শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ আপডেট:

তোমার মরণ না হয় আমার মরণ

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক
প্রিন্ট ভার্সন
তোমার মরণ না হয় আমার মরণ

সকাল বেলা যথাসময়ে নিদ্রা ত্যাগ করার জন্য আমি মোবাইল ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখি আর অ্যালার্মটি রবীন্দ্র সংগীত দিয়ে, এক এক দিন এক একটি। গত ২৮ মার্চ টেলিভিশনে টকশোতে অংশ নেওয়ায় ঘুমোতে হয়েছিল অধিক রাতে। সকালের দিকে স্বপ্ন ভেসে উঠল হেফাজত-জামায়াতসহ ধর্ম ব্যবসায়ীদের তান্ডবের দৃশ্যগুলো, যা সন্ধ্যায় টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছি। স্বপ্নেই ভেসে এলো বহু প্রশ্ন, যথা ধর্মান্ধ পাকিস্তানিদের এই উন্মাদনা ধ্বংস করার জন্য জন্য কী করা প্রয়োজন। ঠিক তখনই মোবাইলের অ্যালার্মে বেজে উঠল কবিগুরুর শ্যামা নৃত্যনাট্যের গানের একটি কলি, ‘তোমার মরণ, না হয় আমার মরণ, জমের দিব্যি করো যদি এরে হর’। ঘুম ভাঙার পরই ভাবতে শুরু করলাম কেন এই গানটি বেজে উঠল? নিদ্রাবস্থার ঘোর কাটার পর মনে হলো সেদিন পত্রপত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন ব্যক্তির লেখা থেকে যে সমীকরণে আসা যায় তা কিন্তু শ্যামা নৃত্যনাট্যে নগর কোতালের সেই সাবধান বাণীরই মতো। অর্থাৎ আমরা এমন এক চরম সন্ধিক্ষণে পেঁৗঁছেছি যেখানে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের শক্তির জয় হবে, ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ জয়ী হবে, নয়তো ধর্ম ব্যবসায়ী পাকিস্তানি চরদের স্বপ্ন পূরণ হবে যারা ১৯৭১-এ পরাজিত হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়া-মোশতাকের নেতৃত্বে আবার উজ্জীবিত হতে পেরেছে।

কদিন ধরে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান সাহেবের গবেষণাধর্মী বই ‘ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি’ পড়ে বারবার মনে শঙ্কা জাগছিল, সে বইতে বঙ্গবন্ধু হত্যার আগে পাক-মার্কিন প্রভুদের সঙ্গে মোশতাক, চাষী, ঠাকুর, ওবায়দুর রহমান, মোয়াজ্জেম, জিয়া, ফারুক, রশিদ প্রমুখ পাকিস্তানি চরদের অশুভ আঁতাতের কথা আবেদ খান সাহেব বেশ সাবলীল ভাষায়ই ব্যক্ত করেছেন, যে অশুভ আঁতাত ছিল শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানে রূপান্তরিত করার জন্য যে পরিকল্পনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মোশতাক গং হেনরি কিসিঞ্জারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছিল।

পাকিস্তান-আমেরিকার সিদ্ধান্ত ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেই বাংলাদেশের ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে আর তারা ১৯৭১ থেকেই তাদের এই পরিকল্পনা ফলপ্রসূ করতে পারে এমন লোকের খোঁজে সাফল্যের সঙ্গেই লেগে যায়। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে একই ফ্লাইটে একটি ভুয়া হকি খেলোয়াড়ের দল পাঠিয়েছিল, যার সঙ্গে দবিরউদ্দিন সিদ্দিকী নামে এক বাঙালিও ছিল, যার দাদা ছিল ভারতীয় মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা। পরিকল্পনা ছিল লন্ডন অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ায় তখনকার মতো তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ভুট্টো হাল না ছেড়ে দবির সিদ্দিকীকে নির্দেশ দিল বঙ্গবন্ধু কলকাতা গেলে তখন তাঁকে হত্যা করতে। দবির সিদ্দিকী কলকাতা গমন করলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে। বঙ্গবন্ধুর কথায় ভারতীয় পুলিশ তাকে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে সোপর্দ করলেও আকাশচুম্বী মহানুভবতার অধিকারী বঙ্গবন্ধু দরিবকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। সে জিয়ার সময়ে ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্টও হয়েছিল।

সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পর শুরু হয় ষড়যন্ত্রের নতুন শাখা। ভুট্টো-কিসিঞ্জার তখন ঠিক করল দেশে খাদ্যাভাব সৃষ্টি করে, যেমনটি কিসিঞ্জার চিলিতে করেছিল, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা সৃষ্টি করে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করে দিয়ে। তারপর এক মহাসুযোগ ঘটে গেল ভুট্টোর এভাবে যে, বঙ্গবন্ধু লাহোর গিয়ে স্বাভাবিক প্রটোকলের নিয়ম অনুযায়ী ভুট্টোকে নেহায়েত ভদ্রতার খাতিরে অনেকটা ইচ্ছার বিরুদ্ধেই বাংলাদেশে আসার জন্য নিমন্ত্রণ করলেন আর ভুট্টোও সেই মহাসুযোগ লুফে বিরাট গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ে ১৯৭৪ সালের ২৭ জুন ঢাকা এসে নিজ চোখে এবং গোয়েন্দাদের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার নীলনকশা তৈরি করে পাকিস্তান ফিরে গেলেন। তার সেই নীলনকশায় মোশতাক-জিয়া গং ছাড়াও সেই সফরকালে ভুট্টোর সঙ্গে মোশতাকের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হলে, ভুট্টো মোশতাককে নীলনকশার অনুমোদন দিলেন। বিশেষ সহায়তায় ছিল সে সময়ের এনএসআই প্রধান, পাকিস্তানি চর সফদার এবং খাদ্য সচিব মোমেন খান (বর্তমান বিএনপি নেতা মঈন খানের পিতা) যাকে পুরস্কারস্বরূপ পরে জিয়া মন্ত্রী পদে বসিয়েছিলেন। ভুট্টোর ঢাকা আগমনের চার মাস পরই কিসিঞ্জার এসে সেই নীলনকশায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এর মধ্যে বিশেষ করে খাদ্য সচিব মোমেন খানের কারসাজিতে, খাদ্য আমদানির জন্য যে দুই মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল, তারা মার্কিন সরকারের চাপে সে চুক্তি বাতিল করে দেয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা নানা উপায়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্য কিনে সেগুলো নষ্ট করে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টিতে সহায়তা করে। পরেশ সাহা নামে এক প্রখ্যাত সাংবাদিক তার গ্রন্থে লিখেছেন- ‘১৯৭৪-এর ভয়াবহ বন্যার পর আমি বাংলাদেশে যাই। তখন ঢাকার অন্তর্গত সাভার বন্দরের জনৈক ব্যবসায়ী আমাকে জানান কটি বিদেশি সংস্থা চাল সরবরাহ করবেন। তাকে বলা হয়েছিল, ওই সংগৃহীত চাল বাংলাদেশের ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য বিতরণ করা হবে। কিন্তু জানতে পেরেছেন ওই চাল দুঃখী মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়নি, বাংলাদেশের খাদ্য সংকট আরও শোচনীয় করার জন্য ওই সব চাল সুন্দরবনের নদীগর্ভে ডুবিয় দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গোপন সূত্র থেকে ওই খবর পাওয়ার পর তিনি বিদেশি সংস্থাকে চাল সরবরাহ বন্ধ করে দেন।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য বহুবিধ কর্মকান্ড ষড়যন্ত্রকারীরা গ্রহণ করে। একটি ঘটনা ঘটানো হয় ১৯৭৩ সালে সাভারে এক হিন্দু তামাকের দোকানদার উর্দু কাগজের প্যাকেটে তামাক বিক্রি করলে প্রচার করা হয় সে কোরআন শরিফ ছিঁড়ে তামাকের প্যাকেট বানাচ্ছে। এর ফলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দেয়। এমনি আরও অপপ্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা হয়। সিরাজ সিকদারদের মতো নকশালপন্থি, শফিউল আলম প্রধানদের এবং মেজর জলিলদের ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা হয়। তখন ঝানু আমেরিকান গোয়েন্দা ফিলিপ চেরিকে ঢাকায় বদলি করা হয়। একই ধরনের অবস্থা ২০২১-এর ষড়যন্ত্রকারীরা করে বেড়াচ্ছে। দেশে খাদ্যের এত প্রাচুর্য রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এত বেশি রিজার্ভ রয়েছে যে ষড়যন্ত্রকারীরা খাদ্য সংকট তৈরি করতে না পেরে তারা ঠিক একইভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে সেই ধরনেরই পন্থা অবলম্বন করছে যা ১৯৭৩-এ করা হয়েছিল, যার প্রমাণ সুনামগঞ্জ, নাসিরনগর, রামু ইত্যাদির ঘটনা। একইভাবে তারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে বিভিন্ন জায়গায়, যার বড় প্রমাণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

নিশ্চিত খবরে প্রকাশ হেফাজতের হামলায় ল-ভ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনপদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বাংলাদেশের বুকে এক টুকরো আফগানিস্তান বানানোর সব আয়োজন ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে হেফাজত। তাদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ থেকে রেহাই পায়নি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, আবদুল কুদ্দুস মাখনের মুক্তমঞ্চ, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কালীবাড়ি মন্দিরের প্রতিমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব, জেলা পরিষদ ভবন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পুলিশ লাইন, সার্কিট হাউস, ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, ডিসির বাসভবন, এসপির বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, সরাইলের হাইওয়ে থানা, রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, সদর থানাধীন দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি, জেলা আনসার-ভিডিপি কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন মেলা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, ব্যাংক এশিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর কার্যালয়, মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র, দলিল লেখক সমিতির কার্যালয়, পেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি রিয়াজ উদ্দিনের ওপর হামলা, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও আয়কর উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার কার্যালয়, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম রুবেলের বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের বাড়ি, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসিমা মুকাই আলীর শহরের হালদারপাড়ার বাসভবন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম খোকনের বাড়ি। তার চেয়েও জঘন্য ছিল বাংলাদেশের পতাকায় অগ্নিসংযোগ এবং বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা, যে দুটিই রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ। অনেকে তলোয়ার হাতে, ঘোড়ায় চরে এসে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল বিনা বাধায়, কেউ দেখার ছিল না, প্রসাশন ছিল নীরব দর্শক। ঐতিহ্যবাহী বহু ঐতিহাসিক স্মৃতি ধ্বংস করে দিল, যেগুলো কখনো ফিরে পাওয়া যাবে না। প্রসাশনের নাকের ডগায় পোড়ানো হলো জাতীয় পতাকা, ভাঙা হলো বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। মনে হচ্ছিল দেশে কোনো সরকার নেই। থানা থেকে মাইকে বলা হলো, ‘আমরা তোমাদের সাথে’।

এ ছাড়াও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ফাঁড়িতে থাকা ১৮টি মাইক্রোবাস এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা পরিষদ কার্যালয়ের মধ্যে থাকা প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাঙাচোরা গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ধর্ম ব্যবসায়ী এবং পাকিস্তানি তত্ত্বে বিশ্বাসীরা দেশকে আবার পাকিস্তানে রূপান্তরিত করতে পারবে কি না, সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে আমাদের ওপর। তারা এখনো এত বড় শক্তি হয়ে ওঠেনি যে আমাদের উৎখাত করতে পারবে। বরং তাদের সমূলে উৎখাত করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আমাদের রয়েছে, যা ২০১৩ সালের ৫ মে নতুন করে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আমরা যদি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর না হয়ে বরং তাদের তোয়াজ করার নীতি অনুসরণ করি তাহলে যে ফল ভালো হবে না, এদের বর্তমান আস্ফালন তাই প্রমাণ করছে। এ ব্যাপারে ১৪ দলের অভিজ্ঞ নেতৃবৃন্দ এবং জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমেদ যা বলেছেন, তার চেয়ে মূল্যবান উক্তি আর হতে পারে না। তাদের কথা পরিষ্কার, এখনই এই সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে খড়গহস্ত না হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। তারা সবাই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রাজনীতি করে আসা অত্যন্ত অভিজ্ঞ রাজনীতিক। ড. আওলাদ হোসেনও একই ধরনের কথা বলেছেন। সেদিন এক টকশোতে প্রাক্তন সচিব, একজন উচিত বক্তা এবং ছাত্ররাজনীতি করা আবু আলম শহিদ খান সরকারের তোয়াজ নীতির সমালোচনায় সেই হিন্দু পুরানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে’। শ্রীকৃষ্ণ যে গোকুলে বেড়ে উঠছে, সে কথা রাজা কংশ খেয়ালে না নেওয়ায়, শ্রীকৃষ্ণের হাতেই তার মৃত্যু হয়েছিল। খনাও বলেছিলেন, যে ব্যক্তি দুধ দিয়ে সাপ পোষে, সাপের ছোবলেই তার মৃত্যু হয়। আমরা যদি এ বাস্তবতা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হই, তাহলে এদেশ তালেবানি রাষ্ট্র অথবা পাকিস্তানের অংশ হয়ে যাবে। পাকিস্তানের চতুর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আমাদের দেশে প্রবেশ করার জন্য উন্মাদ। কী তার উদ্দেশ্য? তিনি সেদিন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তানে যাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছেন। যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে যান তাহলে রাষ্ট্রীয় শিষ্টাচার অনুযায়ী ইমরান খানকেও ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ করতে হয়। সে সুযোগেরই অপেক্ষায় রয়েছেন ইমরান খান, যাতে সে তার গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ে এসে এ সরকার উৎখাত করে তাদের প্রিয়জনদের ক্ষমতায় বসাতে পারে। যেমনটি করেছিল ভুট্টো। যারা বলবেন ১৯৭৪-এর অবস্থা ভিন্ন তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলায় যে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা ছিল, তার প্রমাণ অবিস্ফোরিত গ্রেনেডেই পাওয়া গেছে, পাওয়া গেছে দুজন পাকিস্তানি নাগরিকের সম্পৃক্ততায়, আদালত যাদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে। ২০০০ সালের নির্বাচনের জন্য যে তারা বিএনপি-জামায়াতকে অর্থ দিয়েছিল, তা পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান পাকিস্তানি আদালতে প্রকাশ্যেই বলেছেন। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে দুজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করতে হয়েছিল যখন ধরা পড়ল যে তারা বাংলাদেশি জঙ্গিদের অর্থ দিচ্ছে দেশে শান্তি বিনষ্টের জন্য। ২০১৩ সালে র‌্যাব উত্তরা থেকে যে কজন জঙ্গিকে আটক করেছিল তার মধ্যে একজন ছিল পিআইএর ঢাকা অফিসের এক কর্মকর্তা। আরও মনে রাখতে হবে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও আন্তর্জাতিক জঙ্গি অর্থায়ন তদারকি সংস্থা ‘ফাইনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স টাস্কফোর্স (টিআইএফটি) পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাবহির্ভূত না করে তা বজায় রেখেছে, কারণ পাকিস্তান এখনো বিদেশে জঙ্গি রপ্তানি করছে মর্মে তাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি ইমরান খানকে নিমন্ত্রণ করেন তাহলে তাকে স্বাগতম জানাতে যে হাজার হাজার হেফাজতি-জামায়াতি-বিএনপি যাবে এটা হলফ করেই বলা যায়, আর তার থেকেই তীক্ষè বুদ্ধির ইমরান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার উৎখাতের কর্মসূচি নেওয়ার প্রেরণা পাবে। মনে রাখতে হবে এরা যেমন বঙ্গবন্ধুকে মানতে পারেনি, একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মানতে পারছে না, ওপরে যাই বলুক না কেন। ভুলে গেলে চলবে না এদেশে ইমরান খানের বহু দোসর রয়েছে, যা ১৯৭১-এ ভুট্টোরও ছিল না।

সূত্র :

১. আবেদ খান রচিত ষড়যন্ত্রের জালে বিপন্ন রাজনীতি

২. বিশিষ্ট সাংবাদিক পরেশ সাহা

৩. মার্কিন সাংবাদিক এমা রথচাইল্ড

৪. লরেন্স লিফশুলজ

৫. দি কারেঞ্জি পেপারস

৬. ক্রিস্টোফার এরিক হিচেঞ্জ রচিত দ্য ট্রায়াল হেনরি কিসিঞ্জার

 

লেখক : আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

এই বিভাগের আরও খবর
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
এনসিপিসহ দুই দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন
এনসিপিসহ দুই দলকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে নানান কর্মসূচি
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মুশফিকের ১০০তম টেস্ট আজ
মুশফিকের ১০০তম টেস্ট আজ
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের বৈঠক
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদের বৈঠক
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
ভোটের আগে কেনা হবে বডি ওর্ন ক্যামেরা
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
সর্বশেষ খবর
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচনের আগে আনসারদের জন্য ১৭ হাজার শটগান কেনা হবে : অর্থ উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা
অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই খুন যুবদল নেতা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ার সাবেক ডিসির বিরুদ্ধে মামলা

নগর জীবন