জুন মাস থেকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যিক সংঘাত বেড়ে যায় যখন ওয়াশিংটন ভারত থেকে আমদানীকৃত পণ্যের যে সুযোগ ছিল তা বন্ধ করে দেয়। জেনারেলাইযড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) এর অধীনে ভারত থেকে আমদানি করা ৬০০ কোটি ডলারের পণ্যের উপর অতি স্বল্প বা কোন শুল্কই দিতে হতো না। জিএসপির অধীনে যে সব দেশ এই সুবিধা পেতো সেই তালিকার শীর্ষে ছিল ভারত।
জিএসপির লক্ষ্য ছিল ১২০টিরও বেশী উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করা। এর জবাবে নতুন দিল্লী ২৮টি আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছে। এদিকে, বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্টে জোর ধাক্কা খেল মোদি সরকার। জিডিপির নিরিখে এক ধাপ কমে ভারতের স্থান হল সপ্তমে। ২০১৭ সালে যেখানে পঞ্চম স্থানে থাকা ব্রিটেনের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছিল, এবার পা পিছলে ফ্রান্সের পিছনে চলে গেল ভারত। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের এই রিপোর্টে স্বভাবতই ধাক্কা খেল মোদির স্বপ্নের ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি।
বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৮ সালে ভারত তার জিডিপি ২.৭০ লক্ষ কোটি ডলারে থেকে সপ্তম স্থান দখল করে। ষষ্ঠ স্থানে চলে আসে ফ্রান্স। ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দেশের সার্বিক বৃদ্ধি ২.৭৭ লক্ষ কোটি ডলার। প্রথম চারে যথাক্রমে আমেরিকা (২০.৫ লক্ষ কোটি ডলার), চীন (১৩.৬ লক্ষ কোটি ডলার), জাপান (৪.৯ লক্ষ কোটি ডলার) এবং জার্মানি (৩.৯ লক্ষ কোটি ডলার)। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা ও জিনিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক