শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মেয়েদের নির্মেদ ভুঁড়ি পেতে...

মেয়েদের নির্মেদ ভুঁড়ি পেতে...

মডেল : জাবিন আহমেদ

ছেলেদের মধ্যে সিক্স প্যাক নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। প্রত্যেকেই জিমে শরীর গড়নে ব্যস্ত। নির্মেদ পেট না হলে যেন পুরুষালি ভাবই আসে না। মেয়েদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা কিন্তু অনেকটাই এক। সিক্স প্যাক নয় ঠিকই, তবে নির্মেদ বেলি বা পেট তো কামনা করাই যায়। আর নির্মেদ বেলি বা টানটান মেদহীন পেট পাওয়ার জন্যে মহিলারাও কত কী না করেন। ডায়েট, জগিং আরও কত কি! একটুখানি মেদ বাড়লেই মাথায় হাত। বিশেষ করে যাদের বাচ্চা আছে, তাদের অবস্থা যেন আরও শোচনীয়। আয়নার সামনে দাঁড়ালেই বিষণ্নতা চেপে বসে। সত্যি বলতে মেদহীন পেট কার না ভালো লাগে। প্রেগনেন্সির সময় অধিকাংশ মহিলাই এক্সারসাইজ করেন। ফলে পেটের মাংসপেশি ক্রমশ ঢিলে হয়ে যায়। সঙ্গে ভুলভাল খাবারে মন বেসামাল। আজ আইসক্রিম, তো কাল পেস্ট্রি। ফল শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়তে থাকে। আর বাচ্চা আয়তনে যত বড় হতে থাকে, ততই ইউটেরাসও আয়তনে বাড়ে এবং অ্যাডব মাসল স্ট্রেচড হতে থাকে। পক্ষান্তরে বাচ্চা জন্ম নেওয়ার পরও মাংসপেশির সংকোচন হয় না। ফলাফল অপ্রত্যাশিত ভুঁড়ি। অনেকের রেকটাস অ্যাবডোমিনিস, দুপাশে এতটাই স্ট্রেচড হয়ে যায় যে পুনরায় সস্থানে ফিরতে পারে না। সহজভাবে বললে এর ফলে পেটে অনেকটা জায়গা তৈরি হয়, যেখানে কোনো মাংসপেশি থাকে না। ফলে পেট এতটাই ঢিলে হয়ে যায় যে ক্রমশ সামনের দিকে এগিয়ে আসে। এতে শুধু দেখতে খারাপ দেখায় তা নয়, পিঠে ব্যথাও হতে পারে। আসলে যে কোনোরকম স্ট্রেটস থেকে লো ব্যাককে বাঁচাতে অ্যাবডমিনাল মাসলের একটা ভূমিকা থাকে। এ তো গেল সমস্যার কথা। কিন্তু শুধু সমস্যার কথা আলোচনা করাই তো আমার কাজ নয়। সমাধানও খুঁজে পেতে হবে। আসুন দেখে নিই কীভাবে পেট সুন্দর ও নির্মেদ রাখা যাবে।

নির্মেদ পেট পেতে করণীয় :

মিষ্টি আর জাঙ্ক ফুড সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন। ভাজাভূড়িও রাখুন বাদের তালিকায়। পাশাপাশি প্রতিদিন হাঁটুন। যোগাসন বা অন্য এক্সারাইজও করতে পারেন। প্রতি মাসে অন্তত আধা কেজি ওজন কমানোর টার্গেট নিন। সঙ্গে স্ট্রেংথ ট্রেনিং অবশ্যই করুন। ডেডলিস্ট, প্ল্যাঙ্ক, কেটলবেল সুইং জাতীয় এক্সারসাইজ করতে পারেন। পেটের মাসলের জন্যে ভালো। বাচ্চা হওয়ার পর নিয়ম করে ওজন কমান। একস্ট্রা পরিশ্রম করুন।

চিকিৎসা :

মিনি গ্যাস্ট্রিক বাইপাস বা স্লিভ সার্জারির মতো ওয়েট লস সার্জারি করাতে পারেন। ওজন তো ব্যাপকহারে কমবেই, সঙ্গে পেটের মেদও কমে যাবে। আর এই সার্জারি একেবারেই নিরাপদ। টামি টাক করাতে পারেন। হার্নিয়া থাকলে সঠিক চিকিৎসা করান। ল্যাপারেস্কোপি বা ওপেন সার্জারি প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা করা সম্ভব।

 

হেলথ জার্নাল

সর্বশেষ খবর