বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সাক্ষ্য আইনে যুক্ত হচ্ছে ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ

সংসদীয় কমিটিতে পর্যালোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মামলায় বাদীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ বাতিল করে সংসদে উত্থাপিত ‘সাক্ষ্য আইন-২০২২’-এর সংশোধিত বিভিন্ন ধারা ও নতুন যুক্ত ধারা নিয়ে পর্যালোচনা করেছে সংসদীয় কমিটি। বিলে আদালতের অনুমতি ছাড়া ভিকটিমকে জেরা না করার বিধানের পাশাপাশি বিচার কার্যে ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের বিষয় নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে। সংসদ ভবনে গতকাল ‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ‘এভিডেন্স (এমেন্ডমেন্ট) বিল ২০২২’ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং সেলিম আলতাফ জর্জ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বিলটি পরবর্তী বৈঠকে অধিকতর পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আলোচ্য বিলে বিদ্যমান আইনের ১৫৫ (৪) ধারাটি বাতিল করা হয়েছে। এতে ছিল, কোনো ব্যক্তি যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা। এ ছাড়া ১৪৬ (৩) ধারাটি সংশোধন করে বিলে বলা হয়েছে, আদালতের অনুমতি ছাড়া ভিকটিমকে জেরা করা যাবে না। আগের এই ধারাটি প্রয়োগ করে জেরা করা হতো। এতে বলা ছিল, তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এ রূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে। বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর