বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী, সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর ৭৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৪১ সালের ১৫ নভেম্বর ঝালকাঠির এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জন্মদিনে কোনো আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও রাজধানীর ইস্কাটনের বাসভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন তার অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী ও দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। প্রিয় নেতাকে তারা শুভেছা জানাবেন জন্মদিনের কেক কেটে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ¯ন্ডেœহসান্নিধ্য লাভ করা এই নেতা ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর কেবল দীর্ঘ কারা নির্যাতনই ভোগ করেননি, আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে স্বদেশে ফিরিয়ে আনতে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। ষাটের দশকের ছাত্র আন্দোলনে তিনি অগ্রভাগে ছিলেন। ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যুবলীগ পুনর্গঠনেও তার ভূমিকা অনেক। আমির হোসেন আমু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ ভাষা দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হন। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬২ সালের সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হন। ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। আমির হোসেন আমু ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের অন্যতম রূপকার হিসেবে প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন। আমির হোসেন আমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে ¯œাতকোত্তর পাঠ শেষ করে আইন পেশার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, যশোর ও ফরিদপুরসহ পাঁচ জেলায় মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠি ও রাজাপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমির হোসেন আমু আওয়ামী যুব লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণি ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত হওয়ার পর তিনি যুবলীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ শুরু করেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল পথচলা এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনার প্রথম শাসন আমলে (১৯৯৬) খাদ্যমন্ত্রী ও বিগত শাসন আমলে (২০১৪) শিল্পমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
শিরোনাম
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
- নির্বাচনের আগেই হাসিনাকে দেশে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি সারজিসের
- কলাপাড়ায় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৫ জন হাসপাতালে