বাবার মতই হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিম জং-উন। বাবার মতই সাজিয়েছেন 'প্লেজার স্কোয়াড', যেখানে কুমারী সুন্দরী মেয়ে কিম জং উনের শয্যাসঙ্গী।
কিম জং-উনের ভোগের জন্য কুমারী মেয়ে ধরে আনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে 'সেকশন-৫' নামে একটি সংস্থাকে। অতি গোপনীয়তার সঙ্গে গোটা উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন রাজ্যের এলিট স্কুলগুলো ঘুরে সুন্দরীদের জোগাড় করার দায়িত্ব এই সংস্থার। বয়স কারওই তেরোর বেশি নয়। বাছাই করা সুন্দরীদের নামতে হবে বিউটি কনটেস্টে।
আসলে কুমারীত্বের পরীক্ষা। সতীচ্ছেদ অক্ষত থাকলে, যেতে হবে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান একনায়কের উল্লাসখানায়। এ জন্য একবার নয়, কয়েকবার পরীক্ষা দিতে হবে। তারপর উত্তীর্ণরা যাবে কিমের হেরেমখানায়, তাকে মনোরঞ্জন করতে।
গোটা ব্যাপারটা অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে হলেও, অনেক বাবা-মা'ই ভীত-সন্ত্রস্ত। সেকশন ৫-এর ভয়ে মেয়েকে স্কুল পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অনেকে। মেয়েকে বাঁচানোর পথ খুঁজতে কেউ কেউ অসুখ থাকার বাহানও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। কিম এতটাই নিরবে সবকিছু করছেন যে, সেকশন ৫ কে-ও মুখ বন্ধ রাখতে হয়েছে। কারও সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করলে, কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার এক কবির কথায়, কিম-জং-উনের ব্যক্তিজীবন বাবার মতই নোংরামিতে ভরা। তবে, সব মেয়ে বা মেয়ের পরিবারই যে সন্ত্রস্ত তা কিন্ত নয়। যেহেতু কিম তাদের পরিবারের ভালোমন্দের খেয়াল রাখবে, তাই অনেক কিশোরী স্বেচ্ছায় মেনে নিচ্ছে এই জীবন। কেউ আবার কিমের সঙ্গে শয্যাসঙ্গী হতে পারবে ভেবেই আপ্লুত হয়ে পড়েছে।
কিমের সমালোচকরা জানাচ্ছেন, হেরেমখানায় শুধু সুন্দরী মেয়ে দিয়েই ভরছে না। যৌনশক্তিবর্ধক হিসেবে বিদেশ থেকে সিংহের পেনিসও চড়া দামে কিমের জন্য আনানো হচ্ছে। আসছে নানা যৌনসামগ্রী। সব জেনেও লোকজন একদম চুপ। মুখ খুললেই যে শাস্তি অনিবার্য।
বিডি প্রতিদিন/০৪ ডিসেম্বর ২০১৬/হিমেল