শনিবার, ১২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

৭০ দিনে বজ্রপাতে মৃত্যু ১৭৭, আহত ৪৭

হটস্পট সিরাজগঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ৭০ দিনে বজ্রপাতে ১৭৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে শুধু কৃষি কাজ করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে ১২২ জনের। বজ্রপাত ও কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন ১৫ জন। ঘরে অবস্থানকালীন বজ্রপাতে মারা গেছেন ১০ জন। নৌকায় মাছ ধরার সময় ছয়জন। মাঠে গরু আনতে গিয়ে পাঁচজন এবং মাঠে খেলা করার সময় তিন জনসহ বাড়ির আঙিনায় খেলা করার সময় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যান/রিকশা চালানোর সময় দুজন এবং গাড়ির ভিতরে অবস্থানকালীন বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম দেশের জাতীয় দৈনিক, স্থানীয় পত্রিকা, টিভি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে এ তথ্য পেয়েছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছর বজ্রপাতে মৃত্যুর মোট সংখ্যার মধ্যে ১৪৯ জন পুরুষ এবং ২৮ জন নারী। নারী-পুরুষের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৩ জন, কিশোর ছয় এবং কিশোরীর সংখ্যা তিন। এ বছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বজ্রপাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না থাকলেও মার্চের শেষ দিন থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেই মোট ৬৫ জন মারা যান। মৃত্যুর পাশাপাশি এ বছর বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ৪৭ জন। এর মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। চলতি বছর বজ্রপাতের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এ জেলায় চলতি বছরের মে এবং জুন মাসেই মারা গেছে ১৮ জন। এ ছাড়া এ চার মাসে জামালপুরে ১৪, নেত্রকোনায় ১৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ ও চট্টগ্রামে ১০ জন মারা যান। বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে সংগঠনটি বেশ কিছু দাবি বাস্তবায়নের কথা বলেন। এগুলো হচ্ছে- বজ্রপাতে ক্ষতিপূরণ সামলাতে এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা। মাঠ, হাওর ও ফাঁকা কৃষিকাজের এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা। এর ওপর বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করা। বিদেশ থেকে আমদানি করা থান্ডার প্রোটেকশন সিস্টেমের সব পণ্যে শুল্ক মওকুফ করা। সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর