মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনাকালেও অনেক দেশে নির্বাচন হচ্ছে : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাকালেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বিশ্বের অনেক দেশে জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন হচ্ছে। যশোর ও বগুড়া উপনির্বাচন সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার, সরকারের এতে কোনো হাত নেই। বিএনপির মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হাস্যকর। দুর্নীতিতে পর পর পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নের দল বিএনপি, লুটপাটের জন্যই জনগণের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দুর্নীতি আর বিএনপি সমার্থক বলেই মানুষ মনে করে।

গতকাল দুপুরে সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা সংকটে বিএনপি নেতারা আজগুবি তথ্য সরবরাহ করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান এবং প্রতিনিয়ত সততায় দেশ-বিদেশে সমাদৃত ও প্রশংসিত। দুর্নীতিবাজ যেই হোক দলীয় পরিচয়ের হলেও তাকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, এটাই হলো বাস্তবতা। বিএনপির কথা শুনে মনে হয়, পূর্ণিমার রাতেও তারা অমাবস্যার অন্ধকার দেখতে পান। বিএনপিকে বিভাজন ও বৈরিতার রাজনীতি পরিহার করে মানুষ বাঁচানো ও করোনাভাইরাসের প্রতিরোধের লড়াইয়ে আবারও সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি। করোনাভাইরাসের মহামারীতে নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের সংকটের শুরু থেকে সরকার সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এখন প্রায় ৭৩টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে। দিন দিন সক্ষমতা বাড়ছে, কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে পর্যন্ত পরীক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কভিড-১৯ হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি রয়েছে।

 সরকার যদি অদক্ষ বা অযোগ্য হতো তবে এ সময়ে এমন ব্যবস্থা কি নিতে পারত? এই পর্যন্ত ৭২ হাজার ৬২৫ জন করোনাভাইরাসের রোগী সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার শতকরা ৪৪ দশমিক ৭২ ভাগ এবং মৃত্যুর হার শতকরা ১ দশমিক ২৬। মৃত্যুর এই হার যে কোনো দেশের তুলনায় কম। ইউরোপ আমেরিকা এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে এখানে অনেক কম। যদিও সরকার একটি মৃত্যুও প্রত্যাশা করে না। বিএনপি শুধু মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কথা বলে, অথচ এত সংখ্যক লোক সুস্থ হচ্ছে এটা তাদের চোখে পড়ছে না। তাদের (বিএনপি) দৃষ্টিভঙ্গি যে নেতিবাচক এটাই তার প্রমাণ।

সরকার সমন্বিত পদক্ষেপে দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দাবি করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ২ হাজার ডাক্তার ও ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে এখন পরীক্ষা করানো হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশই নিজেদের সামর্থ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। বহু দেশ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার সীমাবদ্ধতা নিয়েও করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলার সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। দিন দিন শেখ হাসিনা সরকার সুরক্ষাসামগ্রী বাড়াচ্ছে, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা ও ডাক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। সরকারের সমন্বিত দক্ষতার কারণে এসব করা সম্ভব হচ্ছে। অথচ বিএনপির কার্যক্রম শুধু বিবৃতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

সর্বশেষ খবর