নিজেদের মেয়াদে যত নির্বাচন হবে সব একই মানের নির্বাচন করার প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, তাদের ওপর কোনো চাপ নেই, স্বাধীনভাবে কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা ভালো থাকলেও যারা ইসির সমালোচনা করার তারা তা চালিয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার। ইভিএমে ভোটের ফলাফল বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, গাজীপুর বেশ বড় সিটি করপোরেশন, অনেক প্রার্থী ছিলেন, তাই ফল দিতে সময় লেগেছে। তবে সংসদ নির্বাচনে ফলাফল দিতে এত সময় লাগবে না। কারণ, সংসদ নির্বাচনে কোনো কাউন্সিলর পদপ্রার্থী থাকবে না। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। তাই আমরা বলতে পারি না জাতীয় নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু আমরা সব দলকে বলব নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য। বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পর সামনে আরও চারটি সিটি নির্বাচন জুন মাসে রয়েছে। সব নির্বাচন গাজীপুরের মতো ভালো করার আশ্বাস দিয়েছে ইসি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রার্থী, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকারের সহযোগিতা সবার ভূমিকার কথা তুলে ধরে এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সবার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। সবার সমান দায়িত্বপালন করার জন্য এবং ন্যায়সঙ্গত দায়িত্বপালন করার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু গাজীপুরের ক্ষেত্রে না, আমরা সবসময় বলেছি যে, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে, সুন্দর হবে। আমাদের কাজ হলো যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে তাদের সবাইকে সমান সুযোগ যেটা আমাদের পক্ষ থেকে দিতে হবে এবং সবার জন্য সমান মাঠ রাখব। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা আমরা করব। ইসির সক্ষমতা কি বেড়েছে- জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সক্ষমতা আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। বাড়েওনি কমেওনি। আমরা আসার পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সহিংসতার ঘটনা কিন্তু ঘটেনি। যারা সমালোচনা করেন তারা তো সমালোচনা করবেনই। তারা ভালো হলেও করেন, খারাপ হলেও করেন। তারা সমালোচনা করবেনই। কিন্তু যারা ভোট দিয়েছেন, কেন্দ্রে ছিলেন তারা কেউ বিরুদ্ধে কিছু বলছেন না বলে উল্লেখ করেন। মার্কিন নতুন ভিসা নীতির সঙ্গে ইসির সুষ্ঠু ভোটের কোনো সম্পর্ক বা চাপ দেখছে না নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো নির্বাচন কমিশনের যে আইন-কানুন আছে, বিধি আছে, ম্যানুয়াল আছে সে অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজগুলো করা। শুধু গাজীপুর কেনো, আমাদের সময়ে যত নির্বাচন হবে। সব একই মানের করার চেষ্টা করব। এ নির্বাচন কমিশনার জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি। তাদের কোনো নির্দেশনা আসে নি। যেকোনো পরিস্থিতে যেকোনো পরিবেশে ইসির দায়িত্ব হলো আইন মেনে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। যা আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে করে আসছি এবং যতদিন আমরা আছি সেভাবে করব। প্রথম দিক থেকেই বলছি আমাদের কেউ চাপ দেয় না। আমরা কারও কাছ থেকে চাপ নেইও না। আমরা প্রথম থেকেই মুক্ত আছি। ইনশা আল্লাহ শেষ পর্যন্ত মুক্ত থাকব।
শিরোনাম
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
- রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলেছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি
- সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: শত শত মানুষকে সরিয়ে নিলো ভারত
- খায়রুজ্জামান লিটনের সাবেক এপিএস স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা টিটু আটক
- উত্তেজনা চরমে: পাকিস্তানের পক্ষে বার্তা দিলেন এরদোগান
- ‘সিনেমা’ থেকে ‘বাস্তব’ জগতে ফিরে আসুন, ভারতকে পাকিস্তানের আহ্বান
- ইংলিশ দলে ডাক পেলেন রিউ
- ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’ : যুক্তরাষ্ট্র
- এল-ক্লাসিকোর রেফারি চূড়ান্ত
- পাকিস্তান থেকে সরিয়ে যেখানে হবে পিএসএল
- সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেফতার
- অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা : নাহিদ
- পাকিস্তানি পাইলটকে আটকের দাবি ভারতের, প্রমাণ চাইল ইসলামাবাদ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবি শিক্ষার্থীদের
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাবিতে বিক্ষোভ
- প্রথম আমেরিকান পোপ রবার্ট প্রেভোস্ট
- বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খাত হুমকিতে
- 'পাকিস্তান আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে সারা পৃথিবী জানবে'
- ভারতের সেনা-স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান
গাজীপুরে ফল বিলম্বের কারণ জানাল ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করার দাবি ভারতের
১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম