যুক্তরাষ্ট্রের দুই স্থানে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বন্দুকধারীর হামলা নিহত হয়েছেন ৩০ জন। এর মধ্যে টেক্সাসে চালানো হামলায় ২০ জন এবং ওহাইওতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এদিকে টেক্সাসের এল পাসোতে হামলার হাত থেকে অসংখ্য শিশুকে বাঁচিয়ে হিরো বনে গেছেন এক সৈনিক। তার নাম গ্লেন ওয়াকলে।
বন্দুকধারীর হামলার সময় সবাই যখন প্রাণ বাঁচাতে ছুটছিলেন তখন সামরিক বাহিনীর এই সদস্য ব্যস্ত ছিলেন শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে। এই বীরত্বগাঁথা দ্রুতই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রশংসায় ভাসেন তিনি।
মেক্সিকো সীমান্ত থেকে কয়েক মাইল দূরের শহর এল পাসোর ওয়ালমার্টের স্টোরে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে এক যুবক। সে সময় ওই স্টোরে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন সামরিক বাহিনীর সদস্য গ্লেন ওয়াকলে।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যখন গুলি শুরু হয় তখন লোকজন একটি দোকানে আশ্রয় নিচ্ছিলেন। আমি দেখলাম শিশুরা তাদের অভিভাবকদের ছাড়াই দৌঁড়াচ্ছে। এসময় আমি আমার পিস্তল লোড করি এবং শিশুদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে থাকি।
তিনি বলেন, আমি অনেক শিশু বাবা-মাকে ছাড়াই দৌঁড়াচ্ছে। আমি আমার ব্যাগ হাতে নিয়ে যতদূর সম্ভব তাদেরকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে থাকি। তারা খুবই ভীত ছিল সেসময়। তারা আমার হাত থেকে ছুটেও যাচ্ছিল মাঝে মাঝে।
প্রথমে এক শিশু দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে বলে গুলির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু শিশু বলে তার কথা কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি গুলির শব্দ শুনতে পাই, তখন বুঝতে পারি তার কথা সত্য। তখন আমি পিস্তল রেডি করি।’’
প্রথমে লোকজনের সঙ্গে আমিও নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছুটি। তারা একটি দোকানে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। কিন্তু আমি ওইসব বাচ্চাসহ তাদের নিয়ে খবুই চিন্তিত ছিলাম। আমার মনে হয়েছে সেখানে একজনের বেশি বন্দুকধারী ছিল। সম্ভবত সেখানে চারজন ছিল।
গ্লেন ওয়াকলের এই বীরত্বগাঁথা দ্রুতই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই প্রশংসা করছেন তার।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় টেক্সাসের একটি সুপার সেন্টারে এবং রাত ১টার দিকে ওহাইওর একটি পানশালায় এ হামলা চালানো হয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন