শনিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ফাইজারের ভ্যাকসিন গেল যুক্তরাজ্যে চীনের সিনোভ্যাক ব্রাজিলে

প্রতিদিন ডেস্ক

ফাইজারের ভ্যাকসিন গেল যুক্তরাজ্যে চীনের সিনোভ্যাক ব্রাজিলে

আমেরিকার ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছে গেছে। পাশাপাশি চীনের তৈরি সিনোভ্যাকের চালান ব্রাজিলে পৌঁছেছে। এএফপি, রয়টার্স।

খবরে বলা হয়েছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনার ভ্যাকসিন বা টিকার প্রথম চালান যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। টিকা বিতরণের জন্য মূল কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত এক অজ্ঞাত স্থানে ওই টিকা নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকেই যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে এসব টিকা বিতরণ করা হবে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য ৪ কোটি ডোজ টিকার আবেদন দিয়েছিল। দেশটির টিকা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ২ কোটি লোকের জন্য তা যথেষ্ট।

ইংল্যান্ডের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার জোনাথান ভ্যান-টাম বলেন, টিকা দেওয়ার প্রথম তরঙ্গ কভিড-১৯ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিরোধ করতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকা প্রত্যেককে টিকা নিতে হবে এবং তা অত্যন্ত কার্যকর হতে হবে। তিনি আরও বলেন, যত দ্রুত এবং যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণে টিকা বিতরণ করতে হবে। তবে টিকাদানের তালিকার ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় থাকতে হবে।

যুক্তরাজ্যের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ বলেছে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার গোষ্ঠীর লোকজনকে আগামী দিন কয়েকের মধ্যে ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা দেওয়া যাবে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের করোনার টিকা নিরাপদ। ফাইজার ও বায়োএনটেকের দাবি, তাদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর।

চীনের ভ্যাকসিন ব্রাজিলে : চীনের সিনোভ্যাকের তৈরি করোনাভ্যাক টিকার পরীক্ষা চলছে ব্রাজিলে। দেশটির সাও পাওলোর বুটানটান ইনস্টিটিউট বায়োমেডিকেল সেন্টার গত বৃহস্পতিবার চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেডের ১০ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে। ব্রাজিলের প্রতিষ্ঠানটি দেশটির ১৬টি অঞ্চলে টিকার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালাচ্ছে। বুটানটানে করোনাভ্যাক টিকার প্রথম চালানটি মোড়কজাত করে লেবেল লাগানো হবে। এ টিকা নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বুটানটান জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর সিনোভ্যাক তাদের টিকার কার্যকারিতার ফলাফল জানাবে। বৃহস্পতিবার সাও পাওলোর মেয়র বলেন, রাজ্যটি এ মাসেই চীনের কাছ থেকে ৬০ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে। আরও ৪০ লাখ ডোজ ১৫ জানুয়ারি নাগাদ পাওয়া যাবে। সাও পাওলোর গভর্নর জো ও ডোরিয়া বলেছেন, এখানে জানুয়ারি মাস থেকে টিকাদান কর্মসূচি চালু করা হবে। দেশটির জাতীয় টিকা পরিকল্পনার আগেই সাও পাওলোতে টিকাদান শুরু করতে চান তিনি। ব্রাজিল মার্চ মাস নাগাদ টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে চায়। এদিকে ব্রাজিলের সিনেট বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের একটি ডিক্রি অনুমোদন করেছে, যাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের টিকা কিনতে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এ তহবিল পাবে ফেডারেল জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা ফিয়োক্রুজ। তারা টিকা কেনার পাশাপাশি পরে ব্রিটিশ টিকাটি উৎপাদন করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর