হঠাৎ করে বড় ধরনের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। গতকাল সকাল ৭টা ৪৭ মিনিটে দিল্লির রোহিণীর প্রশান্ত বিহার এলাকার সিআরপিএফ স্কুলের সামনে এই রহস্যময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে স্কুলের দেয়াল এবং সেখানে থাকা একটি ট্যাক্সি ও দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর সেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিস্ফোরণের বিষয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম। একটি বিকট শব্দ শুনেছি, ধোঁয়ার মেঘ দেখেছি এবং ভিডিও রেকর্ড করেছি। আমি এর বেশি কিছু জানি না।’ এদিকে ঘটনার পরপরই ফরেনসিক দল এবং দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা বহস্যময় বিস্ফোরণের কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছেন। এ বিষয়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসার অমিত গোয়াল ওই সময় জানান, কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল তা তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। তারা সন্দেহজনক কিছু পাননি। তবে তদন্তের অংশ হিসেবে ভূগর্ভস্থ স্যুয়ারেজ লাইন পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরে পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সকাল ৭টা ৪৭ মিনিটে তারা একটি কল পান, তাতে জানানো হয় রোহিণীর ১৪ নম্বর সেক্টরের সিআরপিএফ স্কুলের কাছে বিকট শব্দে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্কুলের প্রাচীর ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়। কয়েকটি দোকান এবং গাড়ির কাচ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানে দুর্গন্ধও ছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে, এটি হাতে বানানো ককটেলের (ক্রুড বোম) বিস্ফোরণ হতে পারে। অপরিশোধিত বোমায়ও এ ঘটনা ঘটতে পারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, কোনো সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে। মাটির নিচের পাইপলাইনে বিস্ফোরণ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্ফোরণস্থলে সাদা গুঁড়ো জাতীয় কিছু বস্তু পাওয়া গেছে। সেগুলো কী তা পরীক্ষা করে দেখছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। বিস্ফোরণের সঙ্গে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সম্পর্ক নেই বলে মনে হচ্ছে। তবে এফএসএলের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।