বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে যে ডেলিগেশনের তালিকা প্রদান করেছে, সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। সরকার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ংকর কর্মের নির্দেশদাতাদের এই তালিকাভুক্ত করে বৈধতা প্রদানের করার চেষ্টা করেছে। এ ধরনের শর্তসাপেক্ষে ভিসা প্রাপ্তি বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর। সরকারের এ ধরনের দায়-দায়িত্বহীন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের পুলিশপ্রধান সম্মেলনে অংশ নেওয়ার জন্য শর্তসাপেক্ষে আইজিপি বেনজীর আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর। যুক্তরাষ্ট্র তাকে শর্তসাপেক্ষে ভিসা দেওয়ায় দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে ডেলিগেশনের এই তালিকা দিয়ে ইচ্ছা করেই দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘদিন বিএনপিসহ দেশের প্রায় সব গণতান্ত্রিক দল এ সরকারের হিংস্র আচরণ নিয়ে কথা বলে আসছে। ইতোমধ্যে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে এ সরকার গুম করেছে। ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। বিনা বিচারে গ্রেফতার করে নির্যাতন করেছে। দেশে কোনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, মিটিং মিছিল করার অধিকার নেই, বিনা অনুমতিতে এমনকি কোনো সমাবেশ পর্যন্ত করতে দেয় না। মির্জা ফখরুল বলেন, এ ধরনের একটি পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেশের মানুষ আশা করেছিল, এ সরকারের বোধোদয় হতে পারে। কিন্তু অবাক বিস্ময় ও ক্ষোভের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম, জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত এক অপরাধীকে প্রতিনিধি দলে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করল- তারা তাদের হিংস্র, মানবতাবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়েই যাবে বিশ্ব বিবেক ও মতামতকে তোয়াক্কা না করে।