শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে না জাতীয় মুক্তি মঞ্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হবে না জাতীয় মুক্তি মঞ্চ

অলি আহমদ, বীরবিক্রম

গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১৮ দফা বাস্তবায়নে জাতীয় মুক্তি মঞ্চ ধাপে ধাপে সারা দেশের জনগণের কাছে যাবে। এ কথা বলেছেন, এই প্ল্যাটফরমের উদ্যোক্তা কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই ফ্রন্টে ২০ দলের অনেকেই আছেন। এর বাইরেও অনেকেই যোগাযোগ করছেন। এখনই আমরা অন্য দলগুলোর নাম প্রকাশ করব না। সময় হলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোনো দালাল নয়, বাংলাদেশি যে কোনো নাগরিকই এ মঞ্চে যুক্ত হতে পারেন। আমাদের মঞ্চের প্রথম কর্মসূচি ১ জুলাই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে। জুলাইয়ে আমরা চারটি জেলায় কর্মসূচি পালন করব। এরপর ধাপে  ধাপে অন্য জেলাগুলোয়ও যাব। তবে জাতীয় মুক্তি মঞ্চ কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডে লিপ্ত হবে না। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কাউকে আমরা সাহায্য করব না।’

জাতীয় মুক্তি মঞ্চ নামে বিকল্প একটি প্ল্যাটফরম ঘোষণা দেওয়ার এক দিন পর গত সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কথা বলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ বীরবিক্রম। তিনি বলেন, ‘জনগণ ভয় পেয়ে ঘরে ঢুকে আছে, তাদের ঘর থেকে বের করতে হবে। সরকারকে বোঝাতে হবে আপনারা ভুল পথে আছেন, সোজা পথে আসুন। দালালদের সম্পর্ক সজাগ থাকুন। বিরোধী দল ও বিবেকবান ব্যক্তিরা দলে দলে জাতীয় মুক্তি মঞ্চে যোগদান করে জাতিকে মুক্তি এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে আসবেন।’

জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নই মূল লক্ষ্য। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব সরকার তাদের ভুল পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত করুক। দেশের জনগণের স্বার্থে, রাজনীতিকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য, অর্থনীতিকে সচল ও শক্তিশালী করার জন্য নতুন নির্বাচন দিতে হবে। পুনরায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সবাইকে দালালদের চিহ্নিত করে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। হিংসা-বিদ্বেষ ও অহংকারের রাজনীতি পরিহার করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর বেগম জিয়ার দেশ শাসনের আমলে বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের বিল পাস হয়। সেখানে আজকের প্রধানমন্ত্রী ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। বর্তমানে কোনো পর্যায়ের নেতানেত্রীর মধ্যে কোনো সুসম্পর্ক নেই। রাজনীতিবিদদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকতে হবে। একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অহংকার পরিহার করতে হবে। আমরা আশা করব, সরকার বেগম জিয়াকে মুক্তি দিয়ে গণতন্ত্রের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাবে।’

অলি আহমদ বলেন, ‘আমাদের এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিটি জেলায় জেলায় গিয়ে জনগণকে আমাদের ১৮ দফা বোঝানোর চেষ্টা করব। জনগণ গড়ার চেষ্টা করব। সরকারকে অনুরোধ করব, তারা যেন তাদের ভুলগুলো অনুধাবন করে। সবার স্বার্থে, দেশকে সঠিকভাবে পরিচালানর স্বার্থে যথাশিগগির একটি নির্বাচন দিন। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণের অর্থ লুটপাট হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদেশে যারা অর্থ পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

নতুন এ মঞ্চ ঘোষণার পর ২০-দলীয় জোটে আপনি থাকবেন কিনাÑ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ কোনো জোট নয়। আমরা ২০-দলীয় জোটে আছি এবং থাকব। ২০-দলীয় জোটের মূল দল বিএনপি। আমরা আজকে নয়, বেগম জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে এলডিপি বহুবার তার মুক্তির জন্য সভা-সমাবেশ করেছে। আজকে যারা আমার দুই পাশে আছেন তারা অনেকে আমার সঙ্গে ছিলেন। আমার ডানে-বাঁয়ে কারা বসে আছেন আপনারা দেখছেন। তারা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা বসে আছেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শক্তি, চেতনার পক্ষের শক্তি এবং জাতিকে মুক্ত করতে জাতীয় মুক্তি মঞ্চে থাকতে চায়।’

সর্বশেষ খবর