শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

সতর্ক চোখ সিঙ্গাপুরের চার রোগীর দিকে

আজ আশকোনা ছাড়বে চীনফেরতরা, গুজব ছড়ানোর দায়ে আটক ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক ও মাদারীপুর প্রতিনিধি

সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ বা এনসিআইডির নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত চার বাংলাদেশি। তাদের সঙ্গে বসবাসকারী বাকি আট বাংলাদেশিসহ মোট ১৯ জনকে কোয়ারেনটাইনে (পর্যবেক্ষণ) রাখা হয়েছে। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা যায়, ১০ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একজন বাংলাদেশি কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়। তাকে দ্রুত সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গে বসবাসকারী ১৯ জনকে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়। তারা সবাই সেলেটার অ্যারোস্পেস হাইটসে নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। কোয়ারেনটাইনে অবস্থানকারীদের মধ্যে তিন বাংলাদেশি কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত। এখন ছয় বাংলাদেশি কোয়ারেনটাইনে আছেন। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, এ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৬৭ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত চার বাংলাদেশির চীন ভ্রমণের ইতিহাস নেই। সিঙ্গাপুরের কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত চার বাংলাদেশির মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন। অন্য সবার পরিস্থিতির সে রকম কোনো উন্নতি ঘটেনি।

আজ হজ ক্যাম্প ছাড়বেন চীনফেরতরা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীনের উহানফেরত আশকোনা হজ ক্যাম্পের কোয়ারেনটাইনে থাকা বাংলাদেশিরা আজ বাড়ি ফিরে যাবেন। ১৪ দিনে তাদের কারও শরীরে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। গতকাল মাদারীপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যারা গুজব ছড়ায়, তারা দেশের মঙ্গল চায় না। তারা আতঙ্ক ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আকাশপথে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার যাত্রী বাংলাদেশে আসে। তাদের প্রত্যেককেই স্ক্যানারের ভিতর দিয়ে আসতে হয়। স্ক্যানারের ভিতর ছাড়া কেউ দেশে ঢুকতে পারে না। জ্বর হলেই তাকে আলাদা কোয়ারেনটাইন করে ফেলা হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান প্রমুখ।

গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আটক ৫ : দেশে কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে এসব গুজব ছড়ানোয় বৃহস্পতিবার তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে গতকাল তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি বিভাগসূত্র জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অনলাইন নিউজ পোর্টালে গুজব ছড়ালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর