শুক্রবার, ৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

শিল্পকারখানা খোলা রেখে বাড়ল লকডাউন

অভ্যন্তরীণ রুটে চলবে বিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আজ থেকে খুলছে শিল্পকারখানা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানও চলবে। শিল্পকারখানা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলকে আওতার বাইরে রেখে চলমান লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে গতকাল আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে ১ আগস্ট থেকে কেবল রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

নতুন আদেশে বলা হয়- ‘করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় আরোপিত আগের বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন দুটি শর্তে ৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বাড়ানো হলো। তবে শিল্পকারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করবে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এ বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন চলছে। পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী গত রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল কঠোর বিধিনিষেধ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সর্বশেষ আদেশে তা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ ছিল সব ধরনের শিল্পকারখানা। ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। বন্ধ দোকানপাট ও শপিং মল। জরুরি ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ। মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছিলেন, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট, যানবাহন ও অফিস চলবে। তবে একসঙ্গে নয়। স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হবে যেন পর্যায়ক্রমে এসব চলাচলের ব্যবস্থা করে। যেমন গাজীপুর থেকে প্রতিদিন ১০০ গাড়ি চলে। সেখানে হয়তো ৩০টি বা ৫০টি চলবে। আজ যেগুলো যাবে পরদিন অন্যগুলো যাবে। মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে পালা করে দেওয়া হবে। রেল-লঞ্চও চলবে। আর সীমিত আকারে চলার বিষয়টি নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ। পরীক্ষামূলক হিসেবে দু-চার দিন দেখা হবে। বাস্তবতার নিরিখে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

কিন্তু এর মধ্যেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। বরং দিন দিন অবনতি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গতকালের হিসাব অনুযায়ী এক দিনে ২৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৪৪ জন। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।

সর্বশেষ খবর