বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দেশের ছাত্রসমাজের প্রতি নতুন আট বার্তা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বার্তা দেন তারা। এদিকে ৩০ দিনের আলটিমেটাম দিয়ে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রদের প্রতি তাদের বার্তাগুলো হলো- রংপুরের আবু সাঈদসহ নিহতদের স্মরণ, আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তাদের প্রতিবাদী স্পিরিটকে ধারণ করা। নিহতদের কবর জিয়ারত ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন। যেসব লাশের প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যায়নি, তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের জন্য সহায়তা করা ও জানাজায় অংশগ্রহণ করা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের যথাসম্ভব সহযোগিতা করা। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ও এলাকায় নিহত ও আহতদের তালিকা তৈরি ও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা। হত্যা ও হামলায় সরাসরি জড়িতদের চিহ্নিত করা। বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলার জন্য প্রশাসনকে চাপ দেওয়া ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা। ফেসবুকে ক্ষোভ না ঝেড়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি গ্রহণ ও বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করা। এ ছাড়া বিদেশে অবস্থানরতদের প্রতি আন্তর্জাতিকভাবে এই ক্র্যাকডাউন ও হত্যা-নিপীড়ন প্রচার ও বাংলাদেশের আন্দোলনরত ছাত্র-নাগরিকদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা। সেই সঙ্গে দ্রুত ইমার্জেন্সি হেলথ ফোর্স গঠনের ঘোষণা দেন তারা। রাবি প্রতিনিধি জানান, আট দফা দাবিতে ৩০ কর্মদিবসের আলটিমেটাম দিয়ে সব কর্মসূচি প্রত্যাহার ঘোষণা করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ৫ সমন্বয়ক এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সমন্বয়ক মোকারম হোসেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন রেজোয়ান গাজী মহারাজ, তোফায়েল আহমেদ তপু, মনিমুল হক ও সুজন কুমার ভৌমিক। দাবিগুলো হলো- কোটা আন্দোলনে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার, কারফিউ তুলে নেওয়া, ইন্টারনেট সচল করা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া, ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরিয়ে নেওয়া, ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক ব্যবস্থা, নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পরিবারে ক্ষতিপূরণ এবং সব হত্যার বিচার নিশ্চিত করা। সমন্বয়ক সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, সরকার আমাদের এক দফা দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আশা করছি বাকি দাবিগুলোও পূরণ করবে।