বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব-বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের মনিটর করছে পুলিশ। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে চক্রান্তকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট কিংবা বিভিন্ন তথ্য বিকৃত বা অপব্যাখ্যা করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ যে কোনো মাধ্যমে গুজব ও বিভ্রান্তি না ছড়াতে এবং অযাচাইকৃত সংবাদ বিশ্বাস না করতে সবার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। যে কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবিলায় জনগণের সার্বিক সহযোগিতাও প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
উসকানিমূলক পোস্ট ফেসবুকে গ্রেফতার ১ : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারবিরোধী প্রচারণা ও ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে মানিকগঞ্জে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতার শামীম (২৭) আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বলে এটিইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। গতকাল সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রবিবার মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার শিমুলিয়া এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়। গাজওয়াতুল হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অনলাইনে উগ্রবাদী ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন শামীম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব প্রচারণা চালিয়ে সদস্য সংগ্রহের কাজ করতেন তিনি। যারা তার পোস্ট দেখে আগ্রহ দেখাতেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করতেন তিনি। শামীমের কাছ থেকে একটি মোবাইলফোন ও ছয়টি উগ্রপন্থি বই জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিবালয় থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে পুলিশ। শামীম মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতকোত্তরের ছাত্র।