প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ভগ্নদশা থেকে বিচারবিভাগও মুক্ত নয়। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণকল্পে বিচারবিভাগ কিছু প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে এক নতুন যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সুশাসনের জন্য জনসম্পৃক্ত সংস্কার : অসুবিধাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর আকাক্সক্ষা’ শীর্ষক নাগরিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, জুলাই গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা তাদের জীবনবাজি রেখে আমাদেরকে নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। ছাত্র-জনতার এই বিপ্লব আমাদেরকে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অপার সুযোগ করে দিয়েছে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার আমাদের করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ন্যায়বিচার যাতে বিলম্বিত না হয়। একই সঙ্গে আমাদের নাগরিক অধিকার রক্ষায় আরও উদ্যোগী হতে হবে। যদি নাগরিক অধিকার রক্ষিত না হয়, তাহলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষিত হবে না। আর তা না হলে স্বাধীনতার মূল আকাক্সক্ষা পূরণে আমরা ব্যর্থ হব। সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের আগামী দিনে এগিয়ে নেওয়া না হলে ৫ আগস্টে যারা প্রাণ দিয়েছেন বা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা কোনো কাজে আসবে না। যেই মানুষগুলো কষ্টে আছে তাদের কথা তুলে ধরলে এবং তাদের জীবন যাত্রার পরিবর্তন নিয়ে এলেই আমাদের কাক্সিক্ষত সফলতা আসবে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের দৃঢ় চেতনাকে স্মরণ করে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব নিপীড়নকে উৎখাত, ন্যায়বিচার, সাম্য এবং মানবতা পুনরুদ্ধারের লড়াই। আমাদের ইতিহাসের এই সংজ্ঞায়িত মুহূর্তগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, ন্যায়বিচারের সন্ধান একটি ক্ষণস্থায়ী প্রচেষ্টা নয় বরং একটি আজীবন প্রতিশ্রুতি, যা আমাদের বিচারিক মিশনের ভিত্তি তৈরি করে।