শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

প্রসাধনীর যত্ন

অনেক সময় প্রসাধনীতে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তাই প্রসাধনীর যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। জেনে নিন কীভাবে প্রসাধনীর যত্নে নেবেন।

প্রসাধনীর যত্ন

ছবি : ফ্রাইডে

আমরা রূপের যত্ন আত্তি এবং সৌন্দর্য প্রকাশে প্রতিদিন কত রকম প্রসাধনীই না ব্যবহার করি। সেসব প্রসাধনী মুখের নাজুক ত্বককে যত্নে রাখছে কিনা সে ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকা জরুরি। অনেকে আবার বিশ্বস্ততার জন্য বাজার থেকে নামিদামি ব্রান্ডের প্রসাধনী কিনে পকেট থেকে খসান অনেকগুলো টাকা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন যেসব প্রসাধনী আপনার ত্বকের খুব কাছাকাছি থাকছে তারা নীরবে ক্ষতিকারক হয়ে উঠছে কিনা? এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে প্রথমেই আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য ও আপনার ত্বকের উপযুক্ত পণ্যটিই বাছাই করতে হবে। তারপর দেখতে হবে শখের সাজগোজে ব্যবহার করা এসব প্রসাধনীর মেয়াদ ঠিক আছে কিনা। যেমন ধরুন চোখের মেকআপ সবচেয়ে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। মাশকারা বা আইলাইনার সিল খোলার মাত্র ৩ মাসের মধ্যে নষ্ট হতে থাকে। এতে ব্যাক্টেরিয়ার জন্ম হতে পারে। তাই একটি মাশকারা বা আইলাইনার দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন এমনটি চিন্তা না করাই আপনার জন্য ভালো। তরল ফাউন্ডেশন, কনসিলার ইত্যাদির আয়ু ৬ মাসের বেশি থাকে না। তাই চেষ্টা করুন ছোট ছোট পরিমাণে কিনতে। যেন ৬ মাসেই ফুরিয়ে যায়। আই এবং লিপ পেনসিল ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। লিপস্টিক ভালো থাকে ৭ থেকে ৯ মাস। এর পরেই উচিত বদলে ফেলা। ক্রিম ফাউন্ডেশন ও ক্রিম আই শ্যাডো ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত থাকে। ভালো ব্র্যান্ডের কসমেটিকস হলে অবশ্য ১ বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগী থাকে। পাউডার বেসড প্রোডাক্ট ২ বছর ভালো থাকে। পাউডার আইশ্যাডো প্রায় ৩ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে ব্লাশঅন ভালো থাকে ৬ মাস। ক্রিম ও জেল ক্লিনজার মোটামুটি ১ বছর ভালো থাকে। নেইলপলিশ ১ বছর ভালো থাকে আর ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারলে আরও কিছুদিন ভালো রাখা যাবে। ফেসিয়াল ক্লিনজার প্রায় ৬ মাস ভালো থাকে। আর ফেসিয়াল টোনার নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন ১ বছর। তাই আপনার ত্বক সুন্দর রাখতে প্রতিটি পণ্যের ব্যবহার উপযোগিতা কত দিন তা জেনে রাখা উচিত। প্রসাধনীগুলো যখন ব্যবহার করছেন তখনো তা সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি মানতে হবে। না হলে তাতেও হতে পারে ত্বকের ক্ষতি। যেমন দুই তিনটি প্রসাধনী একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। প্রসাধনী সবসময় আলাদা আলাদা বক্সে রাখুন। সাধরণত ৫-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ক্রিম ভালো থাকে। এর চেয়ে কম তাপমাত্রায় তা শক্ত হয়ে যেতে পারে। আবার অনেক বেশি তাপমাত্রায় ক্রিম বেশি নরম হয়ে যায়। কোনো প্রসাধনীর ঢাকনা খুলে রাখবেন না। অপরিষ্কার ও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে ত্বকে তিল হয়ে র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। প্রসাধনী ব্যবহারের বিভিন্ন অনুষঙ্গ হিসেবে ব্রাশ, পাফ বা স্পঞ্জ এসব নিয়মিত পরিষ্কার করবেন এবং না শুকানো পর্যন্ত তা ব্যবহার করবেন না। নিজের ব্যবহার করা পাফ, স্পঞ্জ, তুলি অন্যকে ব্যবহার করতে দেবেন না এবং নিজেও অন্যেরটা ব্যবহার করবেন না। এতে করে কারও স্কিন ডিজিজ থাকলে তা অন্যের দেহে ছড়াবে না। লিপস্টিক ফ্রিজে রাখলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। ভালো ফলাফল পেতে ফ্রিজে ৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় রাখা উচিত। শুকিয়ে গেলে বা বাজে গন্ধ বের হলে সেই লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। আই বা লিপ লাইনার পেনসিল নিয়মিত শার্প না করলে তাতে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নিতে পারে। আর তাই প্রতিবার ব্যবহারের আগে আই বা লিপ লাইনার শার্প করে নিতে হবে।

 

পরামর্শ দিয়েছেন-

শারমিন সেলিম তুলি

রূপ বিশেষজ্ঞ, বিয়ার বিজবিডি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর