বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

টিকা প্রদান নিয়ে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে হাতাহাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিকা প্রদান নিয়ে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে বিশৃঙ্খলা। ফাইজারের টিকার দাবিতে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ করেছেন বিদেশগামী কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও পাওয়া যায়নি ফাইজারের টিকা।

টিকা কেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। টিকা না পেয়ে ফিরে এসেছেন মানুষ। শুধু সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালই নয়, একাধিক কেন্দ্রে ফাইজার ও মডার্নার টিকা নিতে গিয়ে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। গতকাল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল     কলেজ হাসপাতালে প্রায় সবাই এসএমএস পাওয়ার পর টিকা নিতে এসেছিলেন। বিদেশগামী কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসপাতালে টিকা নিতে এসেছেন তারা। কেউ মাইক্রোবাস ভাড়া করে, কেউ লকডাউনের মধ্যে নানা ভোগান্তি পাড়ি দিয়ে রাজধানীতে এসেছেন। এরা সবাই মূলত সৌদি আরব এবং কুয়েতগামী প্রবাসী। কেউ ভোর ৫টা থেকে লাইন ধরেছেন টিকা নিতে। কুয়েত থেকে গত মার্চে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন টাঙ্গাইলের সুলতান হোসেন। তিনি জানান, সকাল ৭টায় এসে লাইন ধরেছি। দুপুর বেলা জানলাম, ফাইজারের টিকা শেষ। এখন তারা বলছে মডার্না নিতে। গতকাল মাঝরাতে রওনা দিয়ে আসছি। সৌদিগামী কর্মী ফারুক জামিল মডার্নার টিকা নেওয়ার পর জানান, আমাদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার কথা ছিল। ফাইজারের টিকা শেষ কিছুক্ষণ আগে জানলাম। টিকা শেষ শুনে অনেকেই বিক্ষোভ করছিল। পরে কর্তৃপক্ষ এসে বলছে মডার্না নেওয়া যাবে। তাই নিলাম। ফাইজারের টিকা শেষ শুনে উত্তেজিত হয়ে যান প্রবাসী কর্মীরা। তারা টিকা কেন্দ্রে হইচই শুরু করেন। পরে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান তাদের জানান, ‘ফাইজারের টিকা দেওয়ার সক্ষমতা যেটুকু ছিল সেটুকু আজকে দেওয়া হয়ে গেছে। আপনারা চাইলে মডার্নার টিকা নিতে পারেন। সেটিও সৌদি আরবসহ অনেক দেশেই গ্রহণযোগ্য। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, আপনাদের মডার্নার টিকা দেওয়া যাবে।’ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান বলেন, ‘ফাইজারের টিকা তাপমাত্রাগত জটিলতার কারণে সীমিত পর্যায়ে দেওয়া হয়। আগে প্রতি কেন্দ্রে ২০০ ডোজ দেওয়ার কথা থাকলেও আমাদের অন্তত ১ হাজার করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা সেভাবেই দিচ্ছি। এ কারণে ফাইজারের টিকা আজকে শেষ হয়ে যাওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের মডার্না দিতে বলেছেন। এটাও তাদের গন্তব্য দেশে গ্রহণযোগ্য। কিন্তু তারা ফাইজারই নেবেন। তাই আমরা বলেছি, যারা মডার্না নিতে চান, তারা এখন নিতে পারেন। যারা নিতে চান না তাদের পুনরায় আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর