তাকফিরি গোষ্ঠী আইএসআইএল সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে সিআইএ আগে থেকেই জানতো। বিশেষ করে ইউরোপ এ হামলা চালানো হবে সে তথ্যও সিআইএ’র কাছে ছিল। আর এটা স্বীকার করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ'র পরিচালক জন ও ব্রিনন্যান। ওয়াশিংটন ডিসি’তে গ্লোবাল সিক্যুউরিটি ফোরাম ২০১৫’এর উদ্বোধনী অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইউকেবিডি নিউজের।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক মার্কিন থিং ট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিস বা সিএসআইএস-এর আয়োজন করেছে। অবশ্য প্যারিসে দায়েশের সন্ত্রাসী হামলায় ১৩০ জনের বেশি নিহত এবং সাড়ে তিনশ’র আহত হওয়ার পর এ কথা স্বীকার করলেন ব্রিনন্যান। তিনি বলেন, গত শুক্রবারের শেষ বেলায় প্যারিসে গুলি এবং বোমা হামলায় সিআইএ বিস্মিত হয়নি। তিনি বলেন, সিআইএ’এর জানা ছিল, হামলার পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র করছে দায়েশ। বিশেষ করে ইউরোপে এ হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে সে ব্যাপারেও সিআইএ অবহিত ছিল বলে জানান তিনি।
সিআইএ পরিচালক বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে এ পরিকল্পনা করা হয়নি। বরং মাসের পর মাস ধরে ভাবনা চিন্তা করে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, হামলায় কারা জড়িত থাকবে, কি ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরক, এবং আত্মঘাতী হামলার বেল্ট ব্যবহার করা হবে সে বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাবনাচিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্যারিসের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলাই শেষ নয় বরং দায়েশের আরো সন্ত্রাসী হামলা হবে বলে ধারণা ব্যক্ত করেন ব্রিনন্যান। এ সময়ে প্যারিস হামলার ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতিতে পশ্চিমা নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, দায়েশের সঙ্গে জড়িতদের ধরার জন্য এখন নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রচণ্ডভাবে তৎপর রয়েছে।
তবে প্যারিস হামলা ঠেকানোর এবং নিরীহ মানুষকে বাঁচানোর জন্য কেন আগাম সতর্কতা জারি করা হয়নি, এ জাতীয় হামলার আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে নিরীহ মানুষকে কেন সতর্ক করা হয়নি সে বিষয়ে মুখ খোলেননি ব্রিনন্যান।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা