বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে নানা হিসাব নিকাশ। কে কার আগে ভ্যাকসিন আনবে শুরু হয়েছে কোম্পানিগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা। বাণিজ্যিকভাবে করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীনসহ কয়েকটি দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে কোন ভ্যাকসিনের বাজার দাম কত হবে- সে বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয়েছে। সূত্র : আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ফাইজারের প্রতিটি ভ্যাকসিন ডোজের দাম রাখা হয়েছে প্রায় ২০৩ ডলার। অন্যদিকে মডার্নার ভ্যাকসিনের দাম ২৫ থেকে ৩৭ ডলার। প্রত্যেক ব্যক্তিকে দু?টি করে ডোজ দিতে হবে। সে কারণে ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্য খরচ হবে প্রায় ৪০৬ ডলার। পাশাপাশি মডার্নার ভ্যাকসিনের জন্য খরচ হবে ৫১ থেকে ৭৪ ডলার প্রায়। এই হিসাবে বাংলাদেশি টাকায় ফাইজারের করোনা প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দুই ডোজের দাম পড়বে ৩৪ হাজার ৪৩০ টাকার বেশি। মডার্না ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ৪ হাজার ৩২৫ টাকা থেকে ৬ হাজার ২৭৫ টাকার বেশি। এদিকে রাশিয়া বলেছে, ফাইজার আর মডার্নার চেয়ে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি-এর দাম অনেক কম হবে, যা সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। নিম্ন আয়ের দেশগুলো যাতে এ ভ্যাকসিন কিনতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই স্পুটনিক-ভি-এর দাম নির্ধারণ করা হবে। তবে গতকাল পর্যন্ত রাশিয়া তাদের ভ্যাকসিনের দাম না জানালেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্পুটনিক-ভি-এর দাম হবে অন্তত ১০ ডলার। একজনকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিতে হলে খরচ পড়বে ২০ ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৬৯৬ টাকা প্রায়। এ বিষয়ে গতকাল রুশ সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কম করেও ২০ মার্কিন ডলার দাম হবে। ডোজ পিছু হবে ১০ ডলার। দুইবার নিতে হবে স্পুটনিক-ভি। তাস আরও জানায়, রাশিয়ার তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ১ বিলিয়ন ডোজ তৈরি করা হচ্ছে। রুশ জনগণ এই ভ্যাকসিন পাবেন বিনামূল্যে। তবে এই ভ্যাকসিনের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য অন্য দেশের ভ্যাকসিনের তুলনায় সস্তা হবে। পাশাপাশি রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্যাকসিনের দাম আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে সারা বিশ্বের মানুষ সহজেই এটা কিনতে পারেন।