জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে এখনো চূড়ান্ত বিজয় আসেনি। আমাদের আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এটাকে চূড়ান্ত বিজয় ভাবার সুযোগ নেই। বাংলার আকাশে এখনো শকুন উড়ছে। এজন্য ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিনগুলো মোকাবিলা করতে হবে। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বিগত স্বৈরশাসক প্রায় সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা জামায়াতসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলকে শেষ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছিল। এ অবস্থায় জনগণ বর্তমান সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের কাজ বিগত সরকারের ধ্বংস করা প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। কোনো দল নয়, বরং স্বৈরাচারকে হটিয়ে দেশের ছাত্র-জনতা এ সরকারকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেজন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বর্তমান সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত। জামায়াত আমির বলেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে সবার আগে আঘাত এসেছিল বিডিআরের ওপর। সে ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা এখনো শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আসেনি। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনী ও বিডিআর দুটি বাহিনীকে ধ্বংস করা হয়েছিল। এরপর হামলা এসেছে জামায়াতে ইসলামীর ওপর। ইসলাম ধর্মের জন্য যারা নির্যাতন সহ্য করে কাজ করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ আনা হলো! তাদের আটকের পর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে বিচারবিভাগীয় হত্যাকা চালানো হলো। এরপর সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যা করা হলো। তিনি বলেন, সরকার জামায়াত নিষিদ্ধের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের পাতা ফাঁদে পা দিইনি। আমরা ধৈর্যধারণ করেছি ও আল্লাহর সহায়তা চেয়েছি। আল্লাহ আমাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এক মাস আগে যা কল্পনা করিনি, আল্লাহ সেই উপহার আমাদের দিয়েছেন। ছাত্র-জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জামায়াতের শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। তারা এ জাতিকে উদ্ধার করেছে। এবার নিজেদের গড়তে হবে। তোমাদের প্রতি অনুরোধ-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যেতে হবে। এটা তোমাদের শেষ আত্মত্যাগ নয়, এটা সবে শুরু। জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন ও নিজেরা সৎ হতে হবে। একই সঙ্গে অন্যদের সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করতে হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংবাদিকরা ওয়াচ টাওয়ারের মতো। তারা ওপর থেকে সব দেখেন ও জনগণের ভাষা বোঝেন। এজন্য তাদের জাতির বিবেক বলা হয়। কিন্তু তারা এতদিন মুক্তভাবে কাজ করতে পারেননি। অদৃশ্য নির্দেশে তাদের কলম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এমনটা যেন আর না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকবে হবে। আপনাদের সমাজের দর্পণ বলা হয়। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপনারা আমাদের সমালোচনা করবেন। আমাদের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরবেন।
শিরোনাম
- সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীর এপিএস ফুয়াদের সম্পত্তি ক্রোক
- দিনাজপুরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী’র মাঝে ছাগল ও গৃহ নির্মাণ উপকরণ বিতরণ
- ভোলার প্রবীণ সাংবাদিক এম হাবিবুর রহমান আর নেই
- সাত দফা দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরিবহন শ্রমিকদের মানববন্ধন
- নৌবাহিনীর নবীন নাবিকদের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
- আইসিইউতে ৪১ শতাংশ রোগীর দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না: আইইডিসিআর
- ক্ষমতায় এলে গণমাধ্যম সংস্কারে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি : ফখরুল
- রাবির ২ শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার
- ‘খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে’
- চুয়াডাঙ্গায় আট দফা দাবিতে নার্সদের স্মারকলিপি প্রদান
- সীমান্তে তারকাঁটার বেড়া কর্তনের সময় গরু চোরাকারবারী আটক
- ঘরে বসে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ চালু হচ্ছে মঙ্গলবার
- আসন্ন নির্বাচনে কমনওয়েলথের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
- যে কারণে 'ভ্যাম্পায়ার' দাঁতে আগ্রহ বাড়ছে তরুণীদের
- অবশেষে চলেই গেলেন কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র, ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি
- প্রধান উপদেষ্টা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন, বিশ্বাস বিএনপির: রিজভী
- মোহাম্মদপুরে অপহরণ ও নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার ৯
- সাময়িক বন্ধ হচ্ছে এনআইডি সংশোধন কার্যক্রম
- ঝিনাইদহে উদ্ধারকৃত ১৬ ককটেল ধ্বংস করল বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট
- জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর