শনিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
রুবানা হক

উত্তরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উত্তরণ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট রুবানা হক বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের উত্তরণ আমাদের জন্য এক বিশাল জাতীয় গর্ব। তবে এটি বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসবে। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, উত্তরণের ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে তার মধ্যে আছে- এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশের মোট রফতানির ৭৩ শতাংশ প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় তা রূপান্তরের পরে শেষ হয়ে যাবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ইবিএর অধীনে যে সুবিধা ভোগ করে উত্তরণ হওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সামনে দুটি বিকল্প থাকবে- জিএসপি প্লাস বা স্ট্যান্ডার্ড জিএসপি। এর দুটিই  আমাদের জন্য কঠিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রফতানির ক্ষেত্রে সরকারের বর্তমান অনুদানের কর্মসূচিগুলোও এলডিসির পরবর্তী সময়ে এভাবে চলবে না। ফলে রফতানি প্রতিযোগিতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পোশাক রফতানি শিল্প মূলত এক্সেসের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউএনসিডিপি যেভাবে উত্তরণ সময়কাল ২ বছর বাড়াতে বাংলাদেশের আবেদন গ্রহণ করেছে, তেমনি ইউরোপের বাজারে ইবিএ সুবিধা ৭-১০ বছর বাড়ানোর জন্য সহানুভূতিপূর্ণ বিবেচনার প্রয়োজন হবে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের অসামান্য উদ্যোগকে এই আবেদনটিতে যথাযথভাবে বিবেচনা করা উচিত। তিনি বলেন, জিএসপি প্লাস প্রকল্পের মানদন্ডের বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা দরকার। আমরা যদি ইইউ এর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রান্তিক মানদন্ডটিকে পুনরায় ঠিক করতে পারি তাহলে  সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর