সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের অধিকার আছে, দেশে অবস্থানরত শরণার্থীরা কোথায় থাকবেন, তা ঠিক করা। এটি বাংলাদেশের একান্তই নিজস্ব দায়িত্ব। যখন রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছিল, তখন কোনো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনুমতি লাগেনি। তাহলে এখন তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে কেন আন্তর্জাতিক মহলকে সম্পৃক্ত থাকতে হবে, তা বোধগম্য নয়। গত তিন বছরে আন্তর্জাতিক মহল এ বিষয়ে কিছুই করতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে। এতে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বাংলাদেশের প্রশংসা পাওয়ার কথা; কিন্তু উল্টো তারা সমালোচনা করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, যেহেতু ভাসানচরে কাউকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়নি, তাই এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা পাওয়া উচিত ছিল। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ বা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে পত্র দেওয়া উচিত ছিল। তবে ভাসানচরে স্থানান্তরের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া কোনোভাবে দীর্ঘায়িত হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কারণ অং সান সু চি নিজেও বলেছেন যে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাই আজ বা কাল হোক তাদের ফিরে যেতেই হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা কক্সবাজারে যেখানে আছেন তার থেকে যদি তাদের আরও খারাপ অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হতো তাহলে বিষয়টি বুঝতে পারতাম। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, যেখানে তাদের নেওয়া হচ্ছে, তা বর্তমানে তাদের আশ্রয়স্থলের চেয়ে ভালো। তার পরও সে স্থানটিকে ‘জেলখানা’ বলা হচ্ছে। কথা হচ্ছে এখন রোহিঙ্গারা যেখানে আছেন সেটি কি সাংঘাতিক ভালো কিছু! ঢাবির এই অধ্যাপক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে যেহেতু রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের কাজটি তাদের সঙ্গে নিয়ে করা হয়নি, তাহলে বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠিত হবে যে, তারা রোহিঙ্গাদের জন্য যে কাজ করছেন তা পর্যাপ্ত নয়। বরং তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করে বাংলাদেশ সরকার বিশ্বের কাছে বেশি সুনাম অর্জন করছে। এমনটি হলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের অস্তিত্বও ধীরে ধীরে কমে আসবে। বিষয়টি হয়তো আন্তর্জাতিক মহলের গায়ে লাগছে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহলকে নিয়েই যে কাজ করতে হবে, এমনটি নয়। এখানে আসল সমস্যা মিয়ানমারকে নিয়ে। তাই দৃষ্টি থাকা উচিত মিয়ানমারের ওপর। মিয়ানমারে যখন ভাসানচরের মতো কাঠামো তৈরি হবে তখন আমরা বলতে পারব যে, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলের এখন বলা উচিত বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে যে, কীভাবে অস্থায়ীভাবে হলেও একটি কাঠামো করা দরকার। কিন্তু মিয়ানমারের ওপর দৃষ্টি না দিয়ে তারা বাংলাদেশের ওপর নজর দিচ্ছে। এটি দুঃখজনক। এটির মধ্যে কী রাজনীতি আছে তা জানা নেই।
শিরোনাম
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে : তারেক রহমান
- গাইবান্ধায় ফিস্টুলা নির্মূলে কাজ করছে ল্যাম্ব
- শাহবাগে ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
- সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
- গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু
- চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
- নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন
- বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা
- শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাংলাদেশের প্রশংসা করার কথা আন্তর্জাতিক মহলের
-অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ
জিন্নাতুন নূর
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর