ভারতের হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ভারতজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। গুয়াহাটি থেকে কলকাতা, ভোপাল থেকে মুম্বাই, ভারতের প্রত্যেক শহরে অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবিতে মিছিল করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের পারদি এলাকায়।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তর নাম জওহর বৈদ্য, বয়স ৩৫ বছর। নাগপুরের একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটি ব্যাংকে অর্থ সংগ্রহক হিসেবে কাজ করে অভিযুক্ত। প্রতিদিনই ওই শিশুর বাড়িতে আসতো টাকা তুলতে। গত রবিবার সন্ধ্যায় শিশুটিকে একা দেখতে পেয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে ওই যুবক। এরপরই শিশুটিকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তেই বাড়ি ফেরেন শিশুর মা। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখেই সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে ওঠেন তিনি।
চিৎকার শুনে ছুটে আসে স্থানীয়রা। সকলে ওই যুবককে ঘিরে ধরে। এরপরই মারধর করা হয় তাকে। সম্পূর্ণ বিবস্ত্র করে তাকে গোটা এলাকায় ঘোরানো হয়। এরপর তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এবং পকসো আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কোনও শিশু বা মহিলাকে দেখে এমন কোনও কুচিন্তা যাতে না আসে, সেই শিক্ষা দিতেই অভিযুক্তকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ