শরীয়তপুর জেলার ঠান্ডাবাজার সংলগ্ন মেঘনা নদীতে চলন্ত যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ এক নারীকে ১০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় শরীয়তপুর জেলার কোদালপুর সংলগ্ন ঠান্ডাবাজার এলাকায় গোশাইরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি ঈগল-৩ থেকে চলন্ত অবস্থায় জোহরা বেগম (৩৮) নামের এক মহিলা নদীতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-থেকে খবর পেয়ে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড আউটপোস্ট হাইমচর কর্তৃক উদ্ধার অভিযান (সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেসন্স) পরিচালনা করা হয়। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় নদীর পাড় থেকে নিখোঁজ জোহরা বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত নারী লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়ায় ডান পায়ে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোসাইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম শিকদার বলেন, লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া নারী একটি চরে আটকে ছিল। তিনি বর্তমানে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। জিজ্ঞাসাবাদে জহুরা বেগম জানিয়েছেন, জহুরা পানের সঙ্গে সুপারি-জর্দা বেশি খাওয়ার কারণে মাথা ঘুরে নদীতে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ার সময় তার স্বামী জহিরুল ও সন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পেরে সবাইকে জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়। জহুরা বেগম স্বামী জহিরুলের সঙ্গে গোসাইরহাটের কুচাইপট্টতে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন।