাচলের ওপর নজরদারি ও প্রয়োজনীয় অ্যাকশনে যেতে বিলম্ব করত না।

বিশেষ করে ফেনী থেকে চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সামরিক কায়দায় তাদের চলাচল ও অস্ত্র/সৈন্য ভর্তি সামরিক যানবাহনের ওপর আমরা রেইড ও অ্যাম্বুসের মাধ্যমে তাদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন ও চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হই। একাত্তরের মের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের পিণ্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন যে, বাংলাদেশের কোনো অঞ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে নেই। সেই মুহূর্তে এক বিদেশি সাংবাদিক ইয়াহিয়া খানকে প্রশ্ন করেন এই বলে যে, আমি মাত্র কয়েকদিন আগে ফেনীর বিলোনীয়া মুক্ত অঞ্চল ঘুরে এসেছি। সেখানে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া এই তিনটি উপজেলা সম্পূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে মুক্ত অঞ্চল দেখেছি। পাকিস্তানের কোনো খবরদারি ও আধিপত্য এই অঞ্চলে নেই। সেই  বিদেশি সাংবাদিক আরও বলেন, ‘আমি আরও শুনে এসেছি। এই তিনটি মুক্ত উপজেলা যার তিন দিকে ভারত সীমান্ত দ্বারা বেষ্টিত প্রায় ৮ থেকে ১৩ মাইল চওড়া ও প্রায় ১৯ মাইল দীর্ঘ এই জনপদ যদি এইভাবে মুক্ত অঞ্চল হিসেবে থাকে তাহলে স্বাধীন বাংলা সরকারের অস্থায়ী রাজধানী/হেডকোয়ার্টার স্থাপিত হবে। আসলে আমার সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ যখনই এই রণাঙ্গন পরিদর্শনে আসতেন তখন আমাকে এই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া খান ওই সাংবাদিক থেকে এই কথাগুলো জানার পর তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডার জেনারেল হামিদকে ফেনী যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্বশক্তি নিয়োগ করে এই যুদ্ধে তাকে সরাসরি তদারকি করার পরামর্শ দেন। পাক জেনারেল হামিদ ফেনী সার্কিট হাউস থেকে এই যুদ্ধ আমাদের বিরুদ্ধে পরিচালনা করেছিল। এই যুদ্ধে ফেনীর প্রত্যেকটি মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন পর্যায়ে সম্মুখ ও গেরিলাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। সবার অবদান আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। এই পর্যায়ে আমি ফেনীর তৎকালীন নেতা খাজা আহম্মদকে মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকার জন্য শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।

একাত্তরের ১০ নভেম্বর পাকহানাদার বাহিনী চিথলীয়া ও পরশুরাম ২য় বিলোনীয়া যুদ্ধে সম্পূর্ণ পরাজিত ও বিধ্বস্ত হয়। এই সম্মুখযুদ্ধে ১০০ এর উপরে তাদের লোক হতাহত হয়। রণকৌশলে ভরপুর এই যুদ্ধে এই রণাঙ্গনে এই পরাজয়ের পর অবশিষ্ট দুজন অফিসারসহ মোট ৭২ জন সৈনিক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই আত্মসমর্পণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট তথা ফেনীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বিরাট গর্ব ও ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ১০ নভেম্বর পরশুরামের এই ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত করা পর্যন্ত আমাদের সময় লেগেছিল ২৬ দিন। পরশুরাম চিথলিয়া থেকে ফেনী পর্যন্ত এই সামরিক অভিযানে ফেনীর উপকণ্ঠে পৌঁছবার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ফুলগাজী, গাবতলী পশুরহাট, কালীরবাজার, পাঠাননগর পর্যন্ত তাদের এই ঘাঁটিগুলো মুক্ত করতে প্রায় ২৫ দিন ব্যাপক সম্মুখ সমরে লিপ্ত ছিলাম। এই সম্মুখ সমরগুলো ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে তাদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে অ্যামবুশ রেইড অব্যাহত ছিল। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করে আসছিল। ঠিক এই সময়ে আমাদের ফেনীর সোনাগাজী, দাগনভূইয়া ও ফেনীর বিভিন্ন অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরদের স্থানীয় গেরিলা যোদ্ধারা তাদের অভিযান ও গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শত্রুর ওপর চাপ অব্যাহত রাখে। আমরা ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী যখন ফেনী শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে শহরের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করি, তখন পাকহানাদার বাহিনী ৫ তারিখ রাত থেকে ফেনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। কেউ বেগমগঞ্জ ও লাকসাম হয়ে কুমিল্লার দিকে আবার আরেকটি অংশ চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তখন পালিয়ে যাওয়া এই পাক হানাদারদের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হয়।

৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত হওয়ার পর ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি অংশ পাইওনিয়ার প্লাটুন ও গণযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে আমি ও লে. দিদার নোয়াখালীর উদ্দেশে রওনা দিই। নোয়াখালী ঢোকার মুখে নোয়াখালী টেকনিক্যাল কলেজে আমাদের সঙ্গে শত্রুপক্ষ ও তাদের দোসরদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে তাদের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আমাদের আক্রমণের তীব্রতার মুখে তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে আমরা নোয়াখালী সার্কিট হাউসে ওই অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হই ও শুভেচ্ছা বিনিময় করি। নোয়াখালী জেলার তৎকালীন ছাত্রনেতা ও জেলা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার মাহমুদুর রহমান বেলায়েত তখন উপস্থিত ছিলেন। ওই দিন আমরা ফেনী ফিরে আসি। ফেনী ও নোয়াখালী মুক্ত হবার পরও আমাদের দায়িত্ব ও করণীয় তখনো শেষ হয়নি। ৯ ডিসেম্বর ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর জেনারেল হীরার সার্বিক নেতৃত্বে চট্টগ্রাম মুক্ত করার অভিযানে ফেনী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রওনা হই। এখানে উল্লেখ্য, এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্রিগেড অংশগ্রহণ করে। এই অভিযানে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের মুক্তিবাহিনীর আরেকটি বড় অংশ মিরসরাই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে হাটহাজারী চট্টগ্রাম অভিমুখে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে। এর নেতৃত্বে ছিলেন ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যার অধিনায়ক ছিলেন ক্যাপ্টেন গাফফার বীর উত্তম। তার সহযোগী ছিলেন ক্যাপ্টেন কবির, লে. জামিল (দুজনই পরে মেজর জেনারেল)। গাফফার গংদের সার্বিক নেতৃত্বে ছিলেন কিলো ফোর্স কমান্ডার ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনান্দ সরূপ। জেনারেল হীরার নেতৃত্বে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে এবং আনান্দ সরূপের নেতৃত্বে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রাম এই উভয় গ্রুপ চট্টগ্রাম শহরে ভিন্ন ভিন্ন পথ দিয়ে চট্টগ্রাম পৌঁছার আগে শত্রুপক্ষের সঙ্গে অনেকগুলো বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হয়। এই মিত্রবাহিনীর চাপ সইতে না পেরে তারা পিছু হটে চট্টগ্রাম শহরের চট্টগ্রাম সেনানিবাসের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষগুলোতে উভয় পক্ষের অনেক হতাহত হয়।

আমরা ৬ ডিসেম্বর বীরদর্পে ফেনীতে প্রবেশ করি। তখন ফেনী সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত। এই যুদ্ধে আমাদের প্রায় ১৩৭ জন সম্মুখযুদ্ধে শহীদ ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। ৬ ডিসেম্বর সেদিন ফেনী শহরে সৃষ্টি হয়েছিল এক আনন্দঘন পরিবেশ। জয় বাংলা-জয় বাংলা স্লোগানে স্লোগানে ফেনীর আকাশ বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছিল। ফেনী শহরে সেদিন নেমেছিল মুক্তিকামী জনতার ঢল। এদের মধ্যে আমরা দেখেছি আনন্দ উল্লাস, তেমনি আবার লক্ষ্য করেছি তাদের মাঝে স্বজন হারানোর বেদনা। আমরা দেখেছি অশ্রুসজল নয়ন আর স্বজন হারানোর বেদনার ছাপ। এর মধ্যেও তারা বিজয়ী মুক্তিযোদ্ধাদের হাত নেড়ে ফুল দিয়ে বরণ করে। সেই এক অবিস্মরণীয় স্মৃতি যাকে ভোলা যায় না কিছুতেই। আমরা সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছিলাম। তাদের আবেগ অনুভূতি আনন্দ উল্লাসের মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছিলাম ফেনীর সেদিনের সেই জনগণ যেন মুক্ত আকাশের নিচে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।

অনেক প্রতীক্ষিত মুক্তির পর সেদিন ছিল না কোনো দলীয় সংকীর্ণতা, ছিল না কোনো হানাহানি, ছিল না কোনো হিংসা-বিদ্বেষ। সবার মধ্যে সেদিন ছিল দুচোখ ভরা স্বপ্ন আর আকাশসম আশা, ছিল দৃঢ় সংকল্প ‘নিজের দেশকে নিজের হাতে গড়ব’। আমাদের মধ্যে থাকবে না কোনো হানাহানি। আমরা সবাই মিলে শহীদদের স্বপ্নসাধ দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আনব। শহীদদের এই স্বপ্নসাধের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল এক ও অভিন্ন। এই অর্জনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ করা এবং প্রজন্মকে এই ইতিহাস উপহার দিয়ে যাওয়া। কারণ তারাই এই ইতিহাসকে ধারণ ও লালন করবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আজও পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করেনি। তাই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ও রণাঙ্গনগুলোতে যুদ্ধকালীন সংঘটিত গেরিলা ও সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকা লিপিবদ্ধ করে ইতিহাসকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় এই ব্যর্থতার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের কোনো দিন ক্ষমা করবে না।

লেখক : বীর বিক্রম, সাব-সেক্টর কমান্ডার, বৃহত্তর নোয়াখালী এবং অধিনায়ক ১০ম ইস্ট বেঙ্গল (যুদ্ধকালীন) সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
চুক্তি বাতিল দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ
চুক্তি বাতিল দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ
ঢাকায় ব্যস্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ব্যস্ত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
প্রার্থীদের বিদেশের সম্পদ বিবরণীও দিতে হবে
প্রার্থীদের বিদেশের সম্পদ বিবরণীও দিতে হবে
ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই
ভোটের আগে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
ইমামদের এই সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে
ইমামদের এই সমাজের দায়িত্ব নিতে হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
সর্বশেষ খবর
ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার

২ মিনিট আগে | জাতীয়

দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও জয় পেল না রিয়াল মাদ্রিদ
দুইবার ঘুরে দাঁড়িয়েও জয় পেল না রিয়াল মাদ্রিদ

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত
বরগুনায় বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ পালিত

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া
শিশুদের জন্য সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করছে মালয়েশিয়া

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি

২৪ মিনিট আগে | শোবিজ

‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’
‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি পেতে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে’

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী

২৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা
চোট নিয়েই শুটিংয়ে ফিরলেন শ্রদ্ধা

২৯ মিনিট আগে | শোবিজ

মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯

৩৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির
অবিশ্বাস্য রেকর্ডটি শুধুই মেসির

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম
সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ
ভেনেজুয়েলায় সামরিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করেন বেশিরভাগ আমেরিকান: জরিপ

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক
মেহেরপুরে অস্ত্রসহ যুবদল নেতা আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক
কুমিল্লায় ডেঙ্গুতে মারা গেলেন চিকিৎসক

পেছনের পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ