৬ জুলাই, ২০২০ ১১:৪৪

ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে এবার ভুটান নিয়ে নতুন চাল চীনের!

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে এবার ভুটান নিয়ে নতুন চাল চীনের!

ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে এবার ভুটানের ভূখণ্ডও নিজেদের বলে দাবি করল চীন। বলা ভাল, দিল্লির বন্ধু বলে পরিচিত থিম্পুকেও নেপালের মতো নিজেদের দলে টানতে চীন এই চাল দিয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়ে বেইজিং জানিয়েছে, ভুটানের পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম অংশে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের নাম না নিয়েই দিল্লিকে নিশানা করে চীন রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভুটানের বিবাদে যেন কোনও তৃতীয়পক্ষ হস্তক্ষেপের চেষ্টা না করে।

সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য অনুদান পেতে Global Environment Facility-তে আবেদন জানিয়েছিল ভুটান। কিন্তু ভুটানের এই আবেদন নিয়ে আপত্তি জানায় চীন। তাদের দাবি, ওই এলাকা নিয়ে বিবাদ রয়েছে। ফলে তা নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না ভুটান। চীনের আপত্তি সত্ত্বেও ভুটান ওই অনুদান পেয়েছে। পাশাপাশি, নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাসকে ভুটানের পক্ষ থেকে কড়া বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে সাকতেং অভয়ারণ্যের গোটাটাই তাদের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সাকতেং অভয়ারণ্য ভুটানের ত্রাসিগাং প্রদেশে অবস্থিত। চীনের এই কৌশল আসলে দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার জন্য ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরে বেইজিংয়ের রাগের বহিঃপ্রকাশ বলেই মনে করা হচ্ছে।

২০১৭ সালে ভুটানের অন্তর্গত ডোকলামে ঢুকে পড়েছিল চীনা সেনারা। সেখানে রাস্তা নির্মাণের তোড়জোড় শুরু করে তারা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভারতীয় সেনারাও। ৭২ দিন ধরে দু’পক্ষের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত স্থিতাবস্থা ফেরানো সম্ভব হয়। এবারেও বেশ কিছুদিন ধরেই শিলিগুড়ি করিডরের ওপর নজর রাখার জন্য ভুটানে তোর্সা নদীর সমান্তরাল একটি রাস্তা তৈরির কাজ চীন শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

আসলে প্রতিবেশী ছোট ছোট দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে করা সমস্ত চুক্তিই নিজেদের শর্ত অনুযায়ী করেছে চীন। ভুটানি সংবাদপত্র ‘দ্য ভুটানিজ’-এর সম্পাদক তেনজিং লামসাং ট্যুইটারে দাবি করেছেন, পূর্ব ভুটানে চীনের সঙ্গে তাদের কোনও বিবাদই নেই।

তিনি লিখেছেন, ‘১৯৮৪ সাল থেকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে ২৪টি বৈঠকে শুধুমাত্র দু’টো এলাকা নিয়েই বিবাদের নিষ্পত্তি হয়নি। তার মধ্যে ভুটানের পশ্চিম অংশে ২৬৯ বর্গ কিলোমিটার এবং উত্তরমধ্য ভুটানের ৪৯৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। প্রতিটি বৈঠকের সিদ্ধান্তেই দু'পক্ষ সই করেছে। কোনও বৈঠকেই ভুটানের পূর্ব অংশ নিয়ে কোনও দাবি তোলেনি চীন। ফলে পূর্ব ভুটানে চীনের সঙ্গে কোনও সীমান্ত বিবাদ থাকতে পারে না বলেই দাবি করেছেন ভুটানের ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক।

কয়েকদিন আগেই লাদাখে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাম না করেই চীনকে বিস্তারবাদী বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার জবাবে চীনা দূতাবাস দাবি করে, বেইজিংকে বিস্তারবাদী বলে অভিযুক্ত করা ঠিক নয়। কারণ ১৪টির মধ্যে ১২টি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তিপূর্ণভাবে সীমান্ত বিবাদ মিটিয়ে ফেলেছে চীন। সূত্র: নিউজ এইটটিন

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর