বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
আবাসিক সমন্বয়ক বললেন

নির্বাচনে সরাসরি যুক্তের এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নির্বাচনে সরাসরি যুক্তের এখতিয়ার জাতিসংঘের নেই

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সরাসরি যুক্ত হওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বা নিরাপত্তা পরিষদ চাইলে নির্বাচনে সহযোগিতা দিতে পারে জাতিসংঘ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডিকাব টক’ নামের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। গোয়েন লুইস বলেন, নির্বাচনের সহায়তার সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের বিষয় নয়, এটা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত। যদি তারা মনে করে তাদের সহায়তা দরকার, তাহলে তারা জাতিসংঘকে জানাবে। নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদ কিংবা কোনো দেশ থেকে বিশেষ অনুরোধ না পেলে জাতিসংঘের ‘কাজ করার ম্যান্ডেট নেই’ বলেও জানান তিনি। সহিংসতার কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মে মাসে আমি ঢাকায় আসার পর থেকে গত কয়েক মাসে মানুষ আহত হয়েছেন এবং নিহতও হয়েছেন। সুতরাং এটা নিশ্চিতভাবে ?উদ্বেগের। রাজনৈতিক দল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জাতিসংঘ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই রয়েছে জাতিসংঘ। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলছি, কথা বলছি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও। যাতে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা এবং জীবন রক্ষা করা যায়। তিনি বলেন, প্রতিবাদ ও সমাবেশ গণতন্ত্রেরই অংশ এবং এটার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সংলাপ ও সংযোগের পথ তৈরি করতে আহ্বান জারি রাখার আশা রাখি আমরা। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। রোহিঙ্গাদের প্রতি আমরা সংহতি জানাই। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘ কাজ করছে। আমরা রোহিঙ্গা সংকটের রাজনৈতিক সমাধান চাই। আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয় তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে আমরা অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। রোহিঙ্গা সমস্যা বৈশ্বিক এজেন্ডাতে ধরে রাখা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে। অনেক নতুন ইস্যু সামনে চলে এসেছে এবং এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। আমরা চেষ্টা করছি ইস্যুটিকে (রোহিঙ্গা) ধরে রাখার জন্য। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য দাতাদের দেওয়া তহবিল থেকে জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাকি অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করা হয়। এ ব্যয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিকাব প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম লোটাস এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন।

সর্বশেষ খবর