মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট আয়োজিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। এরপর তারা রাজধানীর পল্টন থেকে জিরো পয়েন্ট দিয়ে সচিবালয়ের সামনে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। সেখানে দুই পক্ষে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে জিপিও মোড়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অবস্থান করেন বিক্ষোভকারীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বাম জোটের নেতারা। এ সময় পল্টন ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও গণপরিবহনের ভাড়া প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘৪০ হাজার কোটি টাকা গ্যাস সিএনজি থেকে সরকার লাভবান হয়েছে। সেই ৪০ হাজার কোটি টাকা কোথায়? সেই ৪০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিলে আগামী ১৫ বছর গ্যাসের দাম যতই বাড়ুক তাতে কোনো ক্ষতি হবে না। গ্যাসের ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে।’ বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ পাকিস্তানিদের মতো বাংলাদেশের মানুষকে ভাতে মারতে চায়। বাংলাদেশের মানুষকে এখন তারা বাজারের আগুনে পুড়িয়ে মারতে চায়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারাও করবে। এতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাবে। এই সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর