গবষেকদের মতে, সকালের শুরুতেই লুকিয়ে আছে স্বাস্থ্যকর জীবনের চাবিকাঠি। করোনা-পরবর্তী এই বিশ্বে মানুষ এখন অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠেছে। সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে ব্রেকফাস্ট করা থেকে শুরু করে সময়মত ঘুমানো ও রাতে ন্যূনতম ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমানো- অনেক মানুষ এই স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্যকর ও সুখী জীবনের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে সকালের শুরুতেই। সেগুলো কীভাবে সামলাবেন তা জেনে নিন আজকের প্রতিবেদন থেকে- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায়, এক গ্লাস হালকা গরম পানি দিয়ে যদি সকালটা শুরু করা যায়, তাহলে শরীরের অনেক সমস্যার উপশম হয়। হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া ওজন হ্রাস ও ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে।
সকালের ব্রেকফাস্ট কখনও উপেক্ষা করবেন না। কারণ হজমশক্তি ও পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সকালের খাবার খাওয়া আবশ্যিক। শুধু তাই নয়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতার উপরও বাজে প্রভাব পড়ে। সেখান থেকেই শুরু ডায়াবেটিসের মতো রোগ। লিভার ও ইনসুলিনকে খুশি রাখতে সকালে খাবার ৯টার মধ্যেই শেষ করুন। সকাল ৭টার আগে যদি ব্রেকফাস্ট করেন তাহলে ডায়াবেটিসের লক্ষণ অনেকটাই কমে যায়।বর্তমান পরিস্থিতিতে মোবাইলের স্ক্রিনটাইম দিয়ে দিন শুরু হয়, আবার স্ক্রিন টাইম দিয়ে দিন শেষ হয়। ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা অনলাইনে পড়াশোনা করার বাজে প্রভাব এখন সবার মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে মোবাইল বা গ্যাজেট ব্যবহারের ফলে অনিদ্রার মতো মারাত্মক অসুখ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। ফলে ঘুমের ধরন পাল্টে গিয়ে লাইফস্টাইলটাই বদলে গেছে। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সুন্দর সতেজ বাতাসে কিছুক্ষণ সময় কাটান। প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ রাখতে বাড়ির বারান্দা বা বাগানে কিছুক্ষণ সময় কাটান। সকালে হাঁটার অভ্যাস করুন। ঘুম থেকে উঠেই কোনো নেগেটিভ চিন্তাভাবনা নয়, পজিটিভ থাকতে বন্ধুদের সঙ্গে হাঁটতে পারেন।