দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ১৩ জুলাই শুনানির নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল কেরানীগঞ্জ কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক আকতারুজ্জামান নতুন দিন ধার্য করেন। গতকাল মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০ মার্চ নির্ধারিত শুনানির দিন পিছিয়ে গতকাল ধার্য করা হয়েছিল।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ২০০৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৯ বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলাটির বিচারকাজ স্থগিত ছিল। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৮ মে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়। এরপর থেকে মামলাটি অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে সাবেক জোট সরকারের মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, এম কে আনোয়ার, এম শামসুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আমিনুল হক ও প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। আর যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এ দুজন জোট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
তাদের বাদ দিয়ে এখন বাকি আসামিদের বিচার চলছে। খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জোট সরকারের মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী ও সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও খনির কাজ পাওয়া কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।