ছোট পোশাক, তার উপর মদ্যপ অবস্থা। এরপর নিজে থেকে বাড়িতে ডেকে এনেছেন কোনো পুরুষ বন্ধুকে। এসব ঘটনায় নাকি সেই নারীকে ধর্ষণ করাই যায়। না কোনো তালিবান অধ্যুষিত এলাকা নয়, এমন ভাবনা ইউরোপের চতুর্থাংশের বেশি নাগরিকের।
শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে ২০ শতাংশই মনে করেন, ধর্ষণের পরে উল্টো ধর্ষিতার ওপরে চাপ তৈরি করা কোনো অন্যায় নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার কমিশনের একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চমকে দেওয়ার মত তথ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি দেশে ৩০ লাখ মানুষের ওপরে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল।
দেখা গেছে, নারীদের সম্ভ্রম নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদাসীন বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, লাটভিয়া এবং হাঙ্গেরির পুরুষরা। তুলনামূলকভাবে নারীদের সম্মান দেওয়ায় এগিয়ে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং স্পেন। আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৭ শতাংশ পুরুষ এও মনে করেন, কোনো নারী যদি রাতে নির্জন রাস্তায় একা হাঁটেন, তাহলে ধরেই নেয়া যেতে পারে তিনি যৌনসঙ্গী খোঁজার জন্যই পথে নেমেছেন। আর যদি কোনো পুরুষ মাদকের ঘোরে কোনো নারীর শ্লীলতাহানি করেন, সেটাকে শাস্তিযোগ্য বলে মনে করেন না ৪৩ শতাংশ পুরুষ। নারীদের সঙ্গে অশ্লীল রসিকতা করাটাকে ৫১ শতাংশ মানুষ অপরাধ মনে করেন না।
সবচেয়ে চমকে দেয়ার মতো তথ্য হল, এদের মধ্যে ১৩ শতাংশ মনে করেন কোনো পার্টিতে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে নাচানো নাকি কোনো অপরাধের পর্যায়েই পড়ে না। শিক্ষা, বিজ্ঞান সংস্কৃতিতে এগিয়ে থাকা ইউরোপেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোতে নারীদের কী অবস্থা হচ্ছে, সেটা সহজেই অনুমান করা যায়।
সূত্র: আজকাল
বিডি প্রতিদিন/০৩ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল