জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনা ভারতের মিডিয়াকে উসকে দিচ্ছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমরা বলে চাই— আপনারা সত্য খবর পরিবেশন করুন। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। আমাদের দেশে কোনো সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতন হয়নি। হবেও না ইনশাআল্লাহ। অপপ্রচার করে বাংলাদেশের পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস অব টাইমসের উদ্যোগে ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পুঁজি করে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যর দাবিতে ও মহান বিজয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে’ এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের সমালোচনা করে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ১৯৬৫ সালে আমাদের সীমান্তে আপনারা (ভারত) পরাজিত হয়েছিলেন। সেই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আপনারা ১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানের ওপর আঘাত করেছিলেন। আমরা বলতে চাই, ১৯৬৫ সালের যে ইমান ছিল... সেই ইমান এখনো বাংলাদেশের মানুষের অন্তরে জাগ্রত রয়েছে। অতএব হুমকি দিয়ে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারা (ভারত) আমাদের জাতীয় পতাকায় আগুন দিয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা করেছে। আপনারা শুধু পতাকায় আগুন দেননি, আপনারা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ে আগুন দিয়েছেন। এটা আপনাদের জন্য ভালো হবে না।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির বলেন, আগামীকাল (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৮ বছর পর মন খুলে, প্রাণ উজাড় করে, স্বাধীনভাবে বিজয় দিবস পালন করবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে ৫৭ জন চৌকস সেনাবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করেছিল। এরপর জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতাদের ধরে নিয়ে গিয়ে নাটক সাজিয়ে আইনের নামে অবিচার করে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে একের পর এক ফাঁসি দিয়েছে এবং জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করেছে ১১ জন নেতাকে। আওয়ামী লীগ শাপলা চত্বরকে রক্তে রঞ্জিত করেছিল। এভাবে ভারত বিরোধী শক্তিকে নিঃশেষ করে বাংলাদেশে একটি রাম রাজত্ব কায়েম করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভয়েস অব টাইমসের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসাসহ অনেকে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ