মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

যাদের পারফরম্যান্স পুওর তাদের বড় দায়িত্বে নয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

যাদের পারফরম্যান্স পুওর তাদের বড় দায়িত্বে নয়

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্ত্রিসভার পরিবর্তন প্রসঙ্গে বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ মুহূর্তে আমি এ ব্যাপারে বলতে পারছি না। তবে সম্মেলনের আগে তা হচ্ছে না। এ মাসেও সম্ভাবনা কম। নতুন বছরে হবে কিনা তা প্রধানমন্ত্রী বলতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী এটি ঠিক করবেন। তবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে পারফরম্যান্সের বিষয় রয়েছে। যারা ননপারফর্মার, যাদের পারফরম্যান্স ‘পুওর’, তাদের অহেতুক বড় দায়িত্বে রেখে লাভ নেই। সে বিচারে পারফরম্যান্স যাদের খারাপ, তাদের দায়িত্ব পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের এখানে কেউ বাদ যাবেন না, কেউ বাদ যান না, শুধু দায়িত্বের পরিবর্তন হয়। তিনি জানান, আমরা নারী নেতৃত্ব ও প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়ানোর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছি। গতকাল সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং এ ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা চাইলে পদে থাকতে তার অনীহা নেই। তিনি বলেন, ‘পদে রাখবেন কিনা সেটা নেত্রীর ইচ্ছা, তিনি বললে আমার দায়িত্ব পালনে অনীহা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার ইচ্ছা নেই এমন কথা বলেননি। পদে থাকা নিয়ে আমি এ ধরনের কথা বলিনি। আমি বলেছি সভাপতি পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।’ নেত্রী বার বার বিদায় নিতে চান। তবে তিনি যেতে চাইলেও যেতে নাহি দেব, এটা কাউন্সিলরদের সর্বসম্মত চিন্তাভাবনা। বাকি পদগুলো নেত্রী নিজে সাজান। তিনি যেটা ভালো মনে করেন তা করবেন। যে কোনো পদে পরিবর্তন হতে পারে, নেত্রী দলের স্বার্থে তা করতে পারেন।

তিনি যা করবেন, এক বাক্যে সবাই মেনে নেবেন। এক্ষেত্রে কোনো ক্ষোভ, দুঃখ কিংবা বেদনা নেই। এমন কিছু এ পর্যন্ত এখনো হয়নি, এবারও হবে না আশা করি। দায়িত্ব পালনে কোনো অপূর্ণতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজগুলো ট্র্যাকে চলে আসছে। দলেও আমাদের কিছু সিস্টেম আছে, বিভাগীয় পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আছেন, কাজেই কোনো সমস্যা তো হয়নি। কোনো কাজ অপূর্ণ থাকছে না। কোনো প্রয়োজনে সচিবরা তো আছেই, তারা ফোন করলে নির্দেশনা দেই। আমি কোনো চাপের মুখে নেই। অসুস্থতার জন্য যেটা হয়ে গেছে সেটার ওপর আমার হাত নেই। সার্বিকভাবে আমি যথেষ্ট উপভোগ করছি। তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের জন্য প্রস্তুতি ভালো। জেলা পর্যায়ে অনেক সম্মেলনের কাজ শেষ করেছি। ১৮ ডিসেম্বর সম্মেলন হবে ঝালকাঠি জেলায়। ১৩ তারিখ হবে গোপালগঞ্জের সম্মেলন। মোট ২৫ থেকে ৩০ টা সম্মেলন হয়ে যাবে। এখন সভাপতি-সেক্রেটারি নির্বাচন করা হচ্ছে, বাকি পূর্ণ কমিটি পরে অনুমোদন দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে মন্ত্রিসভায় রদবদল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সর্বশেষ খবর