শ্রমবাজারের অনিশ্চয়তা কাটছে না কিছুতেই। বন্ধ থাকা শ্রমবাজারগুলোতে বার বার আশার আলো জ্বললেও বাস্তবে ধরা দিচ্ছে না। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর শেষমুহূর্তে এসে হঠাৎ করেই সেখানে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। অপরদিকে নানাভাবে চেষ্টা করার পরও আরব আমিরাতের শ্রমবাজার নিয়ে শুধু আশ্বাসই পাওয়া যাচ্ছে। প্রকৃতঅর্থে বাজার চালুর বিষয়ে কোনো প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে সৌদি আরবে নারী কর্মীদের নির্যাতিত-নিপীড়িত হওয়া তৈরি করেছে নতুন দুশ্চিন্তা। জানা যায়, এক বছর আলোচনার পর মালয়েশিয়া বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে একমত হয়। চলতি মাসের শুরুতে মালয়েশিয়ায় দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে বন্ধ শ্রমবাজার দ্রুততম সময়ে খোলার বিষয়ে হয় এ ঐকমত্য। ডিসেম্বরেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরুর আশার কথা শোনা যায়। কথা ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আলোচনা মাধ্যমে ঠিক করা হবে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধিদের ঢাকা সফরে। দিনক্ষণও ঠিক করা হয়। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানি শুরু করার সময় এবং এক্ষেত্রে উভয় দেশের এজেন্সিগুলোর সম্পৃক্ততার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা ছিল এ আলোচনায়। ২৪ বা ২৫ নভেম্বর প্রতিনিধি দলের ঢাকা সফরে আসার পর সমঝোতা স্মারক সই হবে। এরপরই খুলে যাবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। কিন্তু ১৮ নভেম্বর হঠাৎ করেই আলোচনা স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশকে জানিয়ে দেয় মালয়েশিয়া। ফলে আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা বলেন, আলোচনা স্থগিত করার বিষয়টি জানিয়েছে মালয়েশিয়া। তবে এর কারণ জানায়নি। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে নতুন কোনো দিনক্ষণও জানানো হয়নি। অথচ মালয়েশিয়ায় দুই মন্ত্রীর বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, অভিবাসন ব্যয় কমাতে দুই দেশ একমত। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের দেশ ছাড়ার আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। অধিক সংখ্যায় রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে। দুই দেশের মধ্যে যেসব আলোচনা হয়েছে, তা চূড়ান্ত করতেই জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রার কয়েকজন নেতা জানান, দুই দেশের অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রভাবেই আবারও ঝুলে গেছে গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারটির উন্মুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে কার্যত সাত বছর ধরে বন্ধ বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শ্রমবাজার। স্বল্প পরিসরে খোলা থাকলেও তা শুধু গৃহশ্রমিক খাতে সীমাবদ্ধ। যেখানে ২০১২ সাল পর্যন্ত বছরে আড়াই থেকে ৩ লাখ কর্মী পাঠানো হতো। এখন তা আড়াই হাজারে নেমেছে। চলতি বছরের নয় মাসে ২ হাজার ৪০৩ জন কর্মী পাঠানো গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। নানা দেন-দরবার করেও পুরুষ কর্মী পাঠানো সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাত সরকারের শীর্ষ মহলে কথা বলেছেন শ্রমবাজার নিয়ে। এ সময় আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু সফর পরবর্তীতে শ্রমবাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার চালুর আনুষ্ঠানিক কোনো প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। তবে শ্রমবাজার চালুর জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার চালুর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। শুধু মালয়েশিয়া বা আমিরাত নয় শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে বাহরাইনেও। জর্ডান, লেবাননও সীমিত সংখ্যক কর্মী নিচ্ছে। মালদ্বীপ সরকার তার দেশে এক বছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে কর্মী না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশ কাতার সরকারও কিছু দিন ধরে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা ইস্যু করছে না। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা কাতারও যে কোনো সময় শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
শিরোনাম
- বগুড়ায় দুই পা হারানো আহাদের পাশে সাবেক এমপি মোশারফ
- পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতির কোনও নির্দেশ দেননি পুতিন: ক্রেমলিন
- বিরলে প্রকাশ্যে জুয়া খেলার অপরাধে ৫ জনকে জেল-জরিমানা
- চট্টগ্রামে এক উপজেলায় মিললো দুই অজ্ঞাত লাশ
- নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানির নাগরিকত্ব বাতিলের চেষ্টা
- টাঙ্গুয়ার হাওরে উচ্চস্বরে গান-বাজনা ও পার্টি আয়োজন করা যাবে না
- সাদেক খানের ১২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- ৮ ভাষা শিক্ষা কোর্সে ভর্তি নিচ্ছে শাবিপ্রবি
- পরিবারসহ উমরাহ পালন করলেন প্রাণ গ্রুপের শতাধিক পরিবেশক
- নারায়ণগঞ্জে মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
- রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
- হাসিনাসহ ১২ জনের দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
- নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে দেশের ভবিষ্যৎ : ইসি আনোয়ারুল
- একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
- বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি
- পুরান ঢাকায় গুলিতে নিহত ব্যক্তি 'শীর্ষ সন্ত্রাসী' মামুন: পুলিশ
- পুরান ঢাকায় সিনেমা স্টাইলে গুলি, যা দেখা গেল সিসি ক্যামেরায়
- ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন জারি
- দেশের সব জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন
- দ্রুত সেবার ক্ষেত্রে সবার আগে জনগণ : ভূমি উপদেষ্টা