শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

তোমার মরণ না হয় আমার মরণ

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
প্রিন্ট ভার্সন
তোমার মরণ না হয় আমার মরণ

সকাল বেলা যথাসময়ে নিদ্রা ত্যাগ করার জন্য আমি মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখি আর অ্যালার্মটি রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে, এক এক দিন এক একটি। গত ২৮ মার্চ টেলিভিশনে টকশোতে অংশ নেওয়ায় ঘুমোতে হয়েছিল অধিক রাতে। সকালের দিকে স্বপ্ন ভেসে উঠল হেফাজত-জামায়াতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীদের তান্ডবের দৃশ্যগুলো, যা সন্ধ্যায় টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। স্বপ্নেই ভেসে এলো বহু প্রশ্ন, যথা ধর্মান্ধ পাকিস্তানিদের এই উন্মাদনা ধ্বংস করার জন্য জন্য কী করা প্রয়োজন। ঠিক তখনই মোবাইলের অ্যালার্মে বেজে উঠল কবিগুরুর শ্যামা নৃত্যনাট্যের গানের একটি কলি, ‘তোমার মরণ, না হয় আমার মরণ, জমের দিব্যি করো যদি এরে হর’। ঘুম ভাঙার পরই ভাবতে শুরু করলাম কেন এই গানটি বেজে উঠল? নিদ্রাবস্থার ঘোর কাটার পর মনে হলো সেদিন পত্রপত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা থেকে যে সমীকরণে আসা যায় তা কিন্তু শ্যামা নৃত্যনাট্যে নগর কোতালের সেই সাবধান বাণীরই মতো। অর্থাৎ আমরা এমন এক চরম সন্ধিক্ষণে পেঁৗঁছেছি যেখানে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তির জয় হবে, ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জয়ী হবে, নয়তো ধর্ম ব্যবসায়ী পাকিস্তানি চরদের স্বপ্ন পূরণ হবে যারা ১৯৭১-এ পরাজিত হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়া-মোশতাকের নেতৃত্বে আবার উজ্জীবিত হতে পেরেছে।

কদিন ধরে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান সাহেবের গবেষণাধর্মী বই ‘ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি’ পড়ে বারবার মনে শঙ্কা জাগছিল, সে বইতে বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে পাক-মার্কিন প্রভুদের সঙ্গে মোশতাক, চাষী, ঠাকুর, ওবায়দুর রহমান, মোয়াজ্জেম, জিয়া, ফারুক, রশিদ প্রমুখ পাকিস্তানি চরদের অশুভ আঁতাতের কথা আবেদ খান সাহেব বেশ সাবলীল ভাষায়ই ব্যক্ত করেছেন, যে অশুভ আঁতাত ছিল শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে রূপান্তরিত করার জন্য যে পরিকল্পনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মোশতাক গং হেনরি কিসিঞ্জারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছিল।

পাকিস্তান-আমেরিকার সিদ্ধান্ত ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেই বাংলাদেশের ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে আর তারা ১৯৭১ থেকেই তাদের এই পরিকল্পনা ফলপ্রসূ করতে পারে এমন লোকের খোঁজে সাফল্যের সঙ্গেই লেগে যায়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই ফ্লাইটে একটি ভুয়া হকি খেলোয়াড়ের দল পাঠিয়েছিল, যার সঙ্গে দবিরউদ্দিন সিদ্দিকী নামে এক বাঙালিও ছিল, যার দাদা ছিল ভারতীয় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা। পরিকল্পনা ছিল লন্ডন অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ায় তখনকার মতো তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ভুট্টো হাল না ছেড়ে দবির সিদ্দিকীকে নির্দেশ দিল বঙ্গবন্ধু কলকাতা গেলে তখন তাঁকে হত্যা করতে। দবির সিদ্দিকী কলকাতা গমন করলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে। বঙ্গবন্ধুর কথায় ভারতীয় পুলিশ তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও আকাশচুম্বী মহানুভবতার অধিকারী বঙ্গবন্ধু দরিবকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। সে জিয়ার সময়ে ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্টও হয়েছিল।

সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পর শুরু হয় ষড়যন্ত্রের নতুন শাখা। ভুট্টো-কিসিঞ্জার তখন ঠিক করল দেশে খাদ্যাভাব সৃষ্টি করে, যেমনটি কিসিঞ্জার চিলিতে করেছিল, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করে দিয়ে। তারপর এক মহাসুযোগ ঘটে গেল ভুট্টোর এভাবে যে, বঙ্গবন্ধু লাহোর গিয়ে স্বাভাবিক প্রটোকলের নিয়ম অনুযায়ী ভুট্টোকে নেহায়েত ভদ্রতার খাতিরে অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে আসার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন আর ভুট্টোও সেই মহাসুযোগ লুফে বিরাট গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ে ১৯৭৪ সালের ২৭ জুন ঢাকা এসে নিজ চোখে এবং গোয়েন্দাদের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা তৈরি করে পাকিস্তান ফিরে গেলেন। তার সেই নীলনকশায় মোশতাক-জিয়া গং ছাড়াও সেই সফরকালে ভুট্টোর সঙ্গে মোশতাকের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলে, ভুট্টো মোশতাককে নীলনকশার অনুমোদন দিলেন। বিশেষ সহায়তায় ছিল সে সময়ের এনএসআই প্রধান, পাকিস্তানি চর সফদার এবং খাদ্য সচিব মোমেন খান (বর্তমান বিএনপি নেতা মঈন খানের পিতা) যাকে পুরস্কারস্বরূপ পরে জিয়া মন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন। ভুট্টোর ঢাকা আগমনের চার মাস পরই কিসিঞ্জার এসে সেই নীলনকশায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে বিশেষ করে খাদ্য সচিব মোমেন খানের কারসাজিতে, খাদ্য আমদানির জন্য যে দুই মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল, তারা মার্কিন সরকারের চাপে সে চুক্তি বাতিল করে দেয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা নানা উপায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্য কিনে সেগুলো নষ্ট করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে। পরেশ সাহা নামে এক প্রখ্যাত সাংবাদিক তার গ্রন্থে লিখেছেন- ‘১৯৭৪-এর ভয়াবহ বন্যার পর আমি বাংলাদেশে যাই। তখন ঢাকার অন্তর্গত সাভার বন্দরের জনৈক ব্যবসায়ী আমাকে জানান কটি বিদেশি সংস্থা চাল সরবরাহ করবেন। তাকে বলা হয়েছিল, ওই সংগৃহীত চাল বাংলাদেশের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বিতরণ করা হবে। কিন্তু জানতে পেরেছেন ওই চাল দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি, বাংলাদেশের খাদ্য সংকট আরও শোচনীয় করার জন্য ওই সব চাল সুন্দরবনের নদীগর্ভে ডুবিয় দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গোপন সূত্র থেকে ওই খবর পাওয়ার পর তিনি বিদেশি সংস্থাকে চাল সরবরাহ বন্ধ করে দেন।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য বহুবিধ কর্মকান্ড ষড়যন্ত্রকারীরা গ্রহণ করে। একটি ঘটনা ঘটানো হয় ১৯৭৩ সালে সাভারে এক হিন্দু তামাকের দোকানদার উর্দু কাগজের প্যাকেটে তামাক বিক্রি করলে প্রচার করা হয় সে কোরআন শরিফ ছিঁড়ে তামাকের প্যাকেট বানাচ্ছে। এর ফলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দেয়। এমনি আরও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়। সিরাজ সিকদারদের মতো নকশালপন্থি, শফিউল আলম প্রধানদের এবং মেজর জলিলদের ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা হয়। তখন ঝানু আমেরিকান গোয়েন্দা ফিলিপ চেরিকে ঢাকায় বদলি করা হয়। একই ধরনের অবস্থা ২০২১-এর ষড়যন্ত্রকারীরা করে বেড়াচ্ছে। দেশে খাদ্যের এত প্রাচুর্য রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এত বেশি রিজার্ভ রয়েছে যে ষড়যন্ত্রকারীরা খাদ্য সংকট তৈরি করতে না পেরে তারা ঠিক একইভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে সেই ধরনেরই পন্থা অবলম্বন করছে যা ১৯৭৩-এ করা হয়েছিল, যার প্রমাণ সুনামগঞ্জ, নাসিরনগর, রামু ইত্যাদির ঘটনা। একইভাবে তারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে বিভিন্ন জায়গায়, যার বড় প্রমাণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

নিশ্চিত খবরে প্রকাশ হেফাজতের হামলায় ল-ভ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বাংলাদেশের বুকে এক টুকরো আফগানিস্তান বানানোর সব আয়োজন ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে হেফাজত। তাদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ থেকে রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, আবদুল কুদ্দুস মাখনের মুক্তমঞ্চ, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, জেলা পরিষদ ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউস, ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, ডিসির বাসভবন, এসপির বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, সরাইলের হাইওয়ে থানা, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, সদর থানাধীন দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, ব্যাংক এশিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয়, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়, পেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি রিয়াজ উদ্দিনের ওপর হামলা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও আয়কর উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার কার্যালয়, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেলের বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়ি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলীর শহরের হালদারপাড়ার বাসভবন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম খোকনের বাড়ি। তার চেয়েও জঘন্য ছিল বাংলাদেশের পতাকায় অগ্নিসংযোগ এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা, যে দুটিই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। অনেকে তলোয়ার হাতে, ঘোড়ায় চরে এসে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল বিনা বাধায়, কেউ দেখার ছিল না, প্রসাশন ছিল নীরব দর্শক। ঐতিহ্যবাহী বহু ঐতিহাসিক স্মৃতি ধ্বংস করে দিল, যেগুলো কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না। প্রসাশনের নাকের ডগায় পোড়ানো হলো জাতীয় পতাকা, ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। মনে হচ্ছিল দেশে কোনো সরকার নেই। থানা থেকে মাইকে বলা হলো, ‘আমরা তোমাদের সাথে’।

এ ছাড়াও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফাঁড়িতে থাকা ১৮টি মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মধ্যে থাকা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাঙাচোরা গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ধর্ম ব্যবসায়ী এবং পাকিস্তানি তত্ত্বে বিশ্বাসীরা দেশকে আবার পাকিস্তানে রূপান্তরিত করতে পারবে কি না, সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে আমাদের ওপর। তারা এখনো এত বড় শক্তি হয়ে ওঠেনি যে আমাদের উৎখাত করতে পারবে। বরং তাদের সমূলে উৎখাত করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আমাদের রয়েছে, যা ২০১৩ সালের ৫ মে নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর না হয়ে বরং তাদের তোয়াজ করার নীতি অনুসরণ করি তাহলে যে ফল ভালো হবে না, এদের বর্তমান আস্ফালন তাই প্রমাণ করছে। এ ব্যাপারে ১৪ দলের অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ এবং জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ যা বলেছেন, তার চেয়ে মূল্যবান উক্তি আর হতে পারে না। তাদের কথা পরিষ্কার, এখনই এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসা অত্যন্ত অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ড. আওলাদ হোসেনও একই ধরনের কথা বলেছেন। সেদিন এক টকশোতে প্রাক্তন সচিব, একজন উচিত বক্তা এবং ছাত্ররাজনীতি করা আবু আলম শহিদ খান সরকারের তোয়াজ নীতির সমালোচনায় সেই হিন্দু পুরানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’। শ্রীকৃষ্ণ যে গোকুলে বেড়ে উঠছে, সে কথা রাজা কংশ খেয়ালে না নেওয়ায়, শ্রীকৃষ্ণের হাতেই তার মৃত্যু হয়েছিল। খনাও বলেছিলেন, যে ব্যক্তি দুধ দিয়ে সাপ পোষে, সাপের ছোবলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা যদি এ বাস্তবতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হই, তাহলে এদেশ তালেবানি রাষ্ট্র অথবা পাকিস্তানের অংশ হয়ে যাবে। পাকিস্তানের চতুর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাদের দেশে প্রবেশ করার জন্য উন্মাদ। কী তার উদ্দেশ্য? তিনি সেদিন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছেন। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে যান তাহলে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুযায়ী ইমরান খানকেও ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ করতে হয়। সে সুযোগেরই অপেক্ষায় রয়েছেন ইমরান খান, যাতে সে তার গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ে এসে এ সরকার উৎখাত করে তাদের প্রিয়জনদের ক্ষমতায় বসাতে পারে। যেমনটি করেছিল ভুট্টো। যারা বলবেন ১৯৭৪-এর অবস্থা ভিন্ন তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় যে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা ছিল, তার প্রমাণ অবিস্ফোরিত গ্রেনেডেই পাওয়া গেছে, পাওয়া গেছে দুজন পাকিস্তানি নাগরিকের সম্পৃক্ততায়, আদালত যাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। ২০০০ সালের নির্বাচনের জন্য যে তারা বিএনপি-জামায়াতকে অর্থ দিয়েছিল, তা পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান পাকিস্তানি আদালতে প্রকাশ্যেই বলেছেন। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে দুজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করতে হয়েছিল যখন ধরা পড়ল যে তারা বাংলাদেশি জঙ্গিদের অর্থ দিচ্ছে দেশে শান্তি বিনষ্টের জন্য। ২০১৩ সালে র‌্যাব উত্তরা থেকে যে কজন জঙ্গিকে আটক করেছিল তার মধ্যে একজন ছিল পিআইএর ঢাকা অফিসের এক কর্মকর্তা। আরও মনে রাখতে হবে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও আন্তর্জাতিক জঙ্গি অর্থায়ন তদারকি সংস্থা ‘ফাইনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স টাস্কফোর্স (টিআইএফটি) পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাবহির্ভূত না করে তা বজায় রেখেছে, কারণ পাকিস্তান এখনো বিদেশে জঙ্গি রপ্তানি করছে মর্মে তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইমরান খানকে নিমন্ত্রণ করেন তাহলে তাকে স্বাগতম জানাতে যে হাজার হাজার হেফাজতি-জামায়াতি-বিএনপি যাবে এটা হলফ করেই বলা যায়, আর তার থেকেই তীক্ষè বুদ্ধির ইমরান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার উৎখাতের কর্মসূচি নেওয়ার প্রেরণা পাবে। মনে রাখতে হবে এরা যেমন বঙ্গবন্ধুকে মানতে পারেনি, একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মানতে পারছে না, ওপরে যাই বলুক না কেন। ভুলে গেলে চলবে না এদেশে ইমরান খানের বহু দোসর রয়েছে, যা ১৯৭১-এ ভুট্টোরও ছিল না।

সূত্র :

১. আবেদ খান রচিত ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি

২. বিশিষ্ট সাংবাদিক পরেশ সাহা

৩. মার্কিন সাংবাদিক এমা রথচাইল্ড

৪. লরেন্স লিফশুলজ

৫. দি কারেঞ্জি পেপারস

৬. ক্রিস্টোফার এরিক হিচেঞ্জ রচিত দ্য ট্রায়াল হেনরি কিসিঞ্জার

 

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

এই বিভাগের আরও খবর
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় - চীন
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় - চীন
আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের
আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙানোর অপেক্ষা
সেঞ্চুরিতে শততম টেস্ট রাঙানোর অপেক্ষা
নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগোতে পারব না
নারীদের পেছনে রেখে আমরা এগোতে পারব না
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা
ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি আমরা
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
চ্যালেঞ্জ গণভোট আয়োজন
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাজনীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রাজনীতিতে উদ্বেগ বাড়ছে
সর্বশেষ খবর
ঢাকা কলেজে শুভসংঘের উদ্যোগে ‘দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা
ঢাকা কলেজে শুভসংঘের উদ্যোগে ‘দেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা

এই মাত্র | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ৯ বছরে সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ

১১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাতের পর শক্তিশালী ভূমিকম্প

১৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্বে শোয়েব আখতার
ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্বে শোয়েব আখতার

১৫ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাতে কলারোয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা সামগ্রী উপহার
শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমাতে কলারোয়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘের শিক্ষা সামগ্রী উপহার

২০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজায় ইসরায়েলের হামলা 'বিপজ্জনক উসকানি' : হামাস
গাজায় ইসরায়েলের হামলা 'বিপজ্জনক উসকানি' : হামাস

২০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫৯৭ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫৯৭ মামলা

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে রাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে রাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

২৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩
নবীনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও ৩

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মুন্সীগঞ্জে যুবদল নেতা হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

৩০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু, থাকছে নেগেটিভ নম্বর
জবিতে প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন শুরু, থাকছে নেগেটিভ নম্বর

৩২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে সাহিত্য আড্ডা
বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে জহুর চান বিবি মহিলা কলেজে সাহিত্য আড্ডা

৪০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতের আমেজ
দেশজুড়ে তাপমাত্রা কমছে, বাড়ছে শীতের আমেজ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে
পার্শ্ববর্তী দেশে বসে ফ্যাসিবাদরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে

৫২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার মামলা, আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৮৩
ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার মামলা, আসামি আ.লীগ নেতাসহ ১৮৩

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক
চেক প্রজাতন্ত্রে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত অর্ধশতাধিক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
রূপগঞ্জে বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে ধানের শীষের গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ
তিন রাজস্ব আইনের ইংরেজি সংস্করণের গেজেট প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু
ময়মনসিংহ মেডিকেলে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি
অর্থ বাঁচাতে গোল না করার অনুরোধ বার্সার, হতভম্ব হয়ে যান লেভানডস্কি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ
সার্টিফিকেট জটিলতায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রফতানি বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১
রুমায় পর্যটকবাহী চাঁদের গাড়ি উল্টে আহত ১১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধ বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত
লামায় সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকচালক নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত হলো সংবিধানে, কার্যকর হবে ভবিষ্যতে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প
সৌদি যুবরাজের অনুরোধ, সুদানের সংঘাত অবসান করতে চান ট্রাম্প

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক
শততম টেস্টে শতক হাঁকালেন মুশফিক

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন
খাদে পড়ে আছে সাকুরা পরিবহন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার
গণ অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের পরিবারকে চিকিৎসা দেবে আমরা বিএনপি পরিবার

নগর জীবন

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
পরোপকারী মুন্না এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা