মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকতে পারে

মুহিত কামাল

পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকতে পারে

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহিত কামাল বলেছেন, গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকার শঙ্কা প্রবল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমন ঘটনা যুগে যুগে ঘটেছে। এসব খুনিকে মানসিক রোগী ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ, মানসিক রোগীরা এত হিংস্র হয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

গতকাল মুঠোফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, পদ্মা ব্রিজে মাথা দিতে হবে বলে সম্প্রতি গুজব ছড়ানো হয়েছে। এর পরই কয়েকজনকে খুন করা হলো। নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করতে দেখা গেল। একটা শিশুর মাথা কাটা দৃশ্য সারা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। যারা করেছে তারা স্পষ্টত খুনি। তাদের বিচার খুনি হিসেবেই হতে হবে। কিন্তু, কেন তারা এটা করেছে? এরা কিন্তু মানসিক রোগী নয়। কারণ, হতাশা থেকে যারা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয় তারা নিরীহ হয়। এর পেছনে রাজনৈতিক বিষয় থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশকে অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হতে পারে। গণপিটুনিতে কিন্তু সবাইকে আঘাত করতে দেখা যায়নি। মাত্র কয়েকজনকে পেটাতে দেখা গেছে। প্রচন্ড আক্রোশ নিয়ে, যেন হত্যার উদ্দেশ্যেই। এই হত্যা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে। গোয়েন্দা বিভাগে যারা ক্রিমিনোলজি নিয়ে কাজ করেন তারা খুঁজে দেখবেন এর পেছনের কারণ। প্রয়োজনে অপরাধীদের আমাদের কাছেও পাঠাতে পারেন। কিন্তু, এভাবে যারা হত্যা করছে, চট করে তাদের মানসিক রোগী বলা যাবে না। তাতে অপরাধ আরও বেড়ে যাবে। মানসিক রোগীরা চট করে এভাবে নৃশংস হয়ে উঠতে পারে না। গুজব ছড়িয়ে সংঘবদ্ধভাবে কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। মোহিত কামাল বলেন, হিংস্রতার পেছনে মাদকেরও একটা প্রভাব আছে। এ ধরনের অনেক ঘটনা আমাদের কাছে পাঠানো হয়। বেশিরভাগ ঘটনায়ই পরীক্ষা করে আমরা মাদকের সংযোগ পেয়েছি। বরগুনায় নয়ন বন্ড ও তার গ্যাংও মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল।

সর্বশেষ খবর