আবারও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। গতকাল ২৪ এপ্রিলের নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্ধী কট্টর ডানপন্থী প্রার্থী মারিন লা পেনকে হারিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি।
নির্বাচনে ম্যাকরন পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট। আর প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লা পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।
নির্বাচনে দ্বিতীয়বার ফ্রান্সের ক্ষমতায় ফেরার পরই দেশবাসীর একাংশের প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়লেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ম্যাকরন। ম্যাকরন বিরোধী বিক্ষোভে পরিস্থিতি সামলাতে রাতের দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রেনে শহরে কাঁদানে গ্যাস চালায় পুলিশ। এছাড়াও প্যারিসের রাস্তায় গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নির্বাচন পরবর্তী ফ্রান্সে ঘনিয়েছে অশান্তির মেঘ।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ভোটগণনা হয় রবিবার। রাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় জনরায়। অতি দক্ষিণপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লা পেনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরলেন ইমানুয়েল ম্যাকরন। তার ঝুলিতে এসেছে প্রায় ৫৮ শতাংশ ভোট, যা কিনা ১৯৬৯ সালের পর বড় ব্যবধান। ম্যাকরনের সমর্থকরা এই জয়ের উদযাপন শুরু করতেই রাজধানী শহরে উল্টো ছবি ধরা পড়ল।
শত শত মানুষ প্যারিসের রাস্তায় নেমে এই ফলাফলের বিরোধিতা শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভের ছবি। বিক্ষোভকারীরা অধিকাংশই কমবয়সী। প্যারিসের সোরবোন এলাকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী বলে জানা গেছে। ফ্রান্সের বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এবার ভোটদান থেকে বিরত ছিল। কারণ, ম্যাকরন এবং মারিন লা পেনের মধ্যে কোনও প্রার্থীকেই তাদের পছন্দ ছিল না। আর সেই কারণেই ফলপ্রকাশের পর তারা বিরোধিতায় নেমেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
প্যারিসের এই জমায়েত হঁটাতে পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। পুলিশের অভিযোগ, প্যারিসের প্রাচীন সেতুতে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে পুলিশের দিকে এগিয়ে আসছিল। তাই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। তাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গভীর রাতে প্যারিসের যেখানে ম্যাকরনের সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন, ঠিক তার দুই কিলোমিটারের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। বড়সড় বিক্ষোভ এড়াতে গোটা প্যারিসজুড়ে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। সূত্র: ডেইলি মেইল, আইরিশ টাইমস, আইনিউজ ইউকে, টাইমস অব ইসরায়েল, স্কাই নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান, ডেইলি স্টার ইউকে
বিডি প্রতিদিন/কালাম