বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ১৮ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং ২৩ এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, মোট ৪১ জনের একটি তালিকা আমরা পেয়েছি। এটি এখন যাচাইবাছাই কমিটির কাছে আছে। আর দুদক কাউকে ছাড় দেবে না। তবে দুদক সূত্র বলছে, ওই এমপি-মন্ত্রীদের বিষয়ে তিনজন পরিচালকের নেতৃত্বে পৃথক তিনটি টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়া সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে আছেন- টিপু মুনশি, সাধন চন্দ্র মজুমদার, আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, জাহিদ মালেক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া সাবেক প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে জুনাইদ আহমেদ পলক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ফরিদুল হক, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, মুহিবুর রহমান এবং জাহিদ আহসান রাসেল, নসরুল হামিদ বিপু ও ডা. এনামুর রহমান। আর সাবেক এমপিদের মধ্যে রয়েছেন বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, মামুনুর রশীদ কিরন ও জিয়াউর রহমান। এর আগে রবিবার এই ৪১ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন একটি আবেদন করেন। তিনি তার আবেদনের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে ৪১ জনের তালিকা ও তাদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিসংখ্যান দেন। এতে তিনি গত ৫ থেকে ১৫ বছরে মন্ত্রী ও এমপি থাকা অবস্থায় সম্পদ বৃদ্ধির চিত্র তুলে ধরেন।
পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী-এমপিদের কারও আয় বেড়েছে। আবার কারও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। এক্ষেত্রে কারও সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ আবার কারও কারও সম্পদ ও আয় বেড়েছে লাখ গুণ পর্যন্ত।