ব্রিটেন সন্ত্রাস-বিরোধী কর্ম-কাণ্ডে এবার ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে যাচ্ছে। অস্ত্র বানাতে ইউকে থেকে ভারতে আসবে নতুন প্রযুক্তি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্ত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। গোটা বিশ্বে অস্ত্র রফতানির কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে ভারত ও ব্রিটেন।
সম্প্রতি ভারতে এসে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা দফতরের মন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন জানিয়েছেন, কোনও দেশই সন্ত্রাসবাদ থেকে অব্যহতি পাচ্ছে না। তাই ভারত আর ব্রিটেনকে আরও বেশি সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। এর আগেও ফ্যালন পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন, জঙ্গিবাদের কোনও অজুহাত হয় না। কিছুদিন আগেই বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে ভারতে আসেন ফ্যালন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলির সঙ্গে বৈঠকও হয় তার। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে প্রথমবার ভারত-ব্রিটেন স্ট্র্যাটেজিক ডায়লগ বসে। ২০১৫-য় নরেন্দ্র মোদীর লন্ডন সফরের সময়ই এই ডায়লগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার খাতিরে এটা ভারত ও ব্রিটেনের একটা দ্বিপাক্ষিক সামরিক আলোচনা।
সম্প্রতি ব্রিটেন, সেন্ট পিটার্সবার্গ কিংবা মিশরে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও বেশি জোর দিতে হবে। সাইবার সিকিউরিটোও আরও বেশি পোক্ত করতে হবে। ভারতের সঙ্গে ক্রমশ সামরিক সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে ব্রিটেনের। সেই প্রসঙ্গে ফ্যালন বলেন, ভারতের বুদ্ধির সঙ্গে ব্রিটেনের অভিজ্ঞতা যুক্ত হলে সামরিক শক্তি বাড়বে অনেকটাই। তাঁর মতে, আগামী এক বছরের মধ্যেই দুই দেশ সামরিক শক্তিতে গোটা বিশ্বকে পিছেনে ফেলে দিতে পারবে। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার